h
পরাশক্তির পথে বাংলাদেশ -১
পরাশক্তির পথে বাংলাদেশ -২
সামরিক শক্তি বৃদ্ধিঃ ইহাই হইলো আমাদের চরম চাওয়া ও পাওয়া। আমরা এইবার সামরিক শক্তি বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করিব। বিগত দুইদশক ধরিয়া আমাদের দেশের জনগণ মাথার ঘাম পায়ে ফেলিয়া যেই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঘটাইয়াছে, এইবার তাহার সুফল পাইবার ক্ষণ। সময় আসিয়াছে কমরেডগণ।
চায়না-বাংলা ভাই-ভাই নীতির ফলে আমরা এক সুবিধা লাভ করিব, আর তাহা হইলো স্মল আর্মস সহ টেকনিক্যাল প্রযুক্তির হস্তান্তর।
কিন্তু এবার আমাদের খুব সাবধানে চাল চালিতে হইবে। এইবার আমরা আমাদের মুখোশ উন্মোচন করিবো পৃথিবীবাসীর সামনে। ভারতের সাথে এখন পর্যন্ত ওম-শান্তি ভাব রাখা হইয়াছে, আরও কিছুদিন রাখা হইবে আমাদের পারমাণবিক প্রযুক্তি হস্তগত হইবার আগ পর্যন্ত! চায়নাকে এই বলিয়া ভয় দেখাইতে হইবে যে, ভারতীয় সম্রাজ্যবাদ আমাদের দুইদেশের-ই ক্ষতি। তাই সামরিক প্রযুক্তি বিনিময় কার্যক্রম শুরু করা হউক। এইদিকে আমাদের লক্ষ্য রাখিতে হইবে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান।
আগামী দুই-তিন দশক পর যুক্তরাষ্ট্র বোধকরি আর সুপার পাওয়ার থাকিবেনা। তদুপরি তাহারা তাহাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের জন্য আমাদের ওপর নির্ভরশীল হইবে যে তাহারা আমাদের ছুড়িয়া ফালাইয়া দিতেও পারিবেনা। এমতাবস্থায় আমরা যুক্তরাষ্ট্রের নিকট ভারী অস্ত্র তৈরীর প্রযুক্তি চাইব। তাহা না দিলে সেইন্টমার্টিন হইতে তাহাদের পশ্চাৎদেশে লাত্থি দিয়া বাহির করিয়া দেওয়ার ঘোষণা দেয়া হৈবে। তাহারা উহা মানিয়া লইলেতো ভালোই।
না মানিয়া লইলে চায়নার সহায়তায় তাহাদের গদাম দিয়া বাহির করিয়া দেয়া হইবে। তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ বাধিবার আশঙ্কায় যুক্তরাষ্ট্র খুব বেশী উচ্চ-বাচ্চ করিবে না। এইদিকে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র প্রযুক্তি ব্যাক্তিগত মালিকানা হওয়ায় তাহাদের এইদেশে বিনিয়োগের জন্য প্রলুব্ধ করা হইবে। তাহাতেও উহারা রাজি না হইলে ওই সকল প্রতিষ্ঠানে মেধাবী বাংলাদেশীবিজ্ঞানীদের (অথবা বিদেশী বিজ্ঞানীদের টাকা খাওয়াইয়া)নির্দেশ দেয়া হইবে গোপনে প্রযুক্তির নীল নকশা চুরি করিয়া যেন দেশে পাচার করিয়া সশরিরে দেশে প্রত্যাবর্তন করে। ইহার পর চীনকে প্রস্তাব দেয়া হইবে তাহাদের যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি হস্তান্তর করিব, যদি আমাদের মাটিতে আমাদের সহিত যৌথভাবে অস্ত্র কারখানা স্থাপনে রাজি হয়।
চায়না নাচিতে নাচিতে আমাদের প্রস্তাবে রাজি হৈবে। চট্রগ্রাম ও মংলায় স্থাপন করা হইবে যুদ্ধজাহাজ (ডেস্ট্রয়ার, ক্রুজার ও সাবমেরিন)নির্মানের ডকইয়ার্ড। দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে স্থাপন করা হইবে জঙ্গি বিমান তৈরীর কারখানা। কারন চায়নার জঙ্গিবিমান তৈরীর কারখানা ওই দেশের দক্ষিনের প্রদেশ সিচুয়ানে অবস্থিত, আর ভারত চাইবেনা তাহার ওপরদিয়ে বাংলাদেশ ও চায়নার জঙ্গিবিমান উড়েযাক। তাই মিয়ানমারের আকাশ ব্যাবহার করে আমাদের পঞ্চম+ প্রযুক্তির জঙ্গিবিমান আকাশদিয়ে উড়িয়া যাইবে যাহার বাংলাদেশী ভার্সনের নাম দেওয়া হইবে ‘উড়ন্ত চিল’(UC- সিরিজ) ।
