আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কোরআন কথা.........

সত্যকে গ্রহন করি

হে মানবজাতি! আমি তোমাদেরকে এক মানব ও মানবী থেকে সৃষ্টি করেছি। অতঃপর তোমাদেরকে বিভক্ত করেছি বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে যাতে তোমরা পরস্পর পরিচিত হও। প্রকৃতপক্ষে তোমাদের মাঝে ঐ ব্যক্তিই আল্লাহর কাছে সর্বশ্রেষ্ঠ যে সবচেয়ে বেশি পরহেজগার/তাকওয়ার অধিকারী । (সুরা আল-হুজুরাত:১৩) ব্যাখ্যা: ইসলাম কখনোই বংশগত আভিজাত্য, শিক্ষা, মেধা, ধনসম্পদ ইত্যাদিকে শ্রেষ্ঠত্বের মাপকাঠি হিসেবে গ্রহণ করে না। ইসলামে শ্রেষ্ঠত্বের ভিত্তি হলো তাকওয়া বা খোদাভীতি।

ইসলামের এই আভিজাত্যের দরজা সবার জন্য উন্মুক্ত। তা সে ছোট-বড়, ধনী-গরিব, শিক্ষিত-অশিক্ষিত যেই হোক না কেন। এই শ্রেষ্ঠত্ব যে কেউ অর্জন করতে পারে, এমনকি সমাজের সবচেয়ে কম মর্যাদাবিশিষ্ট মানুষটিও। এ ক্ষেত্রে বংশ, শিক্ষা, মেধা বা ধনসম্পদ কোন বাধা নয়। তাকওয়া বা খোদাভিতি মানে শুধু নামায,রোযা আর হজ্ব করা নয়।

এর অর্থ হলো আল্লাহর ভয়ে ভীত হয়ে সকল মন্দ কাজ থেকে দুরে থাকা এবং জীবনের সকল ক্ষেত্রে সততাকে প্রাধান্য দেয়া। ঐ ব্যাক্তিই প্রকৃত তাকওয়ার অধিকারি যে ইসলামের মুল ৫ টি ভিত্তি যথাযথভাবে মেনে চলে এবং মানুষের অধিকার রক্ষা করে, হতে পারে তা পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র- অর্থাত জিবনের প্রত্যেক ক্ষেত্রে। যে কেউ চাইলেই নেপোলিয়ান বা আইনস্টাইন হতে পারে না কিংবা ভালো বংশে জন্মগ্রহণ করতে পারে না। কিন্তু ইসলামের এই শ্রেষ্ঠত্ব যে কেউ অর্জন করতে পারে। আর সকল মানুষ যে একই উতস থেকে আগত এবং সবাই সমান এ আয়াতে তাও বলা হয়েছে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.