এইখানে শায়িত আছেন বাংলা ব্লগ ইতিহাসের কলঙ্ক...
আগের পর্বে আপনাদের দেখিয়েছিলাম কি করে গরুর রচনা থেকে কবিতা লিখতে হয়। এবারে আপনাদেরকে দেখাবো কি করে সংবাদপত্রের রিপোর্টকে কবিতায় রূপদান করতে হয়। আরেকটু ভালো করে বলতে গেলে দেখাবো - "কি করে উৎপল শুভ্রের স্পোর্টস রিপোর্টকে কবিতায় রূপান্তর করবেন। "
উপকরণ: উৎপল শুভ্রের যে কোন স্পোর্টস রিপোর্টের কিছু লাইন, Enter বাটন অক্ষত ও কার্যকর এমন একটি কি বোর্ড (প্যারা দেয়ার জন্যে)
কার্যপদ্ধতি:
১. উৎপল শুভ্রের লেখা থেকে নির্বাচিত লাইনগুলো কপি করে নিন ওয়ার্ডে অথবা ব্লগের নতুন পোস্ট লেখার অপশনে।
২. যায়গায় যায়গায় সুবিধামতো কি-বোর্ডের এন্টার বাটন চেপে প্যারা করুন।
৩. ব্যস তৈরি হয়ে গেলো আপনার "উৎপল শুভ্র কাব্য"
নমুণা কাব্য ১:
তিনি -
হেলমেট খুলে এক হাতে নেবেন, অন্য হাতে ব্যাট
মুখ তুলে তাকাবেন আকাশের দিকে -
সৃষ্টিকর্তার কাছে কৃতজ্ঞতা জানান
নাকি খোঁজেন আকাশের তারা হয়ে যাওয়া বাবাকে?
উনি -
উচ্ছ্বাসে ভেসে যাওয়ার উপলক্ষেও
ব্যাটিংয়ের সময়কার দৃঢ়প্রতিজ্ঞা তাঁর চোখেমুখে
বিনম্র ভঙ্গিতে ব্যাট তুলবেন!
মুখে একচিলতে হাসি ফুটবে কি ফুটবে না
শরীরী ভাষায় জানিয়ে দেবেন
- এখনো অনেক কাজ বাকি।
তিনি -
শচীন টেন্ডুলকার।
উনি -
রাহুল দ্রাবিড়।
সূত্র: http://www.prothom-alo.com/detail/news/37705
নমুণা কাব্য ২:
অমোঘ নিয়তির মতো ধেয়ে আসছে ফলোঅন
দাঁড়িয়ে গেলেন বুক চিতিয়ে
‘চিতিয়ে-টিতিয়ে’ শব্দগুলো মাহমুদউল্লাহর ব্যাটিংয়ের সঙ্গে একেবারেই যায় না।
একটু আগে ব্যবহূত ‘চোখ ধাঁধানো’ শব্দটাও
- যেমন তাঁর ব্যাট চালানোর সঙ্গে বেমানান মনে হচ্ছে!
মাহমুদউল্লাহর ব্যাটিং চোখ ধাঁধিয়ে দেয় না
চোখে মায়াঞ্জন বুলিয়ে দেয়
তাঁর প্রিয় ব্যাটসম্যান মহেন্দ্র সিং ধোনি
ভেঙ্কট লক্ষ্মণ হলে বেশি মানাত!
অফ সাইডে যতবার ড্রাইভ করলেন, তাঁকে তো ‘লক্ষ্মণ’ বলেই মনে হলো
- ততবার!
(অলক কাপালির পর)
বাংলাদেশের ক্রিকেটে এমন দৃষ্টিনন্দন ব্যাটসম্যান আর আসেনি!
সূত্র: http://www.prothom-alo.com/allnewsdetails/date/2010-02-18/category/15
নমুণা কাব্য ৩:
আসলেই খুব কঠিন নয়
কাল সারা দিন মেঘলা আকাশের নিচেও
- সেডন পার্কের উইকেটে বল যেমন ব্যাটপ্রীতি দেখাল
তাতে কাছাকাছি শক্তির দুটি দল হলে এই টেস্ট নিশ্চিত ড্র হতো।
কিন্তু এ তো বাংলাদেশ!
ব্যাটিং উইকেটকেও যারা অবলীলায়
বোলারদের মৃগয়া বানিয়ে দিতে ওস্তাদ!
আবারও সেটিই হলো কি না
এতক্ষণে আপনি হয়তো তা জেনে গেছেন।
এই লেখা পাঠকের হাতে যাওয়ার আগেই
(মহাগুরুত্বপূর্ণ তৃতীয় দিনের)
প্রথম সেশনটা শেষ হয়ে যাওয়ার কথা।
বৃষ্টি আর আলোকস্বল্পতার খেয়ে নেওয়া সময়টা পোষাতে
আড়াই ঘণ্টার সেশন
- বাংলাদেশের অগ্নিপরীক্ষাও।
সূত্র: http://prothom-alo.com/detail/date/2010-02-17/news/43019
এই সিরিজের অন্যান্য পোস্ট:
১. কবিতা Lesson - ১ (Nafis Iftekhar ft. গরু - গরু রচনা)
প্রেরণা: অপরবাস্তব ৪ এ প্রকাশিত একাধিক 'গদ্য-ন্যয়-পদ্য' এই কাব্য নামের কলঙ্কের প্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।