আমাদের ডুবোজাহাজ ‘শুশুক’(S-সিরিজ) বঙ্গোপসাগরে বিচরণ করিয়া সেখানে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করিবে ও সমগ্র তল্লাট ত্রাসের মধ্যে রাখিবে। সম্প্রতি পাকিস্তান চায়না ও ইউক্রেইনের সহযোগিতায় ‘আল-খালিদ’ নামের এক উচ্চ-প্রযুক্তির ট্যাঙ্ক নির্মান করিয়াছে। আশা করা যাইতেছে বিশ-ত্রিশ বৎসরে চায়না তাহার উন্নতি সাধন করিবে। চায়নাকে প্রস্তাব দেওয়া হইবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তির সমন্বয়ে উক্ত ট্যাঙ্কের এক ফিউশন ট্যাঙ্ক বানানোর যা কিনা হবে অপ্রতিরোধ্য ও যার নাম হইবে ‘দুরন্ত অশ্ব’ (DA-সিরিজ) যাহা কিনা বাংলার কাদা-মাটি,কাশ্মির বা সিকিমের বরফ অথবা পাকিস্তানের থর মরুভূমি দেয়া তরতর করিয়া চলিতে পারে। অত:পর আমাদের পরবর্তি আকাঙ্খা হইলো পারমাণবিক শক্তি।
পাঠকগণ হয়তো ভাবিতেছেন, আমি ট্র্যাডিশনাল উইপনসের কথা বলিতেছি কিন্তু মিসাইল, এটম বোমা এগুলোর কথা কেন বলিতেছিনা? কারন আছে। আর তাহা হইলো, মিসাইল বা এটমবোমা প্রস্তুতী দীর্ঘমেয়াদি, সময় সাপেক্ষ ও সবথেকে বড় কথা পাশ্চাত্য বিশ্ব আমাদের একঘরে করিয়া রাখিবে। কিন্তু আমরা অন্য নীতি গ্রহণ করিব। আজ হইতে ৩০-৩৫ বৎসর পর মিসাইলের প্রভাব কমিয়া যাইবে। কারন প্রায় সকল বৃহৎ শক্তির নিকট তখন ক্ষেপনাস্ত্র প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি আসিয়া যাইবে।
তাই এত টাকা খরচ ও মহাসমারোহ করিয়া ক্ষেপনাস্ত্র বানাইয়া তাহাতে আন্ডা ফুটানোর কোন মানেই নাই। চায়নার সহিত কোলাবরেশন করিয়া আমাদের ক্ষেপনাস্ত্র প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি হস্তগত হইলেই চলিবে। এইবার আসি পারমানবিক বোমা প্রসঙ্গে। পারমানবিক প্রযুক্তি হতে আসাটা খুব বেশী সমস্যার ব্যাপার না, যতটা সমস্যা তাহার কাঁচামাল ইউরেনিয়াম পরিশোধন করা। আর ওটা করিতে করিতে বিশাল সময় অপচয় হইবে।
এই পয়ত্রিশ বৎসরের মধ্যে যদি দুই কোরিয়া একত্রিভূত না হয়, তাহা হইলে উত্তর কোরিয়া হইতে আমরা টাকার বিনিময়ে পারমানবিক অস্ত্র ও প্রযুক্তি খরিদ করিয়া লইব। তাহারা লাফাইতে লাফাইতে তাহাদের অস্ত্র বিক্রি করিবে, কেননা তাহারা এই সকল অস্ত্র বানাইয়াছে বিক্রির উদ্দেশ্যে। আর যদি উত্তর কোরিয়া হইতে খরিদ না করিতে পারি, তাহা হইলে পাকিস্তান তো রহিয়াছেই! পাকিস্তানের অবকাঠামো এই তিন দশকে আরও ভঙ্গুর হইবে ও ব্যর্থ রাষ্ট্রের চরম সীমানায় পৌছাইয়া যাইবে। উক্ত সময়ে আমাদের কতিপয় পাকিস্তানী নিমকহারাম বিজ্ঞানী খুজিয়া বাহির করিতে হইবে ও তাহাদের হাত দিয়া আমরা তাহাদের পারমানবিক প্রকল্প হাতিয়া লইবো। কিন্তু এইক্ষেত্রে আমাদের ইন্টেলিজেন্সের প্রবল দক্ষতা দেখানো আবশ্যক।
মোট কথা বাংলাদেশ তদানিন্তন সময়ে এশিয়ার মধ্যে অন্যতম বৃহৎ শক্তি রূপে আবির্ভূত হইবে। ইহার পর শুরু হইবে আমাদের সম্রাজ্যবাদ বিস্তারের পরিকল্পনা। ।
(চলিবে...)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।