ফুলের সৌরভে সুরভিত কলমের কণ্ঠস্বর
হটাৎ করে পাল্টে গিয়েছিল আনজুরহাট হাইস্কুলের স্বাভাবিক পরিস্থিতি। স্কুলে ক্লাস ঠিক মতো হয় না এই মর্মে স্কুলের সভাপতি জনাব বি এম হোসেন (কাশেমগজ্ঞ হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক) এর কাছে আবদেন করে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা। সভাপতি স্কুলে এসে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে দোষত্রুটি না দেখে অযথাই দায়ীত্ব থেকে অব্যহতি দিলেন।
প্রতিবাদে গত ১১ মার্চ স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা আন্দোলন ও ধর্মঘটের ডাক দেয়। তাদের দাবী স্কুলে ঠিক মতো লেখা পড়া হতে হবে এবং ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জনাব আবদুল হক মাষ্টারকে আবারও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে পুণর্বহাল করতে হবে।
গত ২৯ ডিসেম্বর ২০০৯ তারিখ আনজুরহাট হাইস্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষক বাবু মন্টু কুমার দাস মৃত্যু বরণ করলে আনজুরহাট হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের পদ শুন্য হয়। তখন সিনিয়র ও যোগ্যতার ভিত্তিতে জনাব আবদুল হক মাষ্টারকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক করা হয়। এর মধ্যে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের জন্য দৈনিক ভোরের কাগজ পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হওয়ার পর প্রধান শিক্ষক পদের জন্য কয়েকজন প্রার্থী সভাপতি সহ বিভিন্ন মহলে তদবীর শুরু করে দেন। সভাপতি উপযুক্ত ব্যক্তি রেখে অনুপোযুক্ত এক ব্যক্তিকে প্রধান শিক্ষক করার লক্ষে মরিয়া হয়ে ওঠেন।
বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পদে থাকলে সভাপতি তার পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ প্রদান করতে পারবেন না।
এসময় ঠিক মতো লেখা পড়া হয়না আবেদনটি সভাপতির কাছে তার পছন্দের প্রধান শিক্ষক নিয়োগের জন্য একটি সুযোগ হয়ে আসে। তিনি সুযোগ কাজে লাগলেন গত ১০ মার্চ। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবদুল হক মাষ্টার তখন ছুটিতে ছিলেন। সভাপতি স্কুলে এসে তাকে ইনএকটিভ প্রধান শিক্ষক ঘোষনা করে দায়ীত্ব থেকে অপসারন করেন। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়ীত্ব প্রধান করেন জনাব নুরুল আমিন মাষ্টারকে ।
যিনি সপ্তাহে তিন দিনেরও বেশী সময় স্কুলে অনুপস্থিত থাকেন। উনাকে স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্যেও জোর তদবীর চলছে।
ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলনের মুখে স্কুলের ক্লাস বন্ধ হয়ে গেলে ভোলা - ৪ আসনের মাননীয় সাংসদ জনাব আবদুল্লাহ আল জ্যাকবের নির্দেশে সভাপতি জনাব বিএম হোসেন কে অপসারন করা হয় এবং জনাব আবদুল হক মাষ্টারকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে পুনর্বহাল করা হয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।