জানিনা পৌছাতে পারব কিনা! হয়ত না, কিংবা হ্যা......
গত ৬ বছর যাবত গ্রামীনফোন ব্যবহার করে আসছি, প্রথম ৪ বছর গ্রামীনফোনের অন্ধভক্ত ছিলাম । সেই সময়গুলোতে গ্রামীনফোনের বিরুদ্ধে কোন কথা শুনলেই সঙ্গে সঙ্গে তার প্রতিউত্তর দিতে কখনই ভুলিনাই । কিন্তু গ্রামীন ইন্টারনেট যেদিন থেকে ব্যবহার শুরু করলাম, তখন থেকে ওদের উপর কেন জানি ধীরে ধীরে একটা প্রবল ঘৃণার সৃষ্টি হওয়া শুরু করল । এখনো ওদের বিরুদ্ধে আমার অবস্থান দেখে নিজেই নিজেকে চিনতে পারিনা । কিন্তু সত্যি ওদের প্রতি এক সময় অনেক অনেক ভালবাসা ছিল ।
এখন কিসের আরো ভালবাসা থাকবে, ঘৃণা রাখার জায়গা পাইনা । ঘৃণার শুরুটা ছিল এরকম, গ্রামীন ইন্টারনেট ব্যবহারের প্রথম দিকে একদম কম স্পীড পেতাম, হঠাত একদিন অভিযোগ করে ভাল ফল পেলাম । ওরা গ্রাহকের সম্মান দিতে ভালই জানে, তারপর থেকে কোনো সমস্যা হওয়া মাত্র ওদের জানাতাম, ২-৩ দিনের মধ্যেই স্পীড ভাল হয়ে যেত । কিন্তু যখন থেকে ওরা ওদের ব্র্যান্ডের মডেম বিক্রি শুরু করল, তার ২-৩ মাস থেকে নেটের স্পীড একদম কম পাওয়া শুরু করলাম । তখন বুঝলাম, ওরা আর ওদের গ্রাহক এর দিকে তাকাচ্ছে না, তাকাচ্ছে শুধু টাকার দিকে ।
কারন ওদের দাবি যে, ওরা EDGE সারভিস প্রদান করে, যার স্পীড হওয়া উচিত ২৩৬ কেবিপিএস অরথাত ২৯.৫ কিলো বাইট/ সেকেন্ড । আমি আগে মোটামুটি ২০-২২ কিলো বাইট/ সেকেন্ড পাচ্ছিলাম, আর মাসিক ৯৭৭ টাকা করে দিতাম । কিন্তু তারা ২৯.৫ এর জায়গায় ২০ তো দূরের কথা, এখন ১০-১২ কিলো বাইট/ সেকেন্ড হলে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে হয়, কারণ মাঝে মাঝে ২-৩ এও সন্তূষ্ট থাকতে হয় ।
ওদের সমস্যা টা কি????
এরপরে আসা যাক মোবাইল কল এর সমাচার এ, ওরা মাঝে মাঝেই অনেক সুন্দর সুন্দর অফার দেয় । আমি শুধু একটা উদাহরণ ই দিব (আমার লেখাটা অন্তঃস্থ হলে এরকম অনেক অফার ই খুজে পাবেন ওদের)।
কিছুদিন আগে ওরা একটা অফার দেয়, যেটাতে লিখা ছিল যে, ON লিখে পাঠালেই ৯৯ পয়সায় জিপি-জিপি কথা বলা যাবে । বেশ ভাল কথা । অধিক আগ্রহের সাথে অফারটি চালু করলাম । করে ই দেখি যে, নিচে ছোট্ট করে লেখা যে, এই কল রেট পেতে হলে ৫০ টাকার কথা বলতে হবে । মেজাজ উঠল চরমে! ওম্নি আমার পুরান ওয়ারিদ সিমটা চালু করলাম শুধু কল করার জন্য, আর গ্রামীন শুধু ইনকামিং এর জন্য রাখছি, কারন আমার গ্রামীন এর নম্বর টা মাশাআল্লাহ অনেক সুন্দর, আর সবাই নম্বরটা জানে, তাই নম্বর টা পরিবরতন করা সহজ মনে করলাম না ।
আর একটা ঘটনা, মন মেজাজ তো গ্রামীন এর উপর এমনি তেই চড়তি! এমতাবস্থায় সুখের সংবাদ শুনলাম যে গ্রামীন এর কল রেট কমছে । আবারো অতি উতসাহের সহিত অফার চালু করলাম, করে ই দেখি যে নিচে ছোট্ট করে লিখা যে ‘আপন ‘ এবং ‘ডিজুস ‘ এ প্রথম মিনিটে ৯ পয়সা এবং ‘সহজ ‘ এবং ‘বন্ধু ‘ এর ক্ষেত্রে প্রথম মিনিটে ৩০ পয়সা কাটা যাবে, অম্নি যথারীতি মেজাজ চরমে ! তখন ই এই ব্লগটা লিখতে বসলাম । এসব Cheating বুদ্ধি যাদের মাথা থেকে আসে হয়তবা তাদের গালে মন শান্তি করে থাপ্পড় লাগাতে পারবনা ঠিক ই, কিন্তু এটা লেখাতে কিছুটা রাগ অন্তত কমবে, তাই লিখতে বসা…
আমি জানি, এই চরচা শুধু গ্রামীন ই করেনা অন্যান্য অপারেটর ও করে । আমার বক্তব্য হল যে, যেখানে বাংলাদেশ এর শতকরা ৬০ ভাগ জনগণ মোটামুটি অশিক্ষিত,তাদের ২০ ভাগ এর বেশি জনগণ কিন্তু মোবাইল ঠিক ই ব্যবহার করে –
“সুতরাং এই চরচা কে কি Cheating/Fraud এর আওতায় ফেলা যায়না??? ”
এটি একটি জাতীয় সমস্যা, এর সুরাহা-ই বা কি??
আপনাদের কাউরো জানা থাকলে, অনুগ্রহপূরবক বর্ণন করবেন ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।