গণতন্ত্র গণতন্ত্র বলে মুখে ফেনা তোলে না, এমন বাঙালি গোট দেশে দুর্লভ। ঐ মুখে ফেনা তোলা পর্যন্তই, ঐ মুখের ফেনাতে গণতন্ত্রের সলিল সমাধি। গণতন্ত্র আসলে কেউই মানে না, ভূত বিশ্বাস করেন অনেকেই, গণতন্ত্রে বিশ্বাস আছে এমন ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা প্রায় শূণ্য। কি পরিবার, কি কর্মস্থল এমনকি গণতন্ত্রের সোল এজন্ট রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেও গণতন্ত্র চর্চায় ব্যাপক অনীহা। এমনকি মহান গণতন্ত্রের ধারক, বাহক ও প্রচারক গণমাধ্যমেরও আছে গণতন্ত্র এক প্রকারের অ্যালার্জি।
তৌকির আহমেদ সিনামা বানালে তাতে আবুল হায়াত, বিপাশা হায়াত, বিপাশা হায়াতের ছোটবোন নাতাশা হায়াতের স্বামী শাহেদ হায়াত থাকবেনই।
এজন্যই দেখা যায়, বিএনপি ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা হলে স্বয়ং ছাত্ররাই প্রতিবাদ করে রাস্তায় নেমে আসে। কেননা ছাত্রনেতা হিসেব যাদের নির্বাচিত (?) করা হয়েছে, তারা তো ছাত্র ননই, মানুষ হিসেবে তাদের মেনোপোজ শুরু হয়ে গিয়েছে। তারা পুত্রকণ্যার পিতা, অচিরেই দাদানানা হবার প্রতীক্ষায়।
দেশে দুইবছর গণতন্ত্র ছিলনা বলে আওয়ামীলীগের বুক পোড়ে, অথচ নিজেদের দলের কাউন্সিলই তারা বছরের পর বছর করেন না, এটাও গণতন্ত্রের প্রতি তাদের গভীর অবিশ্বাস ও অনাস্থার প্রকাশ।
গণতন্ত্র একটি বিক্রয়যোগ্য শব্দ যা বিশেষ বিশেষ পরিস্থিতিতে পাবলিকের কাছে বিক্রি করতে হয়। নির্বাচনের আগে, নির্বাচিত না হলে হরতাল ডাকার আগে।
রাজনীতিবিদদের কাছে গণতন্ত্র হচ্ছে কনডোমের মতো একটি বহুল প্রয়োজনীয় দ্রব্য যা কেবলমাত্র বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে স্বল্পকালীন সময়ের জন্য ব্যবহার করা হয়।
স্বল্পকালীন ব্যবহার শেষে ওটিকে ছুড়ে ফেলাকেই তারা স্বাস্থ্যকর মনে করেন।
এই কনডম ছাড়া উনারা অচল ...
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।