আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রাজউকের গর্দভগুলার বসে বসে আঙ্গুল চোষার কি দরকার? ওদেরকে থালাবাটি হাতে পথে নামানো দরকার।

একমুখাপেক্ষি না হয়ে যা কিছু ভাল তা গ্রহন করা উচিৎ...

স্বাধীনতার ৩৮ বছর পর প্রশ্ন হতেই পারে কি পেয়েছে বাংলাদেশ! পেয়েছে কিছু শহর, কিছু বিভাগীয় শহর, কিছু জেলা আর কিছু উপজেলা। হ্যঁ, আমাদের একটা রাজধানী আছে বটে, নাম তার ‘ঢাকা’। ঢাকায় নাকি অনেক টাকা। আর সেই টাকার লোভ সামলাতে পারে না অনেকেই। গ্রামের মানুষগুলোও সুযোগ পেলে ভিড় করে এ শহরে।

এ শহরটা তাদের অনেকের কাছেই বিদেশের মতো। তবে, সত্যিই কি রাজধানীটা বাইরের কোনো দেশের মতো? মোটেও না! রাজধানীর দিকে চোখ মেলে তাকালেই বোঝা যায় স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ কতটা অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে!! বলতে পারেন শুধু রাজধানীকে দিয়ে বাংলাদেশকে বিচার করা কি ঠিক? কিছুটা জটিল প্রশ্ন। হয়তো সঠিক উত্তর দেয়াও সম্ভব না। তবে এটুকু বলতে পারি, বাংলাদেশে কিছু শহর পরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠতে পারে, কিন্তু তার সংখ্যা খুবই কম এবং আজ থেকে ৫০ অথবা ১০০ বছর পর যেসব শহর পরিকল্পিত মনে হচ্ছে সেগুলোর অবস্থাও রাজধানী “ঢাকা’র” মতো হবে. . . বিশ্বাস না হলে কিছুই করার নেই, তবে আমি আশাবাদী আজ থেকে ১০০ বছর পর যখন আমি থাকবোনা এ লেখা পড়ে কেউ কেউ আফসোসও করতে পারেন। কিন্তু তখন আফসোস করেও লাভ হবে না! তখন সবই শেষ! পুরো বাংলাদেশ তখন চোখে অন্ধকার দেখবে।

অতিষ্ট হয়ে যাবে প্রতিটা নগরবাসী!! ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানী মানুষরুপী জানোয়ারেরা পরিকল্পিতভাবেই মেরেছিলো আমাদের বুদ্ধিজীবীদের। হয়তো অনেকের মনে হতে পারে তখন যদি তাদেরকে না মারা হতো তবে বাংলাদেশ পরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠতো। হয়তো গড়ে উঠতো, তবে আমি খুব বেশী আশা করতে পারতাম না! দেশে এখনো বুদ্ধিজীবী আছেন। এখনকার বুদ্ধিজীবীরা দেশ গঠনে কতখানি অবদান রাখছেন? টাকার কাছেতো বিক্রি হয়ে যেতে দেখছি সবাইকে!! আমি যদি রাজউকের একজন উর্ধ¦তন কর্মকর্তাকে প্রকাশ্যে গুলি করি তবে আমার কি নির্ঘাৎ ফাঁসি হবে না? অবশ্যই হবে। কেনোনো, উর্ধত্বন কর্মকতা দেশের বড় একজন প্রকৌশলী।

কিন্তু আমার হাতে মরে সে তখনি শহীদ বুদ্ধিজীবী খেতাবটা পেয়ে যাবে, আমারতো মনে হয় এটা তার জন্য চরম অথবা পরম জাতীয় সৌভাগ্য হবে। স্বাভাবিক মৃত্যুতে সে হয়তো বুদ্ধিজীবী খেতাবটা পেতো না!! যাই হোক, তার কি খেতাব দরকার নাকি জীবন দরকার নাকি টাকার দরকার? আসলে তার বেঁচে থাকাটা দরকার। বেঁচে থাকলে তার গোয়ালঘরটি কখনোই খালি থাকবে না, তার গোলা ভরা ধান এমনিতেই হবে। কিন্তু কতগুলো গোয়ালঘর আর কতগুলো গোলা পেলে সে সন্তুষ্ট হবে? এর উত্তর নেই, আরও চাই, আরও চাই, আরও চাই। সেটা চুড়ি করে হোক, ডাকাতি করে হোক, অথবা দুর্নীতি করেই হোক।

