আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পেলের গোলরক্ষকের চিরবিদায়

ব্রাজিল জাতীয় দল অথবা ব্রাজিলিয়ান সিরি এ লিগে সান্তোস ক্লাব। পেলেকে কখনোই পেছন দিকটা নিয়ে চিন্তা করতে হয়নি। জয়রথ ছোটাবার সময় তিনি কখনোই পেছন ফিরে তাকাতেন না। এর প্রয়োজনও ছিল না। অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে সেখানে দায়িত্ব পালন করছেন জিলমার নেভাস।

ডিফেন্ডারদের ফাঁকফোকর গলে দু-একজন দুঃসাহসী স্ট্রাইকার যদিও বা ব্রাজিল কিংবা সান্তোসের ডিবঙ্ েঢুকে পড়তেন, তাকে থামিয়ে দিতেন জিলমার। ১৯৬০-এর দশকে তাকে লোকে চিনত পেলের গোলরক্ষক হিসেবেই। তিনটি বিশ্বকাপে ব্রাজিলের গোলবারের সামনে ছিল অতন্দ্র প্রহরীর মতোই। জয় করেছেন দুটি বিশ্বকাপ। বিশ শতকে ব্রাজিলের শ্রেষ্ঠ এই গোলরক্ষক পৃথিবীকে চিরবিদায় জানালেন।

গত রবিবার সাউপাওলোতে ৮৩ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। গত সপ্তাহে হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল তার। এ থেকে আর সুস্থ হতে পারেননি তিনি। এর আগেও বেশ কয়েকবার হার্ট অ্যাটাক হয়েছে তার। তার মৃত্যুতে সমগ্র ফুটবল বিশ্বেই শোকের ছায়া নেমেছে।

ব্রাজিলিয়ান পত্রিকায় তাকে নিয়ে লেখা হয়েছে, 'সাধারণভাবে সত্য কথা হলো তিনিই সর্বকালের সেরা। কোনো ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষকই তার মতো এতটা ভালো ছিল না এবং ভবিষ্যতেও এমন গোলরক্ষক পাওয়া যাবে না। ' ব্রাজিলিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট হোসে মারিয়া মারিন বলেন, 'তিনি কেবল একজন সেরা গোলরক্ষকই ছিলেন না, বিশ্বের নায়কও ছিলেন। খেলোয়াড় এবং সাধারণ মানুষের জন্য তিনি ছিলেন চমৎকার উদাহরণ। ' জিলমার ১৯৫৩-৬৯ পর্যন্ত ব্রাজিলের জার্সিতে ৯৪টি ম্যাচ খেলেছেন।

এ ছাড়া করিন্থিয়ানসের হয়ে ৪৮৬ এবং সান্তোসের হয়ে ২৬৬টি ম্যাচ খেলেছেন জিলমার।

 

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।