ইট মারলে পাটকেল খেতে প্রস্তুত থাকুন .....
আমেরিকা সফর শেষে দেশে ফিরে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশসহ এ অঞ্চলে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় আমেরিকা গোয়েন্দা সংস্থা সহায়তা দেবে। একইসঙ্গে আমাদের দেশের র্যাব, পুলিশ ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মামলার তদন্ত কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ প্রদানের ব্যাপারেও আমেরিকা ইচ্ছা পোষণ করেছে। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধকালীন যারা অপরাধ করেছে, তাদের বিচার হবে মানবতাবিরোধী অপরাধে, যুদ্ধাপরাধ আইনে নয়। কাজেই এখন থেকে সবাইকে যুদ্ধাপরাধের পরিবর্তে মানবতাবিরোধী শব্দ ব্যবহার করতে হবে। পাকিস্তানের সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীসহ ইসলামী দলগুলোর কোনো সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কিনা—আমেরিকা সেটাও খুঁজে দেখছে।
গতকাল সচিবালয়ে তার দফতরে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। ৬ মার্চ তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের আমন্ত্রণে রাষ্ট্রীয় সফরে সেদেশে যান।
আমেরিকা সফরের সময় তিনি সেখানকার স্টেট ও ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গেও সাক্ষাত্ করেন। তিনি গতকাল সকালে দেশে ফেরেন। প্রেসব্রিফিংয়ে তিনি সফরের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন।
তিনি বলেন, জঙ্গিদের অর্থ সহায়তা বন্ধ ও পাচার করা অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারেও সহায়তা দেয়ার আশ্বাস দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তারা বাংলাদেশের মানি লন্ডারিং আইন আরও সংশোধন করারও পরামর্শ দিয়েছে। পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার পলাতক বাকি আসামিদের মধ্যে যদি আমেরিকায় কেউ থেকে থাকে, তাদের খোঁজ নিয়ে ফেরত পাঠাবে। এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় খুন, ধর্ষণ, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের সঙ্গে জড়িতদের মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ হিসেবে ধরে নিয়ে বিচার করা হবে। এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধের আইনে নয়, বিচার হবে আন্তর্জাতিক মানবতাবিরোধী অপরাধ আইনে।
এ কারণে সবাইকে যুদ্ধাপরাধ শব্দটির ব্যবহার বাদ দিতে হবে।
সূত্র: আমার দেশ/আমাদের সময়
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।