পরে বলবো
ঘড়ির কাঁটা পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত বাতিল হয়েছে, ফলে ১ এপ্রিল থেকে ঘড়ির কাঁটা এক ঘণ্টা এগোচ্ছে না।
দিনের আলোর ব্যবহার বাড়িয়ে বিদ্যুত সাশ্রয়ের জন্য দেশে প্রথমবারের মতো নেওয়া এ পদক্ষেপের সুফল মিললেও জনদুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে আগের সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়েছে বলে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ঘড়ির কাঁটা পরিবর্তনের বিষয়ে আগের সিদ্ধান্ত বাতিল হয়।
ওই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ৩১ মার্চ মধ্যরাতে ঘড়ির কাঁটা এক ঘণ্টা এগিয়ে নেওয়া হবে এবং ১ অক্টোবরে তা আবার আগের অবস্থায় ফেরত যাবে। গত বছরের মাঝামাঝিতে দেশে প্রথম 'ডে লাইট সেভিং টাইম' পদ্ধতি চালু করা হয়।
সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, "মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বছরের দুবার ঘড়ির কাঁটা বদলানোর কথা ছিলো। কিন্তু জনদুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে বিশেষ করে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের অসুবিধার কথা চিন্তা করে প্রধানমন্ত্রী ওই সিদ্ধান্ত বাতিল করেছেন। "
ঘড়ির কাঁটা এগোনোর সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে আসছিলেন স্কুলগামী শিশুদের অভিভাবকসহ বিভিন্ন জন। এ নিয়ে পত্র-পত্রিকায় বেশ লেখালেখিও হয়।
আবুল কালাম প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে বলেন, "ঘড়ির কাঁটা এগিয়ে আনায় ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুত সাশ্রয় হয়েছিলো।
এখন তা বাতিল করা হলেও প্রধানমন্ত্রী বিদ্যুত সাশ্রয়ের জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
"তিনি বলেছেন, বর্তমান বিদ্যুত সঙ্কটের জন্য বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার দায়ী। কেননা ক্ষমতায় থেকে তারা এক মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদন করতে পারেনি। যার জন্য বর্তমান সরকারকে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। "
মন্ত্রিসভার বৈঠকে রোম সংবিধি অনুস্বাক্ষরের সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে প্রেসসচিব জানান।
তিনি বলেন, "দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ১৯৯৮ সালের ১৭ জুলাই রোম সংবিধিতে স্বাক্ষর করে। এখন রোম সংবিধিতে অনুস্বাক্ষর করা হবে। এতে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ, যুদ্ধাপরাধ, গণহত্যাসহ নৃশংস ঘটনার বিচারে আন্তর্জাতিক মান অনুসরণ করতে সরকার যে বদ্ধপরিকর- তা প্রমাণিত হবে। "
প্রেসসচিব জানান, মন্ত্রিসভার বৈঠকে বাংলাদেশ পর্যটন বোর্ড আইন-২০১০ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া সামাজিক বনায়ন বিধিমালা-২০০৪ এর সংশোধনীর বিষয়ে মন্ত্রিসভাকে জানানো হয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।