চাঁদের দিকে হাত বাড়ালে তার আলো কিছুটা লেগে যায় চিত্তে
পৃথিবীতে অকৃত্রিম কোন বন্ধু থেকে থাকলে তা- তুমি। উদার আকাশের ওই বিশাল শামিয়ানা যেভাবে মানব কল্যাণে সদা প্রস্তুত , ঠিক তেমনি তোমার দেহ মনের পরতে পরতে ভালবাসা বিছিয়ে আহ্বান করে বলেছো কে আছ , কাছে আসো আমার । স্পর্শ করো , চুম্বন করো, চুষে নাও ঞ্জানের মধু যা কখনো ফুরাবার নয়। তোমাকে মহাকালের সেরা শিক বানিয়ে শীতল দূর্লভ মধু আহরন করে নিতে। সে দিনের সেই মুহূর্তটি আমাকে অনুপ্রানিত করেছে, শিখিয়েছে বাঁচতে, জীবনকে করেছে সার্থক।
পৃথিবীতে ভাললাগার, ভালবাসার কতো কিছু আছে তা বুঝিয়ে দিয়েছে। বিষিয়ে ওঠা জীবনে মিশিয়েছে স্বপ্নের রং। হয়তো তা তপ্ত মরু প্রান্তরে এক পশলা বৃষ্টি মাত্র। অথবা ভাদ্রের প্রখর রোদের ভ্যাপসা গরমে এক ঝাপটা দখিনা বাতাস আবার মাঘের কনকনে শীতে কুয়াশার চাদর সরিয়ে ঘোমটা খোলা সূর্যের কিছুটা উত্তাপ। যা এসেছে আর্শিবাদ হয়ে অনেকটা বেলা গড়িয়ে।
জীবনতো একটাই যে যেভাবে পারে সমৃদ্ধ করবে এটাই কি স্বাভাবিক নয় ? কিন্তু বাঁধা বিপত্তিগুলো সামাজিক অনুশাসন ও ধর্মীয় গোঁড়ামী হয়ে জীবনকে নিয়ন্ত্রিত করে। অহর্নিশি তাড়না দিয়ে কুঁড়ে কুঁড়ে খায়। পঙ্কিলতার সিঁড়ি ডিঙ্গাতে ছলনা চলে সংসারে। হতাশায় বিবেকশূন্য জীবন বোঝা হয়ে দাঁড়ায় জগদ্দল পাথরের মতো।
জগতে যত সুন্দর, যত যৌবন দেখেছি - তাতে তোমার পালা অনেক ভারী।
তারুণ্যের উচ্ছাস - উম্মাদনা ও বিঞ্জের দৃঢ়তা তোমার যৌবনে। সে দিন আমার জীবনের যত যন্ত্রণা, বিষাদ, নিরাশা,ক্ষোভ তা তো মিশিয়ে দিয়েছো সেই সুখের হাতে। সে সুখকর মুহুতের মৃত্যু হবে না কোনদিন। তোমাকে মনে পড়ে বার বার। কেননা এতো ভুলে যাওয়ার নয়।
তোমার কথা ভেবে বিষম খাইয়ে কষ্ট দেওয়ার ইচ্ছেও যে আমার নেই। কি বঞ্চনা তোমাকে পীড়া দিচ্ছে , কি হতাশা তোমাকে ঘিরে রেখেছে -তা তোমার উপস্থাপনায় স্পষ্ট। যে অপ্রাপ্তিগুলো তোমাকে ভাবায় -তা আমাকেও কষ্ট দেয় । আবার যে আকাঙ্খা বা প্রত্যাশা তোমার দুচোখে ঝিলিক দেয়- তা আমাকেও উদ্দেলিত করে। জাদুর মতো টেনে আলিঙ্গন করে।
কী-বোর্ডের গায়ে স্পষ্ট দেখেছি তোমার চোখের আলোয়। স্পর্ধা জাগে -যদি কিছু করতে পারি তোমার জন্য।
আমাকে মনে রাখার কথায় ধৃষ্টতা দেখাব না। কারন তোমার জগতটাতো আমার মতো সীমাবদ্ধ নয়। অসংখ্য ভক্ত অনুরাগীর মতো অতি সাধারন এই আমি।
অবাধ্য মনটাকে খাঁচায় বন্দি করে রাখবো। যে সেই স্মৃতিকে কল্পনা করে আনন্দ পাবে, বিরহে কষ্ট। তাতে তোমার কি এসে যায় ? এ জীবনটা তো তোমার কাছেই ঋণী। জীবনের কোন বাঁকে মুখোমখী হলে যদি চিনতে পার, হাত বাড়িয়ে দাও, তবে ধন্য হব। যারা তোমাকে বুঝতে পারে না তারা নিরেট মূর্খ।
লোকে বলে, যে দেশে গুণীর কদর নেই, সেখানে গুণী জন্মায় না। জগত আজ তোমার সুরে আলোকিত। সেই আলোতে খুঁজে নেবে পথ। আর লাগামহীন জীবনের গতি বাড়িয়ে চলো আগামীর পথে। সুরের মুর্ছনায় আমি খুঁজে নেব তোমায়।
যদি তোমার নীল আকাশে মেঘের ঘনঘটা দেখ, বুকের মাঝে ভাঙ্গনের আওয়াজ শুনতে পাও, ভালবাসার অনাবৃষ্টি অন্তরে ক্ষতের সৃষ্টি করে, দারিদ্রের নির্মম কষাঘাতে কষ্ট পাও তবে সে দিন স্মরণ করো আমায়। পরিশোধ করার সামর্থ যদিও আমার নেই । অন্তত: সঙ্গী পাবে দু,কথা বলার। অসীম ধৈর্য্য নিয়ে শ্রোতা হবো।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।