আমি ১নং ফকীর / প্লাস ভীক্ষা দেনগ মাই
* বাংলাদেশে জামাতে ইসলামের সাথে পাকিস্তানী জঙ্গি সংগঠন লস্করে তৈয়্যেবার সম্পর্ক রয়েছে
* বঙ্গবন্ধুর ঘাতকেরা যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে থাকার কোন তথ্য স্টেট ডিপার্টমেন্টে নেই
আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ যুক্তরাষ্ট্রে এসেছেন ৭ মার্চ। স্টেট ডিপার্টমেন্ট, হোমল্যান্ড সিকিউরিটি এবং জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে দ্বিপাক্ষিক বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা করছেন। তাঁর সাথে রয়েছেন এটর্নী জেনারেল মাহবুবে আলম। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিয়ার রহমান১০ মার্চ ফিরে গেছেন ঢাকায়। ১৬ মার্চ ফিরবেন আইনমন্ত্রী এবং এটর্নী জেনারেল।
সরকারী কর্মসূচির বাইরে আইনমন্ত্রী ওয়াশিংটন মেট্রএলাকায় প্রবাসীদের সাথে মতবিনিময় করেন ১১ মার্চ। ১৩ মার্চ অপরাহ্নে (বাংলাদেশ সময় রোববার ভোর) নিউইয়র্কে সুধী সমাজের সাথে মতবিনিময়ের কথা। ভার্জিনিয়ায় তাঁর হোটেল কক্ষে বার্তা সংস্থা এনাকে এক সাক্ষাৎকার প্রদান করেন ১২ মার্চ। সাক্ষাৎকারটি গ্রহণ করেন এনার বিশেষ সংবাদদাতা শিব্বির আহমেদ। সাক্ষাতকারে তিনি বঙ্গবন্ধুর ঘাতক, বাংলাদেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রসঙ্গে নানা কথা বলেছেন।
এখানে তা উপস্থাপন করা হলো প্রশ্নোত্তর আকারে।
প্রশ্ন ঃ কেমন হলো আপনার সফর?
উত্তর ঃ খুবই ভালো। আমরা এসেছিলাম বাংলাদেশ থেকে পাচারকৃত অর্থ কীভাবে ফিরিয়ে নেয়া যায় সে ব্যাপারে আলোচনার জন্যে। আপনারা জানেন, বিএনপি-জামাত জোট সরকারের আমলে সে সময়ের প্রভাবশালী অনেকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার ঘটিয়ে দুর্নীতি করেছেন। অবৈধ পথে অর্জিত বিপুল অর্থ যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে তারা পাচার করেছেন।
পাচারকৃত অর্থ বাংলাদেশে যাবার কথা। কিন্তু তা নানা কারণে আটকে রয়েছে। এছাড়া, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসীদের নিয়ন্ত্রণ কীভাবে করা যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আঞ্চলিক টাস্কফোর্স গঠনের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন-সে ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের সার্বিক সহায়তার আশ্বাস পেয়েছি। বাংলাদেশের সন্ত্রাসবিরোধী আঞ্চলিক অবস্থানের জোরালো সমর্থক এবং ভবিষ্যতে একে আরো কার্যকর করার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন এটর্নী জেনারেল এরিক হোল্ডার এবং সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী (দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া) রবার্ট ব্লেক। বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থাকে আধুনিক প্রযুক্তির আওতায় আনার লক্ষ্যেও যাবতীয় সহায়তার অঙ্গিকার করেছেন মার্কিন এটর্নী জেনারেল।
গত ১৫ মাসে বাংলাদেশের সামগ্রিক কল্যাণমূলক কর্মকান্ডে গভীর সন্তোষ প্রকাশ করেছেন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী রবার্ট ব্লেক। বাংলাদেশের বর্তমান প্রশাসনকে যুক্তরাষ্ট্র অব্যাহতভাবে সহায়তা দিয়ে যাবে বলেও উল্লেখ করেছেন মিঃ ব্লেক। বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়া এবং পৃথিবীর অন্যান্য অঞ্চলের জন্য একটি উদাহরণ হিসেবে আখ্যায়িত করেন তিনি। এ প্রসংগে বিশেষভাবে বাজেট ঘাটতি হ্রাস, অর্থনৈতিক অগ্রগতি এবং শিক্ষাক্ষেত্রে সংস্কার কর্মসূচীর কথার উল্লেখ করে এগুলোকে অন্যান্য দেশের জন্য অনুসরণযোগ্য দৃষ্টান্ত বলে মন্তব্য করেন মিঃ ব্লেক । যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যকার পারস্পরিক আইনগত সহযোগিতা, স¤পদ পুনরুদ্ধার কার্যক্রম, অবৈধভাবে অর্থ পাচার রোধমূলক উদ্যোগ ইত্যাদি বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার গৃহিত বিভিন্ন পদক্ষেপ বিষয়ে জনাব হোল্ডারকে অবহিত করছি।
