সমাজ পচনস্তরের বিপ্রতীপ মেরুর এই বাসিন্দার পেট চলে শব্দ শ্রমিকের কাজ করে
শেষ বিকেলে এক পশলা বৃষ্টি হয়ে গেল। কর্মব্যস্ত দিনশেষে বিছানায় গা এলিয়ে বোকাবাক্সে খবর দেখতে দেখতে 'কদর' প্রশান্তি খুজছে ঘুমের আশ্রয়ে। আধবোজা চোখে তখন রাজ্যের ক্লান্তি ভর করেছে। যেন ভার নিতে পারছে না কদরের কাতর চোখের পাতা। তন্দ্রায় আচ্ছন্ন অবচেতন মঞ্চে সেমূহূর্তে হাজির দৃশ্যপট-- হঠাৎ নারী কন্ঠের চিৎকার।
দ্বিগ্বিদিক ছোটাছুটি। শিশু কন্ঠের কান্না, বারুদ ও দাহ্য তরলের মিশ্রিত বোটকা গন্ধ। মানুষের আকুতি... সাথে আতঙ্ক আগুন, আগুন, আগুন। । ।
। ওরে, ঘর যে পুড়ছে তার। হায় খোদা সাথে পুড়েছে শষ্য, আনাজ আর কপাল। পুড়ছে তাজা মাংসের এক একটি পরৎ। শেষ সব শেষ।
ধড়মড় জেগে ওঠে কদর। ঘড়ি দেখে। রাত ১১:৩৮। পিসি চালু করে ইন্টারনেটে ব্রাউজ করতে থাকে বাঘাইছড়ির অবস্থা জানতে। একে একে দেখা হয়ে যায়, রয়টার্স, ডয়চে ভেলে, বিবিসি, বিবিসি বাংলা, ইউএনডিপি, অষ্ট্রেলিয়া এইড, ইউনিসেফ, অ্যামেনেষ্টি ইন্টারন্যাশনাল।
কদর হতাশ হয় কিছুটা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর ব্যবহারে। কয়েকটি সাইটে খবরটা থাকলেও নেই বিস্তারিত বা আপডেট। আর খবর যতটুকু আছে তাতেও আছে পক্ষপাতের গন্ধ। কেন নয় খবরগুলোতো স্পট থেকে তুলে আনা নয়। এ তো ঢাকায় বসে অবসর মুহূর্তে লেখা সেলুলা সংবাদ কঙ্কাল।
শেম, শেম। ।
অথচ এর তুলনায় তুচ্ছ ও কম গুরুত্বপূর্ণ অনেক ঘটনা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো বেশ চাউর করেছে এর আগে পরে। আজ কথা নেই তথাকথিত মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মুখে। মূল সমস্যাটা কোথায় ধরতে না পেরে আধশোয়া হয়ে ভাবতে থাকে।
আপনাদের কাছে কি মানবাধিকার সংস্থা, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সহ বিশ্ব বিবেকের খবর আছে থাকলে কদরকে জানান।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।