জীবন আদিষ্ট থাকে সনাতন লৌহনৃত্যঘুমে। জাগার যৌবন নিয়ে
উনুনের উদর থেকে তাকিয়ে দেখে ইস্পাতের সহস্র সবুজ। কী এক
তন্দ্রার আলো, ছুঁয়ে আছে সমুদ্র নোলক ! এসব ব্রাত্যকথা ভেবে
কলমও লিখে রাখে নম্বরবিহীন খাতার জবানী। আদৌ সুড়ঙ্গ নেই।
তবুও যেন পাতালের পদরেখা এসে শেষ হয়েছে এই নিরক্ষর পথে।
আর যারা রেখেছে স্বাক্ষর , তারা সবাই জীবনকে অচেনা ভেবে পাড়ি
জমিয়েছে আগুনের দেশে।
কামারের স্মৃতি এর আগেও বহুবার পরখ করেছে ইস্পাত এবং আগুনের
সংবিত্তি। আঁচের ভবিষ্যত জীবনী পড়ে জেনেছে পোড়ার পরিণাম। বিবিধ উত্থান শেষে কীভাবে ঘরে উঠে ভাদ্রের ফসল। অথবা কতোটা বিশ্বাসে প্রেমিকা মাথা রাখে উদ্বাস্তু প্রেমিকের বুকে, খুঁজে নিতে আদিম অন্তর।
আর কবিও কামার হয়ে বার বার আঁকতে চেয়েছে সেইসব সারস সময়। ফুল ও ফুলকির উড়ার নিয়ম। ফুঁ দিয়ে সরাতে চেয়েছে শব্দের বিরহ। পরাস্ত নিয়তি হায় ! ছায়াপ্রধান সূর্য সরাতে বার বার ঘুমে থেকে যায় ।
ছবি- পুহশ ডানা
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।