হে মুসলমান ভাইয়েরা! জেনে রাখুন, মহান আল্লাহ তাঁর প্রিয় হাবিবকে অগণিত মোজেজা তথা অলৌকিক নির্দেশনাবলি দ্বারা সাহায্য করেছেন। যেগুলো তাঁর নবুয়্যত ও রিসালাতের সত্যতার ওপর জ্বলন্ত প্রমাণ। মহানবী (সা.)-এর মোজেজাসমূহের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ মোজেজা হলো 'আল কোরআন' যা মহাবিজ্ঞানময় এবং যা দিয়ে মহান আল্লাহ কিয়ামত পর্যন্ত সব মানব দানবের সঙ্গে এর যে কোনো একটি সূরার ন্যায় সূরাহ তৈরি করে চ্যালেঞ্জ করার আহ্বান করেছেন। কিন্তু দুনিয়ার কেউই অদ্যাবধি ওই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে সক্ষম হয়নি।
বিশ্বনবীর মোজেজাসমূহের মধ্যে সবচেয়ে অধিক প্রসদ্ধি মোজেজাগুলোর একটি হলো তাঁর হাতের ইশারায় চন্দ্র দ্বিখণ্ডিত হওয়া, যখন কাফেররা এর দাবি উত্থাপন করেছিল।
হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত আবদুল্লাহ বিন সালাম হজরত রাসূলে পাক (সা.)-এর মদিনায় আগমনের সংবাদ জানতে পেলেন, এ সময় তিনি নিজস্ব একটি বাগানে খেজুর পারছিলেন।
অতঃপর তিনি হুজুর (সা.)-এর খেদমতে হাজির হয়ে বললেন, আমি আপনাকে এমন তিনটি প্রশ্ন করব যার উত্তর নবী ব্যতীত আর কেউ জানেন না। ১. কিয়ামতের সর্বপ্রথম আলামত কি? ২. বেহেশতবাসীর সর্বপ্রথম খাদ্য কি? ৩. কিসের কারণে সন্তান কখনো পিতার অনুরূপ হয়, আবার কখনো তার মায়ের মতো হয়? নবী করীম (সা.) বললেন, এ বিষয়গুলো সম্পর্কে হজরত জিব্রাঈল (আ.) এই মাত্র আমাকে অবহিত করে গেলেন।
কিয়ামতের সর্বপ্রথম আলামত হলো একটি অগ্নিকুণ্ড, যা লোকদের পূর্ব দিক থেকে পশ্চিম দিকে একত্রিত করবে। আর জান্নাতবাসী সর্বপ্রথম যে খাদ্য ভক্ষণ করবে তা হলো মাছের কলিজার অতিরিক্ত অংশ।
আর সন্তানের ব্যাপার হলো, যদি স্ত্রীর বীর্যের আগে স্বামীর বীর্যের স্খলন ঘটে তাহলে সন্তান বাপের আকৃতি ধারণ করে। পক্ষান্তরে যদি স্ত্রীর বীর্যের প্রাধান্য ঘটে তাহলে সন্তান মায়ের মতো আকৃতি ধারণ করে।
বিশ্বনবীর বৈশষ্ট্যিসমূহের মধ্যে থেকে একটি বৈশষ্ট্যি এই যে, মহান আল্লাহ তাঁকে মাকারেমে আখলাক তথা মহত্ গুণাবলি ও চারিত্রিক মাধুর্য দান করেছেন, যা অন্য কারও ভাগ্যে জোটেনি। হজরত জাবির (রা.) বর্ণনা করেন, হজরত রাসূল (সা.) বলেন, আমাকে পাঁচটি বস্তু দেওয়া হয়েছে, যেগুলো ইতোপূর্বে কাউকে দেওয়া হয়নি। ১. এক মাসের দূরত্ব পর্যন্ত প্রভাব ও প্রতিপত্তি দিয়ে আমাকে সাহায্য করা হয়েছে।
২. গোটা জমিনের পৃষ্ঠদেশ আমার উম্মতের জন্য মসজিদ ও পবিত্র ঘোষণা করা হয়েছে। ৩. আমার জন্য গণিমতের মাল হালাল করা হয়েছে, অথচ আমার পূর্বে কোনো জাতির জন্য উহা হালাল করা হয়নি। ৪. আমাকে শাফায়াতের অধিকার দেওয়া হয়েছে। ৫. পূর্বাকার নবীকে কেবল তার সম্প্রদায়ের হেদায়াতের জন্য পাঠানো হতো কিন্তু আমাকে দুনিয়ার সব মানব দানবের হেদায়াতের জন্য পাঠানো হয়েছে। আল্লাহতায়ালা আমাদের সবাইকে রাসূল (সা.) এর প্রতি বেশি বেশি সম্মান প্রদর্শন করার তওফিক দিন।
লেখক: খতিব, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।