রিমঝিম
এই দেশে ঘড়ির কাটা আগানোর পিছনে মূলত একটাই যুক্তি ছিল। তা হল লোডশেডিং কমানো। বাড়তি একঘন্টাকে কাজে লাগিয়ে নাকি প্রায় ৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুত বাচানো যাবে। কিন্তু বাস্তবে আমরা কি দেখতে পারছি? লোডশেডিং কি সত্যি কমানো গিয়েছে? পরিস্থিতির কোন উন্নতি হয়েছে? কোন উন্নতি হয়নি। কারন একটাই।
পিক আওয়ারের সেই এক ঘন্টা দিনের আলোতে শেষ না করে আমরা সেই পিক আওয়ারটাকে টেনে নিয়ে গিয়েছি এক ঘন্টা পরে।
আগে গ্রীষ্মকালে মোটামুটি সাতটা পর্যন্ত দিনের আলো থাকত। এখনকার সময় অনুযায়ী সেটা থাকে আটটা পর্যন্ত। মার্কেট খোলা থাকার কথা আটটা পর্যন্ত। তার মানে দিনের আলোতেই মার্কেট আওয়ার শেষ হবার কথা।
কিন্তু আমরা দেখতে পাই হাতে গোনা দুয়েকটা ভদ্র মার্কেট ছাড়া অধিকাংশ মার্কেটেই এখন রাত নয়টার পরেও জমজমাট ব্যাবসা চলে। নিউমার্কেট, গাউসিয়া, এলিফ্যান্ট রোড এলাকায় রাত নয়টায় গেলে এই চিত্রটি খুব সহজেই চোখে পড়বে। এখানে শুধুমাত্র যে ব্যবসায়ীরা যে দায়ী তা নয়, কাস্টোমারেরাও দায়ী। তারা যদি সচেতন থাকত যে আটটার পরে শপিং করা যাবে না, তাহলে ব্যবসায়ীরা অকাজে আটটার পরে দোকান খুলে রাখত না।
প্রশাসনও ঘড়ির কাটা এক ঘন্টা এগিয়ে দিয়েই খুশি।
তার সুবিধা ভোগ করবার জন্য যে রাত আটটায় মার্কেট বন্ধ করা নিশ্চিত করতে হবে, সেটা তাদের মাথায় নেই। প্রশাসন যদি কায়দা করে মার্কেটে রাত আটটার পরে লোডশেডিং করে দিত, তাহলে ওরা সঠিক সময়ে মার্কেট বন্ধ করে দিতে বাধ্য হত।
প্রশাসনের উদাসীনতা, ব্যবসায়ীদের অতি মুনাফালোভ আর আমরা জনগনের অসচেতনতাই কিন্তু ঘড়ির কাটা এগিয়ে নেয়ার সুফল তুলতে দিচ্ছে না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।