রাতের আকাশের নগ্নতা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখি কিন্তু পারি না মনের আকাশ দেখতে।
সিলেটের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অন্যরকম। অনেকেই এখানে বেড়াতে আসেন। আসেন হয়ত শীতের মৌসুমে। আমার ব্যক্তিগত মতামত হল, এ অঞ্চলের সৌন্দর্য শীতের তুলনায় বর্ষাকালে বেশি ফুটে ওঠে।
ঝর্ণাগুলো স্পষ্ট দেখা যায়। হয়ত আপনি যেখানে দাড়িয়ে আছেন সেখানে বৃষ্টি হচ্ছে না কিন্তু অদূরেই মেঘ থেকে বৃষ্টি ঝরতে দেখতে পাবেন। পাহাড় আর টিলাগুলো হয়ে ওঠে সবুজে সবুজে ভরপুর। চা বাগানে গেলে আর ফিরতে মন চায় না। যারা এখনও আসেননি তাদের জন্য আমার এই আয়োজন।
আজকে পাথর কোয়ারী নিয়ে কিছু বলব। শীতের সময়টা পাথর কোয়ারীতে ভ্রমন অনেক মজার। নদীর স্রোত কম থাকে । তাই সবুজাভ পানিতে নৌকা ভ্রমন অতুলনীয়। একবার ভাবুন, আপনার মথার উপর নীলাকাশ আর চারপাশে সবুজাভ পানি; চারপাশে উঁচু উঁচু পাহাড়, কেমন লাগবে? এখানে ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারী এলাকার কিছু ছবি যোগ করলাম।
মাঝ পথে এরকম অর্ধশত পাথর ক্রাসার মেশিন দেখা যাবে।
ভোলাগঞ্জ পৌছানোর পরই এরকম একটি দৃশ্য দেখতে পাবেন। আশপাশে অনেক বাঙ্গালী ও পাহাড়ীদের গ্রাম আছে। কিছুদূরে কমলা বাগান আছে। তবে সেসব বাগানে যাওয়া কিছুটা ঝুঁকিপূর্ন।
পাথর এভাবেই নদীর একপার থেকে অন্যপাড়ে নিয়ে আসা হয় অথবা পাথর ভাঙ্গার স্পটে নিয়ে যাওয়া হয়।
নদীর বেড থেকে নৌকাতে এভাবে পাথর তীরে নিয়ে আসা হয়।
জিরো পয়েন্ট এ প্রাকৃতিক নৈসর্গ। ছবিটি পড়ন্ত বিকলের।
ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারী বি.ডি.আর ক্যাম্প।
বি.ডি.আর কর্তৃক আইন অমান্যকারীদের জব্দকৃত নৌকা।
ভারতীয় সীমান্তে বি.এস,এফ এর স্থায়ী ক্যাম্প।
কিছু তথ্য:
##সিলেট শহর থেকে এটি দুই ঘন্টার পথ।
##এখানে কোন খাবার হোটেল নাই। তবে বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা আছে।
##বি.ডি.আর ক্যাম্পে যেতে হলে বিশেষ অনুমতি দরকার হবে।
##অনেক গুপ্ত খাল আছে। তাই নদীতে না নামাই শ্রেয়।
##বাতাসে প্রচুর ধূলিকণা। আশেপাশে কোন ডিস্পেনসারি বা ক্লিনিক নাই।
মনে রাখবেন, হোচট খাবার ভয়ে রাস্তার দিকে তাকিয়ে থাকলে পূর্ণিমা চাঁদের সৌন্দর্য উপভোগ করা যায় না। কাজেই ভয় পাবেন না। এই স্পট টি অসম্ভব সুন্দর জায়গা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।