আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি ভারসাম্যহীন কিন্তু পরাশক্তির দৌড়ে ভারত (INTERNAL SITUATION OF INDIA IS IMBALANCED BUT ITS JOURNEY TOWARDS SUPER-POWER IS ENDLESS )

দু'জন বালকের প্রত্যেকের মাথায় যদি কোন নতুন সৃষ্টিধর্মী চিন্তা থাকে ও তা অদলবদল করা হয়, তাহলে পরিশেষে প্রত্যেকেরই থাকবে দু'টো করে সৃষ্টিধর্মী চিন্তা। "

পৃথিবীর সবচে বড় গণতান্ত্রিক দেশ যেমন ভারত; তেমনি বেশি সংখ্যক দরিদ্র মানুষের দেশও ভারত। বাংলাদেশ থেকে ২৩ গুন বড় এই দেশটি সত্যিই বৈচিত্র্যময়; অদ্ভুতও বটে। কলকাতা থেকে মুম্বাই কিংবা দিল্লি থেকে চেন্নাইয়ে গেলে বৈচিত্র্যের দিক দিয়ে মনে হবে এক মহাদেশ আরেক মহাদেশ। জীবনধারা, সংস্কৃতি, ভাষা...সবই পরিবর্তিত।

প্রাদেশিক শহর থেকে অন্য প্রাদেশিক শহর শহর অনেকাংশে আলাদা । এখানে আছে ৪০০ এর বেশি ছোট-বড় ভাষা। হিন্দি, বাঙলা, তামিল, তেলেগু, গুজরাটির মত প্রথম সারির ভাষা যেমন আছে, তেমনি প্রতিনিয়ত বিলুপ্ত হচ্ছে কিংবা ৫০/১০০ ভাষাভাষীর ভাষাও আছে। আছে পৃথিবীর ছোট- বড় সকল ধর্ম । বর্তমান বাজেটে সাত দশমিক দুই শতাংশরে বেশি প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।

খুব দ্রুত এ লক্ষ্যমাত্রা ১০ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে বলে প্রণব মুর্খাজি আশা করনে। এই প্রবৃদ্ধি ইউরোপের অনেক ধনী দেশের থেকেও বেশী। ভারতীয় অর্থণীতিতে জিডিপির কদরই সবছে বেশি; কারণ এই একটি পরিসংখ্যানই তাদের উন্নত বিশ্বের সাথে তুলনীয়; কিন্তু জিডিপির সাথে বাড়ছে না জনগনের সুযোগ সুবিধা। ভারতের জিডিপি সুইডেন, নরওয়ে, ডেনমার্কের থেকে অনেক বেশি; কিন্তু একজন সুইডিশ, নরওয়েজিয়ান কিংবা ডেনিশ যে নাগরিক সুবিধা পায় ভারতীয়দের কপালে তার সিকিভাগও জোটে না। সুপার পাওয়ারের দৌড়ে থাকলেও মাথাপিছু আয়তো একেবারে গরিবে হালের মাত্র ১০৪০ ডলার।

পাশ্চাত্য ধাঁচের ডেমোতে মুম্বাই, চেন্নাই, বেঙ্গালোর, চন্ডিগড়, কানপুরকে গড়ে তোলার চেষ্টা করলেও; মুম্বাই-চেন্নাই, কলকাতা- বেঙ্গালোর ট্রেন পথে চোখে পড়বে গৃহহীন, খাদ্য-বস্ত্রহীন, সহায় সম্বলহীন ভারতীয়দের। ট্রেনের জানালা দিয়ে দেখা যাবে দারিদ্রের প্রদর্শনী। বিড়লা, আম্বানি, টাটার মত ধনকুবের গোষ্ঠির দেশ যেমন ভারত; তেমনি ক্ষুধায় মৃত্যু,বেকারত্বের ভারে আত্মহত্যা, অর্থাভাবে সন্তান বিক্রি ভারতের প্রতিটি অঞ্চলের নিত্যচিত্র। বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম সেনাবাহিনীর এই দেশে দারিদ্রসীমার নিচেই বসবাস করে চল্লিশ ভাগ মানুষ। পাক-চীন জুজুর ভয় দেখিয়ে প্রতিবছরই বাড়ছে প্রতিরক্ষা বাজেট।

পোখরান, রাজস্থানে ব্যয়বহুল দূরপাল্লার ক্ষেপনাস্ত্রের উৎসবে কেঁপে উঠে দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা। শিক্ষা, চিকিৎসা, কর্মসংস্থনের মত অতি গুরূত্বপূর্ণ খাত ”সুপারপাওয়ার হাইওয়ে”” থাকা ভারতের কাছে নেহায়েত। এ বছরও প্রতরিক্ষা খাতে এক লাখ ৪৭ হাজার ৩৪৪ কোটি রুপির বাজটে ঘোষণা করা হয়ছে। ১৭. ৮৫ শতাংশ মূদ্রাস্ফিতিতে আক্রান্ত সাধারণ জনগনের খাদ্যপ্রাপ্তির থেকেও আমেরিকা, ইসরায়েল, রাশিয়ার থেকে অস্ত্র কেনা রাষ্ট্রের জন্য জরূরী! অধিকার বঞ্চিত আদিবাসী, নিন্ম বর্ণের হিন্দুরা শোষণমুক্তির সংগ্রামে সামিল হচ্ছে মাওবাদী-নকশালবাড়ী আন্দোলনে। আসাম, মনিপুর, ঝাড়খন্ড, নাগাল্যান্ড, ত্রিপুরা, মেঘালয়, অরূনাচলবাসীও পৃথক রাষ্ট্রের দাবিতে সোচ্চার।

সেভেন সির্স্টাস অন্ধকারে থাকলেও মহাকাশ গবেষণায় রাষ্ট্রীয় বিশাল বাজেট। আদিবাসী অঞ্চলগুলোতে বিদ্যুৎ, রাস্তাঘাট না থাকলেও অস্ত্র কেনার চুক্তি হচ্ছে ইসরায়েল, আমেরিকার সাথে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.