আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সিলেটে জামায়াত-শিবিরের ৫শ' কিলার রয়েছে

সৈয়দ মুতনু

সিলেট জেলায় জামায়াত-শিবিরের প্রশিক্ষিত পাঁচশ' কিলার রয়েছে। এরা বেড়ে ওঠেছে মূলত মাদ্রাসাগুলোকে কেন্দ্র করে। বিশাল এ কিলার বহরের নেতৃত্বে রয়েছে জামায়াতের দায়িত্বশীল চার কমান্ডার। গ্রেফতারকৃত ৮ জামায়াত-শিবির ক্যাডারের কাছ থেকে এসব তথ্য উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত ১২ ফেব্রুয়ারি সিলেটে পুলিশ, র‌্যাব ও সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ৮ জামায়াত-শিবির ক্যাডারকে এক দিনের রিমান্ডে নেয় কোতোয়ালি থানা পুলিশ।

রিমান্ড শেষে তাদের জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ আলী জানান, একদিনের রিমান্ডে অনেক তথ্য উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে রিমান্ডে আসামিরা জানিয়েছে, সিলেটে মাদ্রাসা কেন্দ্রিক সশস্ত্র চার-পাঁচশ কিলার রয়েছে। এদের মধ্যে প্রায় ৫০ জন ওইদিন (১২ ফেব্রুয়ারি) হামলায় অংশ নিয়েছিল। এদের কৌশলের কাছেই হেরে যায় র‌্যাব ও পুলিশ।

এই বিশাল ক্যাডার বহরের নেতৃত্বে আছে তাদের চার কমান্ডার। যারা জেলা ও মহানগর জামায়াতের দায়িত্বশীল পদে আছেন। ওসি জানান, রিমান্ডে তারা আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। তদন্তের স্বার্থে তা বলা যাবে না। এদিকে ছাত্রশিবির গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে ১২টায় নিজেদের সন্ত্রাসী কর্মকা-ের সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেছে।

উল্টো তারা বলেছে, সরকার সমর্থিত ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের ক্যাডাররা বিনা উস্কানিতে দেশের সর্বত্র শিবির নিধনে নেমেছে। তারা প্রকাশ্যে পুলিশ-র‌্যাবকে সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিবিরের নিরীহ কর্মীদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে তাদের আবাসস্থলে। এসব ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নির্যাতিতদের পক্ষে না থেকে হামলাকারীদের পক্ষে অবস্থান নিচ্ছে। এসব ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর পদত্যাগসহ ৮ দফা দাবি জানিয়েছে সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছাত্রশিবিরের নেতারা।

এদিকে সিলেট জেলা ও মহানগর জামায়াতের কার্যালয়ে তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। কোতোয়ালির ওসি জানান, বেলা সাড়ে ১২টার দিকে একদল পুলিশ নগরীর কুদরত উল্লাহ মার্কেটের জামায়াতের কার্যালয়ে তল্লাশি চালায়। সেখানে কোন অস্ত্র, জেহাদি বই বা কাউকে পাওয়া যায়নি। Click This Link

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।