পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার ভিডিও ক্যামেরার জালে বন্দী হয়ে আছে হরতালের সময়ে জ্বালাও পোড়াও, ভাংচুরকারী শতাধিক ছাত্রদল, যুবদল, ছাত্রশিবির ও সন্ত্রাসীরা। বিগত হরতালের সময়ে তারা যখন রাজধানীর রাজপথে চলাচলকারী যানবাহনে এ ধরনের অপরাধে লিপ্ত হয়েছে তখন তাদের ভিডিও চিত্র সংগ্রহ করেছে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। ভিডিও চিত্র সংগ্রহের পাশাপাশি তাদের মোবাইল ফোন নম্বর সংগ্রহ করা হচ্ছে। মোবাইল ফোন অপারেটর নেটওয়ার্ক টাওয়ারের কললিস্ট চাওয়া হয়েছে। এ খবর পুলিশের উচ্চ পর্যায় সূত্রে জানা গেছে।
রাজধানীর ৪৯ থানা এলাকায় বিগত দিনে বিএনপি-জামায়াতের ডাকা হরতালের সময়ে সহিংসতার ভিডিওচিত্র ধারণ করা হয়েছে। এসব ভিডিওচিত্রে দেখা যাচ্ছে ছাত্রদল, যুবদল, শিবির ও সন্ত্রাসীরা যানবাহনে আগুন দিচ্ছে, ভাংচুর করছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ওপর আক্রমণ, ইটপাটকেল নিক্ষেপসহ সহিংস ঘটনা ঘটাচ্ছে। ছয় মাসের বেশি সময় ধরে ভিডিওচিত্র ধারণ করা হয়েছে। ভিডিওচিত্রে ধারণ করা ছবি ও ফুটেজ অনুযায়ী অপরাধে লিপ্তদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী অভিযান চালানো হচ্ছে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, গত ছয় মাস ধরে জামায়াত-শিবিরের চোরাগোপ্তা হামলার পর একসঙ্গে বিপুলসংখ্যক জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীর সমাবেশ ঘটেছে। ছাত্রদল, যুবদল ও সন্ত্রাসীরা যানবাহনে আগুন ও ভাংচুর করার সময়ে তাদের ছবি সংরক্ষণ করার জন্য ভিডিও ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়েছে। ভিডিও ক্যামেরার মাধ্যমে সংগৃহীত ছবি পরবর্তীতে গোয়েন্দাদের জামায়াত-শিবির, ছাত্রদল, যুবদল কর্মী ও সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করতে সহায়তা করে।
হরতাল চলাকালে সহিংস ঘটনা ঘটানোর জন্য ছাত্রদল, যুবদল, ছাত্রশিবিরের কর্মী ও সন্ত্রাসীরা মোবাইল ফোন ব্যবহার করেছে। এজন্য গোয়েন্দারা মোবাইল অপারেটরের এলাকাভিত্তিক টাওয়ারের কললিস্ট সংগ্রহ করার চেষ্টা করছে।
মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক টাওয়ার থেকে যেসব কললিস্ট পাওয়া যাচ্ছে সেখানে যাচাইবাছাই করে হরতালের সময়ে সহিংস ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করার চেষ্টা অব্যাহত আছে।
গোয়েন্দা পুলিশ নিজেদের ধারণ করা ক্যামেরা, সংবাদপত্রের ছবি ও টিভি চ্যানেলের ভিডিও ফুটেজ দেখে হরতালের সময়ে সহিংসতায় জড়িত শতাধিক জনের মতো ছাত্রদল, যুবদল, শিবির কর্মী ও সন্ত্রাসীদের শনাক্ত করা সম্ভবপর হয়েছে। হরতালের সময়ে তাদের দেখা গেলে গ্রেফতারের চেষ্টা করা হবে। যাদের শনাক্ত করা হয়েছে তার মধ্যে আগ্নেয়াস্ত্রধারীও আছে। তবে তাদের সংখ্যা প্রায় ডজনখানেক।
বাদবাকিদের হাতে রাম দা, চাকু, চাপাতি, ছোরা, লাঠিসোটা দেখা যাচ্ছে।
গোয়েন্দা পুলিশের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ধারণ করা ক্যামেরা, সংবাদপত্রের ছবি ও টিভি চ্যানেলের ভিডিও ফুটেছে জ্বালাও, পোড়াও, ভাংচুর ও সহিংস ঘটনা ঘটাচ্ছে এমন শতাধিক ছাত্রদল, যুবদল, শিবির ও সন্ত্রাসীদের ছবি শনাক্ত করা সম্ভবপর হয়েছে। হরতালের পরে তারা আত্মগোপনে চলে যায়। হরতালের সময়ে তারা রাজপথে নামে। এ জন্য হরতালের সময়ে তাদের শনাক্ত করে গ্রেফতারের চেষ্টা করা হবে।
তদন্তের স্বার্থে বিস্তারিতভাবে আর কিছু বলতে চাননি গোয়েন্দা কর্মকর্তা। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।