বাংলার আলো-জলে ধূলো মেখে বেড়ে ওঠা মুক্তি
চোখে চোখে বলা হল,
.............মুখে কোন কথা হলো না
পাশাপাশি থাকা হলো
...............তবু ছোঁয়া হলো না
ছুঁয়ে গেল বসন্তের প্রথম হাওয়া। ।
বন্ধু , ভালোই তো থাকতে চাই.....। আমি ক্ষণিকের সন্ধ্যামালতী হতে চাইনি কিংবা হতে চাইনি ঝরে যাওয়া বকুল ফুল ।
আমি ঝড়তে চাই নি খুব তাড়াতাড়ি।
আমি সূর্যমুখীর মতো সূর্যর দিকে তাকিয়ে খাকব । যুদ্ধ করতে পিছপা হবনা আদিম দেবতাদের সাথে। সিজার কিংবা একিলিস চাই না আর। আমি কখনো ফিদেল হতেও চাই নি। তারচেয়ে বরং চে'এর মতো অথবা জীবনানন্দ........
আমি চেয়েছি কর্ণফুলীর খরস্রোতের মত একটা উচ্ছল জীবন।
শীতের নির্জীব সকাল চাই নি কখনো কিংবা চাইনি কোন অমাবশ্যার অমানিশা। আমি চেয়েছিলাম শরতের ঝলমলে দুপুরে সাদা মেঘ হয়ে উড়ব অসীম নীলে। আর মাঝে মাঝে হবো শংখ চিল......
পলাশ বনের নিবিড় ছায়ায় ফাগুনের মাতাল হাওয়ায় বারবার কেঁপে উঠবো । শ্রাবন হয়ে ঝাপটা দেব। নতুবা হবো নতুন ধানের গন্ধ ভরা নবান্ন..................
গান শুনতে আর ভালো লাগে না।
এখন আমার ইচ্ছে করে -সুর হব, আমি গান হব। তরঙ্গে তরঙ্গে বিমোহিত করে যাব চারপাশ। জোয়ারের কল্লোল ধ্বনি হব কিংবা হব ভাটার টান,বিনাসের ডাক..
পদ্মার চরে
নির্জন কাশ বনে
ব্যস্ত জীবনের অবসরে.......
পদ্মার জলে
মাঝে মাঝে নৌকা চলে
ভালবাসার পাল তুলে
পদ্মায়
মধ্য বর্ষায়
সবুজ শাড়ির সাদা আচলে........
পদ্মার ফোঁস ফোঁস শব্দ আমি শুনিনা অনেক দিন। উত্তাল ঢেউয়ে ঢেউয়ে ফুলে-ফেঁপে-ফুঁসে উঠতে ইচ্ছে করে মাঝে মাঝে। মনে হয়, ডাক দিয়ে যাই -সর্বনাসের ডাক।
এখন আর স্বপ্ন দেখায় মজা নেই আমাতে। আমার এখন ইচ্ছে করে স্বপ্ন হতে......
এই জ্যোস্নায়...
জ্যোস্নার চাদর পড়ে
বালুচরে
এই জ্যোস্নায়
জ্যোস্নার কাফন নিয়ে
আকাশপানে
এই জ্যোস্নায়
জ্যোস্নার পাগলামিতে
সবুজ বনে
রবীন্দ্রনাথ হওয়ার ইচ্ছে জাগে না আমার। তারচেয়ে মনে হয় , ইশ্ হুমায়ন আজাদ যদি জন্ম না নিত!! তাহলে হয়তোবা পৃথিবীতে আমার কিছু কাজ থাকত। এখন যে আমি কাজ খুঁজে পাই না।
কবি হতে ইচ্ছে করে না সেজন্য, আমার এখন কবিতা হতে ইচ্ছে করে।
স্পর্শে ঘুম ভেঙ্গে যায়
বাস্তবতা কড়া নাড়ে দরজায়
আমার ইচ্ছেগুলো ভেঙ্গে পড়ে ক্রঃমশ
আত্মার অপমৃত্যু হয়.....
আমি মারা যাই
তারপর আবার বেঁচে উঠি প্রয়োজনে
আমি বেঁচে থাকি মৃত জীবন নিয়ে........
শুরু হয় প্রাত্যহিক জীবন আবার। ।
.....................................
......................................
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।