আমাদের এটর্নী জেনারেল মাহবুবে আলম আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং দোষী ব্যক্তিদের শাস্তি না দেওয়ার সংস্কৃতি অবসানের লক্ষ্যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস¦ীকৃত খুনীদের খোলা এবং স¦চ্ছ বিচার, বিচারের রায় এবং ফাঁসির আদেশ কার্যকরের কথা মার্কিন এটর্নী জেনারেলকে অবহিত করেন। এ সময় আমরা আদালতের রায় বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিদেশে অবস্থানরত বঙ্গবন্ধুর আত্মস¦ীকৃত খুনীদের বাংলাদেশে ফেরৎ পাঠানোর বিষয়ে মার্কিন সহযোগিতা কামনা করেছি। বাংলাদেশে আইনের শাসন প্রতিঠায় যুক্তরাষ্ট্র সম্ভাব্য সবধরণের সহযোগিতা দেবে এবং বাংলাদেশের বিচার সেবায় অটোমেশন বা যান্ত্রিকীকরণের জন্য প্রয়োজনীয় বৈজ্ঞানিক ও কারিগরী সহায়তা প্রদানেরও আশ্বাস দেন মার্কিন এটর্নী জেনারেল।
বাংলাদেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সেবা মান আরো কার্যকর করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ পুলিশ ও র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটেলিয়নের জন্য প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধির কর্মসূচীতে মার্কিন সহযোগিতার জন্য জনাব হোল্ডারকে অনুরোধ জানিয়েছি। মার্কিন এটর্নী জেনারেল এ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় সহযোগিতার জন্য তাৎক্ষনিক সম¥তি জ্ঞাপন করে তার দফতরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
প্রশ্নঃ ধর্মীয় জঙ্গিবাদের আস্তানা কী বাংলাদেশেও রয়েছে?
উত্তর ঃ জাঙ্গিবাদ এবং সন্ত্রাসীরা আফগানিস্তানে মার খাচ্ছে। তারা সেখান থেকে পাকিস্তান এবং ভারত হয়ে বাংলাদেশে আস্তানা গাড়ার চেষ্টা করছে। ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের জঙ্গি গ্র“প লস্করে তৈয়্যেবার কয়েকজন সশস্ত্র জঙ্গি গ্রেফতার হয়েছে বাংলাদেশে। তাদের বক্তব্যে প্রকাশ পেয়েছে যে বাংলাদেশে জামাতে ইসলামের সাথে লস্করে তৈয়্যেবার সম্পর্ক রয়েছে।
প্রশ্ন ঃ অনেকদিন থেকেই বলা হচ্ছে যে বঙ্গবন্ধুর ঘাতক হিসেবে দন্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে যারা পলাতক তাদের কেউ যুক্তরাষ্ট্রে আত্মগোপন করে থাকতে পারে।
এ ব্যাপারে কোন তথ্য স্টেট ডিপার্টমেন্ট অথবা হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্ট থেকে পেলেন কি?
উত্তর ঃ বঙ্গবন্ধুর ঘাতকেরা পালিয়ে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে-এ ব্যাপারে এ পর্যন্ত তারা কিছু জানেন না। জানতে পারলে তারা দ্রুত পদক্ষেপ নেবেন বলে জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে প্রবাসী বাংলাদেশীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন। কেউ যদি পালিয়ে থাকেন, তাহলে তা নিশ্চিত হওয়া মাত্র যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন অথবা বাংলাদেশ দূতাবাসকে জানালেই যথাযথ প্রক্রিয়া অবলম্বন করা হবে। ইতিমধ্যেই কানাডায় নূর চৌধুরীকে শনাক্ত করা হয়েছে।
তাকে বাংলাদেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। তাবে কানাডা থেকে বহিষ্কারের নির্দেশ জারীর পর পাসপোর্ট আটক করা হয়েছে। কানাডার আইন অনুযায়ী তার আপিলের শুনানী চলছে। এটি শেষ হলেই তাকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ব্যাপারে কানাডায় বাংলাদেশের হাই কমিশনার সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন।
একাত্তরের ঘাতকদের ব্যাপারেও প্রবাসীরা সহযোগিতা করতে পারেন ওদের বাংলাদেশে ফিরিয়ে নিতে। আমরা এ ব্যাপারেও বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
প্রশ্ন ঃ একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের মনোভাব কি?
