আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জয়ের ফোনের নেশা

থেমে যাবো বলে তো পথ চলা শুরু করিনি।

জয়ের ফোনের নেশা জয় এসে ‌'বিজয়' করলেন। প্রথম ইনিংস খেলতে এসেছিলেন আজ থেকে কয়েক বছর আগে। তখন তার মা বিরোধী দলের প্রধান ছিলেন, কিবরিয়া সাহেব বেঁচে ছিলেন। জয়কে রাজনীতিতে আনবার জন্যেই বিদেশীনি বধুসহ মা দেশে আনিয়েছিলেন।

কিন্তু বৌমা রাজি হন নি এ দেশে থাকতে। কেননা তাদের আমেরিকা বাংলাদেশ থেকে ভাল। তাই জয় ভাবলেন যে ফোনের মাধ্যমেই দেশের সাথে যোগাযোগ রাখবেন। এটাই তো স্বাভাবিক। বিদেশে বসবাসকারীরা তো ফোনের মাধ্যমেই দেশের স্বজনদের সাথে যোগাযোগ রাখেন।

তার মায়ের প্রথম ইনিংসে ফোনের ব্যবসা করে তিনি লাল হয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু মা হেরে যাওয়ায় তিনি নতুন যুবরাজের সাথে আর পাল্লা দিয়ে উঠতে পারলেন না। তাই মানে মানে তার নিজের দেশে চলে গেলেন। মানে রখবেন, এই 'খেলুড়ে বালক'-এর নাগরিকত্ব কিন্তু 'আমেরিকান'। আমেরিকানরা কি তা হলে দেশের নামে নাগরিকত্ব দেয়? নাকি জাতির নামে দেয়? আমরা যে জাতির নামে দেব, ভারতীয় বাঙালী আর বাংলাদেশের বাঙালীর মধ্যে কোন তফাৎ করবো না।

এটা একটা ভাল বুদ্ধি। আল্লাহ সবচেয়ে রহমকারী সত্ত্বা। তিনি তাই জয়ের মাকে বিজয় দিয়েছেন। ফলে জয়ের সুবিধা হয়েছে ফোন করার। তাই ফোন নিয়ে তিনি একটু আধটু ব্যবস্ করতেই পারেন।

দেশের বিরুদ্ধে তো আর লেখালেখি করতেছে না। কোথাকার কোন জয়নাল না কে, সে বলে কিনা জয় অবৈধ ফোনের ব্যবসা করছে। ছাগল নাকি? এই সরকারের কেউ দুর্নীতির সাথে জড়িত নয়। প্রধানমন্ত্রীর এই কথা মিথ্যা হতে পারে না। এই উপপাদ্য অনুযায়ী জয় 'অবৈধ ফোনের ব্যবসা করছে' না।

কিন্তু কোথায় যেন দুর্নীতি হচ্ছে। কোথায় জানি ছন্দ কেটে যাচ্ছে? পাঠক জানেন নাকি, ব্যপারটা কি?

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.