কাল ছিল কোজাগরী পূর্ণিমা। বিভোর হয়ে ছিলাম আমি, নীলে নীলে উজ্জ্বল হয়ে ছিল চরাচর, ঠিক যেমনটা আমি পছন্দ করি।
লালিমায় ছেয়ে গেলো আকাশ, আস্তে আস্তে উঁকি দিছে সূর্য্যি মামা। আজো সকাল হবে প্রতিদিনের মত করে। সকাল বেলার পাখিরা উড়াউড়ি করছে যদিও এখনো দল বাঁধেনি।
নতুন একটা দিন শুরু হচ্ছে। নারিকেল গাছের পাতা কাঁপছে তির তির করে…
বাড়তে লাগল শব্দ, রিকশার টুং টাং, নাগরিক কোলাহল।
আজো কি নতুন ফুল ফুটবে, দুপুর গড়িয়ে সন্ধ্যা হবে, বয়সের ঘরে যোগ হবে আরো একটা দিন?
ফিসফিস শব্দে হঠাৎ দেখলাম আড়াল দেওয়া সব্ দিক, এক চিলতে আকাশ অবশ্য দেখা যাচ্ছে।
এটা দাও, ওটা দাও। এমন কর, এভাবে কর …
কেটে যাচ্ছে এক একটি মুহূর্ত করে সময়গুলি।
তবে আজ সময় ধীর গতিতে কাটছে।
বাহ বেশ তরতাজা লাগছে নিজেকে, দীর্ঘ স্নান শেষে।
এখন আমি পবিত্র। খুব ইচ্ছে করছে ফুরফুরে মেজাজে বেড়িয়ে পড়তে, যাত্রা শুরু করতে, যেতেই যখন হবে।
আমার জন্য আর সূর্যটা উঠবে না, ঝরবে না জ্যোৎস্না, আর বৃষ্টি !!!!
আহ! প্রিয় বৃষ্টি।
ঝির ঝির অবিরল…
কলকল ছলছল
টিপ টুপ টাপ
ঝনঝন শনশন
কেঁপে কেঁপে তিরতিরিয়ে
পাগলা ছন্দে
উত্তাল রূপে।
মিষ্টি মধুর ছন্দে ……
কি যত্ন নিয়েই না সাজিয়ে দিচ্ছে, সুগন্ধির সুবাসে চারিদিক।
চুলগুলি দুভাগ করে সামনে সাজাতে গেলেই আফসোস হল ক’দিন আগে কাটা চুলগুলির জন্য।
উজ্জ্বল দিনটা বদলে যাচ্ছে মেঘে অন্ধকারচ্ছন্ন দিনে, ধীরে ধীরে ……
বৃষ্টি নামবে কি??
এসো……
বাতাসের ঝাপটায় ভিজিয়ে দাও আমার শব, আমার শেষ যাত্রা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।