উত্তর ঃ যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন কোন ধরনের আপত্তি করেনি। প্রকৃত অর্থে কোন দেশ থেকেই কোন ধরনের আপত্তি উঠেনি। সকলেই মানবতার শত্র“দের যথাযথ বিচার দেখতে চায়।
না বুঝে বাংলাদেশে পাকিস্তানী হাই কমিশনার ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর একটি কথা বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন যে, সিমলা চুক্তিতে নাকি যুদ্ধাপরাধীদের অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। কিন্তু তার বক্তব্য একটুও সত্য নয়। ১৯৭১ সালে যে সব পাকিস্তানী (পরবর্তিতে বাংলাদেশী) মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ করেছে, খুন, হত্যা, ধর্ষণ, লুন্ঠন এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের বিচারের জন্যে ১৯৭৩ সালে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল ট্রাইব্যুনাল এ্যাক্ট প্রণয়ন করা হয়েছে। সে এ্যাক্ট অনুযায়ী আমরা বাংলাদেশী অপরাধীদের বিচার করছি।
এটাকে যুদ্ধবন্দিদের বিচার বলা বা ভাবা সমীচিন নয়।
প্রশ্ন ঃ যুক্তরাষ্ট্রে জামাত-শিবিরের সমর্থকেরা জাতিসংঘসহ বিভিন্ন সংস্থায় লবিং চালাচ্ছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার থেকে সরকারকে বিরত করতে।
উত্তর ঃ সে তথ্য আমার কাছেও রয়েছে। তারা জাতিসংঘে স্মারকলিপি দিয়েছে সেটিও আমরা জানি। তবে জাতিসংঘ চাচ্ছে বিচার যেন আন্তর্জাতিক মানের হয়।
বিচার যেন সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়, বিচারে যেন স্বচ্ছতা বজায় থাকে। আমরাও সেভাবেই করছি সবকিছু। এজন্যেই সতর্কতার সাথে এগুচ্ছি আমরা। এমন কোন কাজ আমরা করতে চাই না যা নিয়ে ভবিষ্যতে বিতর্কের অবতারণা হয়। ইতিমধ্যেই বিশ্ববাসী বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিচার প্রত্যক্ষ করেছেন।
একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া সম্পর্কে আমরা যখন স্থির সিদ্ধান্ত নিয়েছি তখনই তাকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র এবং জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মিত্ররা। প্রবাসে জামাত-শিবিরের সমর্থকদের ন্যাক্কারজনক তৎপরতার ব্যাপারে প্রতিটি প্রবাসীকে সজাগ থাকতে হবে এবং ওদের একাত্তরের কুৎসিত চেহারার ব্যাপারে আন্তর্জাতিক মিত্রদের অবহিত করতে হবে সচেতন প্রবাসীদের। কেননা একাত্তরের ঘাতকদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার পথ সংহত হবে না। এটা সভ্য সমাজের দাবি। জাতিসংঘে আমাদের স্থায়ী প্রতিনিধিও সংশ্লিষ্ট মহলকে একাত্তরের ঘাতকদের ব্যাপারে অবহিত করেছেন।
প্রশ্ন ঃ হঠাৎ করে প্রবাসে জামাত সমর্থকেরা সোচ্চার হলো কেন?
উত্তর ঃ খুবই সহজ উত্তর। বাহাত্তরের সংবিধান পুনরুজ্জীবিত হতে যাচ্ছে, সেটি কার্যকর হওয়া মাত্র জামাত-শিবির নিষিদ্ধ হয়ে যাবে। বাহাত্তরের সংবিধানে ধর্মভিত্তিক রাজনীতির কোনই সুযোগ নেই। জিয়াউর রহমান সামরিক ফরমানের মাধ্যমে সংবিধানকে পরিবর্তন করেছিলেন। পঞ্চম সংশোধনী বাতিলের ফলে জিয়ার আমলের সবকিছু অবৈধ হয়ে গেছে।
এটাই ওদের ভীতির কারণ এবং ওরা এখন মরণ কামড় দিয়েছে এবং সরকারের বিরুদ্ধে বহুমুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।
প্রশ্ন ঃ ধর্মকে রাজনীতির সাথে গুলিয়ে ফেরার মাধ্যমে জিয়াউর রহমান কি বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটিয়েছিলেন বলে আপনারা মনে করেন?