একটা এলাকার কথা চিন্তা করেন(অনেকক্ষন চেষ্টা করলাম ফটোশপে সেই এলাকাটা আঁকার, চোখে দেখলে হয়তো কল্পনা করতে সহজ হতো) যে এলাকাতে দশটি পাচতলা ভবন আছে। এই এলাকায় আসা যাওয়ার জন্য রাস্তা রয়েছে পাঁচটি। সুতরাং বলা যায় দুটি পাঁচতলা ভবনের জন্য একটি রাস্তা। প্রতি পাঁচতলা ভবনে ৫০ জন করে থাকলে একটি রাস্তা ব্যাবহারকারীর সংখ্যা হবে ১০০ জন। এখন এই পাচঁতলা ভবনটি পাচঁতলা না হয়ে দশতলা হলে সেই একই রাস্তা ব্যাবহার করবে ২০০ জন।

সেই ভবনগুলো ১০ তলা না হয়ে যদি ১৫ তলা করে হয় তবে এই একটি রাস্তাই ব্যাবহার করতে হবে ৩০০ জনকে। ১০০জনের যাতায়াতের জন্য যদি দশটি-বারোটি গাড়ি লাগে তবে ৩০০জনের যাতায়াত করতে তিনগুন বেশী যানবাহন লাগবে। যেহেতু রাস্তা বড় হবে না সেহেতু এভাবেই সৃষ্টি হবে যানজট। এই ছোটো এলাকাটা একটু বড় করে ভাবার চেষ্টা করেন, দেখেন শুধু গাড়ী আর গাড়ী, মানুষ আর মানুষ!! উদাহরন স্বরূপ চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়া যায় মোহাম্মদপুরে মাথা চাড়া দিয়ে উঠা ”জাপান গার্ডেন সিটি”কে। যানজন, যানজট, নিরসন, নিরসন, মুক্তি চাই, মুক্তি চাই. . . . হই হই রৈ রৈ, হৈচৈ. . . আসলে কোনো লাভ নেই, তাইতো আর্বজনায় এই পোষ্ট! ঢাকা বাড়ছে উপরের দিকে।

প্রতিদিন পত্রিকার পাতায় এপার্টমেন্টের লোভনীয় অফার, তাও আবার রাজধানীর প্রানকেন্দ্রে! বাড়ছেনা আয়তন, বাড়ছেনা পরিসর, অপরিকল্পিতভাবে দেয়ালগুলোই শুধু উঁচু হচ্ছে। মানুষ ঢাকয় ভিড় করবে নাতো কোথায় ভিড় করবে? এপার্টমেন্টগুলো কি খালি পড়ে থাকবে? ঢাকায় মানুষ বাড়বে. . . তো যানযট কমবে কিভাবে? রিয়েলস্টেটের মালিকগুলোর শতোকোটি ক্যাশ টাকা দরকার। তারা শতোকোটি টাকা কামাচ্ছে, আর এই শতকোটি থেকে দু’এককোটি রাজউকের পেটে দিতে তাদের সমস্যা নেই। তাছাড়া এইসব রাক্ষুসে এপার্টমেন্ট রাজধানীর বুকে মাথা চাড়া দিয়ে না উঠলে গর্দভগুলাতো সরকারের টাকায় আঙ্গুল ফুলে কলাগাল হতে পারবেনা!!! তবে আমরা মূর্খ জনগন ঢাকাকে বাচানোর জন্য এইসব গর্দভগুলাকে দু’টাকা করে ভিক্ষা দিতে পারি। ঢাকায়তো আর কম মানুষ নেই, একেকজন সামর্থ্যবান দু’টাকা করে দিলে লাখ লাখ টাকা উঠবে(ভিক্ষুকের কাছে চাইলেও দু’টাকা পাওয়া যাবে)।

এই লাখ লাখ টাকা দিয়ে যদি ওদের একটু কিনে নেয়া যায়। ওরাতো টাকার কাছে বিক্রিই হয়! তবে জনগনের কাছে বিক্রি হলে হয়তো জনগন কখনোই কোনো শহরের অপমৃত্যু চাইবে না, যেমনটা চাচ্ছে বাঘাবাঘা রাঘব-বোয়ালরা!! জনগন হয়তো তাদের কিনে নিয়ে হাত জোড় করে বলবে তোমরা ঢাকার দেয়ালগুলোকে আর উঁচু হতে দিও না! তোমরা তোমাদের আঙ্গুলকে চুষে চুষে আর কলাগাছ বানিওনা, দয়াকরে তোমরা তোমাদের অথবা আমাদের প্রিয় রাজধানীকে বাঁচাও. . .

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.