পরে বলবো
গবেষকদের গবেষণার বিষয়ের কোনো কমতি নেই। একেক সময় একেক বিষয়ে গবেষণা হয়। তাছাড়া যুগটাই করপোরেট। বাজারে পণ্য ছেড়ে দিয়ে চোখ বুজে ঘুমিয়ে থাকেনা কোনো কোম্পানি। বরং তাদের গবেষণা সেল কাক্সিক্ষত ভোক্তার নিত্য নতুন চাহিদা রিপোর্ট করতেই ব্যস্ত।
আর এসব গবেষণায় অনেক সময় বেরিয়ে আসে রীতিমতো অবাক হওয়ার মতো কিছু তথ্য। এইচআইভি/ এইডস সচেতনতায় বিশ্বব্যাপী কনডম ব্যবসা জমজমাট। যারা এর কারখানা সবার আগে খুলেছিলেন, তারা অর্থের হিসাবও রাখতে পারছেন না। কারখানার বিস্তৃতি হচ্ছে দেশ থেকে দেশে। পার্শ্ববর্তী ভারতের লোকসংখ্যা যখন প্রায় ১২০ কোটি, তখন কনডম ব্যবসায়ীদের গবেষণা আরেকটু বেশি।
আর তাতেই প্রাপ্ত মজার তথ্য। মৌসুম অনুযায়ী ভারতে কনডম বিক্রির হেরফের হয়। জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরে মহারাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি কনডম বিক্রি হয়। কাজেই ধারণা করাই যায় ভ্যালেন্টাইন ডে কিংবা ইংরেজি নববর্ষে এর খুব বেশি ব্যবহার হয় না। একটি অর্থবছরকে ৪ ভাগে ভাগ করে গবেষণা চালানো হয়েছে।
শুধু এক কোম্পানি নয়, একাধিক কোম্পানির গবেষণার তথ্য জুলাই থেকে ডিসেম্বরের আগ পর্যন্ত কনডম বিক্রি বেশি হয়। এই সময়ে বৃষ্টি বাদল একটু বেশিই থাকে। কনডম কোম্পানির সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মানুষ যতো বেশি বাড়ির ভেতরে থাকবে, এর ব্যবহার ততো বেশি হবে। গবেষণা শেষ নয় এখানেই। সারা বিশ্বে যখন অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দেয়, আশঙ্কা উচ্চারিত ভারতেÑ তখনো সেখানে প্রভাব পড়েছিল।
কনডম বিক্রি খানিটা কমে গিয়েছিল। এ নিয়ে যৌনবিষয়ক বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এটাই স্বাভাবিক। এটা অনেকটাই এলকোহোলের মতো। মানুষ যখন আরামে থাকে, পকেটে পয়সা থাকে তখনই যেমন তারা গলায় পানি ঢালতে উদ্যোগী হয়, তেমনই মন ভালো থাকলে তারা কনডম ব্যবহারেও আগ্রহী হয়।
তবে ভারতীয় নারীদের ভেতর ব্যাপক সচেতনতা বেড়েছে।
স্বামীদের প্রতি তাদের অগাধ বিশ্বাস, ভালোবাসা কিংবা শ্রদ্ধার তারতম্য না হলেও নিজেদের নিয়ে তারা যথেষ্ট সচেতন। ইদানিং কনডম ছাড়া অনেকেই স্বামীকে স্বাগত জানান না। কনডম কোম্পানিগুলোর গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। বলা হয়েছে, এ জন্যই বিক্রি বেড়েছে এর।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।