উত্তর ঃ ইসলামিক রাজনীতির মাধ্যমেই জিয়াউর রহমান ধর্মীয় জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটিয়েছিলেন পাকিস্তানের ছত্রছায়ায়। ১৯৭৫ সালে জাতিরজনককে হত্যার নেপথ্যে ছিল পাকিস্তান। আইএসআইয়ের মদদে বঙ্গবন্ধুসহ জাতীয় ৪ নেতাকে হত্যার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের মহান আদর্শকে সংবিধান থেকে মুছে ফেলে পাকিস্তানের দিকে নিয়ে যাওয়াই ছিল মূল লক্ষ্য। গত নির্বাচনের রায় অনুযায়ী আমরা বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে পুনপ্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর।
প্রশ্ন ঃ স্বাধীনতার ঘোষক বিতর্কের অবসান ঘটাবেন কীভাবে?
উত্তর ঃ জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বলাটা বেআইনী। জীবিত থাকতে কখনোই জিয়াউর রহমান তেমন দাবি করেননি। তাই যারা বেআইনী তৎপরতায় লিপ্ত হবেন আইন তাদের সংশোধন করতে বাধ্য।
প্রশ্ন ঃ বিচার প্রক্রিয়া কতদূর এগিয়েছে?
উত্তর ঃ পুরাতন হাই কোর্ট ভবনের যে কক্ষে প্রধান বিচারপতি বসতেন, সে কক্ষটিকে এজলাসে পরিণত করা হচ্ছে। আশপাশের কক্ষগুলোতে বসবেন বিচারের সাথে সম্পৃক্ত আইনজীবী, তদন্ত কর্মকর্তা এবং পর্যবেক্ষকেরা।
বিদেশী পর্যবেক্ষকেরাও সেখানে থাকবেন।
প্রশ্ন ঃ যুদ্ধাপরাধী হিসেবে এখন পর্যন্ত কি কাউকে শনাক্ত করা হয়েছে?
উত্তর ঃ ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে যারা মানুষ হত্যা করেছে, ধর্ষণ করেছে, বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিয়েছে, সে সব ব্যাপারে তথ্য-উপাত্ত অবশ্যই সরকারের কাছে রয়েছে। তবে তদন্তকারী কর্মকর্তা যখন নিয়োগ করা হবে, তারা যখন তদন্ত করবেন, সে সব তথ্যভিত্তিক হবে বলেই আমরা মনে করি প্রকৃত অর্থে যারা ক্রিমিনাল তারাই বিচারে সোপর্দ হবে। চলতি বছরেই বিচার সম্পন্নের যাবতীয় প্রস্তুতি রয়েছে।
প্রশ্ন ঃ তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ হচ্ছেন কারা?
উত্তর ঃ দক্ষ, সৎ, যোগ্যরাই নিয়োগ পাচ্ছেন।
যারা মামলা পরিচালনা করবেন তারা আন্তর্জাতিক মানের আইনজীবী। ট্রাইব্যুনালে যারা থাকবেন তারাও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন বিচারপতি। সুপ্রিম কোর্টে দায়িত্বরত আছেন বা ছিলেন অথবা সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি হওয়ার যোগ্যতা রয়েছে তারাই থাকবেন বিচারালয়ে। সবকিছু চলবে স্বচ্ছভাবে এবং আইনের মাধ্যমে।
প্রশ্ন ঃ বাংলাদেশে বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড চলছে এখনও-এভাবে কী আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা পাবে?
উত্তর ঃ আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছি আইনের শাসনে ফিরে যেতে।
এজন্যে প্রবাসীদের আন্তরিক সহায়তা দরকার। তারা যখনই কোন বেআইনী কাজের সংবাদ পাবেন তা যেন সাথে সাথে প্রশাসনের নজরে আনেন। এরপর সংশ্লিষ্ট প্রশাসন যদি তৎপর না হয় বা গড়িমসি করেন-তাহলে উর্দ্ধতন কর্মকর্তাকে জানাতে হবে। সর্বোপরী মিডিয়াতো রয়েছেই। মিডিয়া পূর্ণ স্বাধীনভাবে কাজ করেেছ।
আশা করছি মিডিয়াগুলো তাদের দায়িত্ব অত্যন্ত বস্তুনিষ্ঠতার সাথে পালন করে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে সুসংহত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা অব্যাহত রাখবেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।