সাহিত্যের সাইটhttp://www.samowiki.net। বইয়ের সাইট http://www.boierdokan.com
জয়নাল আবেদিন ফারুক সংসদে দাঁড়ায়ে কইলেন, প্রধানমন্ত্রীর সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয় ভিওআইপি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। সাথে সাথে মনে মধ্যে প্রশ্ন আসলো, তো কেয়া হুয়া? আমাদের সরকারগুলা ভিওআইপি জিনিশটারে প্রচার করতে করতে এমন বানায়ে ফেলছে যে, মনে হইতে পারে ভিওআইপি ব্যবসা মনে হয় হেরোইন পাচারের মতো কোনো গর্হিত কাজ। প্রশ্ন হইলো, ভিওআইপ ব্যবসা কে করে না? ভিওআইপি করা তো অপরাধ না। আমরা আইন কইরা এইটারে অপরাধ বানাইছি।
ভিওআইপিরে আমরা অপরাধ বানাইছি কিছু কোম্পানির স্বার্থে। তাদের ভিওআইপির অনুমোদন দিয়া মাঠে পুলিশ নামাইছি। ওরা আমাদের ট্যাক্স দেয়, যারা ট্যাক্স দেয় না তাদের ধরো। গুটিকয় কোম্পানির স্বার্থে বহু ভাল লোকরে আমরা চোর বানাইছি। অথচ ভিওআইপি খুইলা দিলে এবং সবার কাছে কম কম করে টেকা নিলে তো সমস্যা আছিল না।
কিন্তু ভাগ্যের ফেরে, হরে দরে বহু কোম্পানি এই বিজনেস করতেছে। ভিওআইপির জন্য আমাদের কোন মোবাইল কোম্পানি ধরা খেয়ে জরিমানা দেয় নাই? কিন্তু তাই বইলা কোনো বাপের বেটা তাদের মেইন সুইচ বন্ধ কইরা অফিসে তালা লাগাইছে বইলা শুনি নাই। সমাজের বহু ক্ষমতাধর ব্যক্তি এই বিজনেসের সঙ্গে জড়িত। বিটিআরসি এখন খুব সহজে বুঝতেছে যে কে জড়িত। দেশি ফোন কোম্পানিগুলারে সমানে বন্ধ কইরা দিতেছে।
২১টা আইএসপি বন্ধ কইরা দিছে। প্রশ্ন হইলো, বিটিআরসি আগে কেন বুঝে নাই যে, এরা এরা ভিওআইপি করতেছে? জয়নাল যখন হঠাৎ জয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললেন তখনই কেন বেশি কইরা বুঝতে পারলো?
বুঝা যাইতেছে, সরকারের কর্তারা মনে করে, বিটিআরসি মনে করে জয়ের ভিওআইপি করা খারাপ। তারা বিবৃতি দিতেছে যে, না জয় কোনোভাবে এইগুলা করেন নাই। করে নাই ঠিক আছে। মামলা শেষ।
দেখা গেল একে একে ঢাকা ফোন, ওয়ার্ল্ড টেল, রাংকস টেল বন্ধ কইরা দেওয়া হইলো। প্রথমে শুনলাম, বিএনপির ভিওআইপিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হইতেছে। পরে মনে হইতেছে, বিটিআরসি সিজোফ্রেনিয়া আক্রান্ত হইতেছে। অবস্থা দেইখা মনে হইতেছে, ভিওআইপি বন্ধ করতে আর জয় যে ভাল এইটা প্রমাণ করতে সরকার টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা পুরা বিকল কইরাই ছাড়বে। আর এইটা না করলে তারা থামবে না।
নিজেরাই নাকি ভুল বকতেছে এইগুলা বইলা বইলা।
কই জানি দেখলাম, কেউ কইতেছে এয়ারটেলের মার্কেট খোলার জন্য দেশি কোম্পানিগুলারে সাইজ করতেছে। এইটা হইলে খুব খারাপ হবে। কিন্তু আমার মনে হয়, এয়ারটেলরে ঠেকানোর জন্য মোবাইল কোম্পানিগুলার কূটবুদ্ধি যথেষ্ট। এমনে এয়ারটেলের মার্কেট ভাল করা যাবে না।
বরং সরকার একটা ইগো সমস্যায় পড়ছে। ভাবখানা এইরকম যে, সজীব ওয়াজেদ জয়ের ওপর কালিমা লেপন করছো তো তোমাদের কাউরেই আর ভিওআইপি করতে দিমু না।
কিন্তু এদের কে বুঝায় যে, জয় জড়িত হইলে তো সমস্যা নাই। তারেক জড়িত হইলেও সমস্যা নাই। বরং অবস্থা তো এই যে, ভিওআইপি ব্যবসা ধরতে গেলে নাকি রাজধানী উজাড় হয়ে যাবে।
ক্ষমতাধর বহু ব্যক্তি এই লাভজনক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তাই অতিদ্রুত এই জিনিশ ওপেন কইরা দেওয়া দরকার। জাতিকে টেলিফোন ও ইন্টারনেট বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষ করার জন্য এখন যদি জয়নাল আবেদিন ফারুক আইসা কন, জয় ভিওআইপি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত না তাইলেও বিটিআরসির মাথা ঠাণ্ডা হইতে পারে। কিন্তু এদের মোটা মাথা ঠাণ্ডা করা জরুরি হয়া পড়েছে। এর পরে এই মোটা মাথা চিকন কইরা দ্রুত ভিওআইপি খুইলা দিতে হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।