আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সম্ভাবনার কৃষিঃ নাটোরে বিনাচাষে রসুনের বাম্পার ফলন

বড়াইগ্রাম(নাটোর) উপজেলার সমস্যা সম্ভাবনা নিয়ে এই ব্লগে আলোচনা করা হবে। বেশী করে নিমগাছ লাগান, আপনার পরিবেশ ভাল থাকবে।

দেশের সর্বাধিক রসুন উৎপাদণকারী জেলা হিসাবে পরিচিত নাটোরের কৃষকেরা এবারও ব্যাপকহারে রসুনের আবাদ করেছেন। বিগত বছরগুলোতে চাষীরা নিজেদের উদ্ভাবিত বিনা হালে রসুন চাষ পদ্ধতিতে ব্যাপক সফলতা পাওয়ায় এবং উৎপাদিত রসুনের ভালো দাম পাওয়ায় এবারও তারা রসুন চাষে ঝুঁকেছেন। সেচ ও সারের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় এবং অনুকুল আবহাওয়া বিরাজ করায় এবার জেলায় রসুনের বাম্পার ফলন হবে আশা করছে কৃষি বিভাগ।

জেলা কৃষি স¤প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসূমে নাটোরে সর্বমোট ৯ হাজার ৯ শ হেক্টর জমিতে রসুনের আবাদ হয়েছে। তার মধ্যে বড়াইগ্রাম উপজেলায় ৩ হাজার ২৭৫ হেক্টর, গুরুদাসপুর উপজেলায় ৪ হাজার ৬০ হেক্টর, সিংড়া উপজেলায় ৫৯০ হেক্টর, বাগাতিপাড়া উপজেলায় ৩৫০ হেক্টর, লালপুর উপজেলায় ৫৯০ হেক্টর ও নাটোর সদর উপজেলায় ১ হাজার ৩৫ হেক্টর জমিতে রসুনের আবাদ করা হয়েছে। আকস্মিক বড় কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে জেলার কৃষকেরা এবার ৫৯ হাজার ৪ শ মেট্রিকটন রসুন উৎপাদণের মাধ্যমে কমপে ৫৯৪ কোটি টাকা আয় করবে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ। বড়াইগ্রাম ও গুরুদাসপুর উপজেলার চকপাড়া, মানিকপুর, রয়না ভরট, বাজিতপুর, রোলভা, হাঁসমারী, ধারাবারিষা, তালবাড়িয়া গ্রামের কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত মওসুমে রসুনের আবাদ কম হওয়ায় বাজারে রসুনের ভালো দাম ছিল। শেষ পর্যন্ত প্রতি মণ রসুন ৪৫০০ থেকে ৫০০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

এ কারণেই এ বছর এ এলাকার কৃষকেরা ব্যাপকহারে রসুন আবাদে ঝুঁকেছেন। এবার রসুন বীজের অঙ্কুরোদগমও ভালো হয়েছে। অনুকুল আবহাওয়া বিরাজ করায় এবং প্রয়োজনীয় সেচ ও সার পাওয়ায় রসুনের চারা এখন দ্রুত গতিতে বেড়ে চলেছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার রসুনের বাম্পার ফলন হবে বলে এমন আশা করছেন তারা। আর তাই রসুন চাষীরা সকাল-সন্ধ্যা দিনমজুর ও স্ত্রী পুত্রদের সাথে নিয়ে রসুনের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।

বড়াইগ্রাম উপজেলার রয়না ভরট গ্রামের রসুন চাষী মোহাম্মদ আলী ও শ্রীরামপুর গ্রামের স্কুল শিক ও রসুন চাষী রেজাউল করিম জানান, প্রতি বিঘা জমিতে রসুন চাষে প্রায় ৪০ জন শ্রমিক লাগছে। তাদের শ্রমমূল্য ও খাবার খরচ বাবদ খরচ হয় প্রায় ৬ হাজার টাকা। তাছাড়া বীজ, রাসায়নিক সার ও সেচ দিতে আরও প্রায় ২০ হাজার টাকা খরচ পড়েছে। ভালো ফলন হলে প্রতি বিঘা জমিতে ২০ থেকে ২৫ মণ রসুন পাওয়া যাবে। মওসুমের শুরুতে দাম কিছুটা কম হলেও পরবর্তীতে প্রতি মণ রসুন ৪ হাজার থেকে সাড়ে ৪ হাজার টাকা দরে বিক্রি করা যায়।

এতে বিঘা প্রতি সব খরচ বাদে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা লাভ থাকবে বলে আশা করছেন তারা। নাটোর জেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক দেলোয়ার হোসেন বলেন, বর্তমানে নাটোরের কৃষকদের কাছে রসুন প্রধান অর্থকরী ফসল হয়ে উঠেছে। এবছর সেচ ও সারের তেমন কোন সংকট নেই। এছাড়া এখন পর্যন্ত আবহাওয়া ভালো আছে। তাই এবার জেলায় রসুনের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছি


সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।