আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কনডম কেনার গল্প

ফেসবুকে আমারে "বিডি আইডল" নামে সার্চ দিয়া পাওয়া যাবে ক. ছোটবেলায় ঈদ করতাম বাড়ীতে। ঈদগাহ এর বাইরে বসতো সাময়িক ঈদের মেলা। নানান হাবিজাবি নিয়ে গ্রামের ছেলেরা পসরা সাজাতো। সেখানে সবচেয়ে প্রিয় জিনিষ ছিলো বেলুনের বাশী। পটকা অথবা বেলুন এক মাথায় আর তার মধ্যে বাশঁ দিয়ে তৈরি বাশীঁ।

ফু দিয়ে ফেলুন ফুলিয়ে এরপর ছেড়ে দিলেই পোঁ......ও করে বাজতো বাশীঁ। তবে মুরব্বিরা প্রায়ই সাবধান করতো এই 'পটকা' মুখে না দিতে। এটা খারাপ জিনিষ (!)। মুখে দিলে মুখে ঘা হয় খ. কিন্ডারগার্টেনের গন্ডি না পেরোতেই রহস্যময় 'বেলুন' এর ব্যাপকতা চোখে পড়লো। কলোনীর ছেলে-পেলের সাথে এই নিয়ে বিস্তর গবেষণাও হতো।

জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের ব্যাপক প্রচারণার ফলে কলোনীর বিভিন্ন বাসার আশে-পাশে ব্যাপক আকারে এইসব বেলুন চোখে পড়তে লাগলো। পাড়ার ইচঁড়ে পাকা ছেলে-পেলেরা এর মধ্যে ইঙ্গিত পূর্ণ রহস্যময় জিনিষের অস্তিত্ব খুজে পেলো। রাজা কনডম এবং প‌্যান্থার এই নামগুলোর সাথে তখনই পরিচয়। গ. হাই স্কুলে যখন পড়ি, তখন আমাদের একটা ঔষুধের দোকান হলো। দোকানে মাঝে মাঝে বসতাম।

ফাকঁ পেলেই কনডমের ব্ক্স খুলে এর ভিতরের নির্দেশনা পড়তাম। অতি অল্প সময়েই বেলুন বিশেষজ্ঞ (এবং এটা যে কাজে ব্যবহার করা হয় সে বিষয়ে এক্সপার্ট হয়ে উঠলাম। বন্ধু-বান্ধবদের ফ্রি বিতরণ করতাম সে জ্ঞাণ। ঘ. কলেজে পড়া অবস্হায় বেলুন নিয়ে নানারকম পরীক্ষা-নিরিক্ষা শুরু হলো। আকেলমন্দ কে লিয়ে ইশারাই কাফি তাই সেই সব ১৮- ঘটনা নিয়ে কিছু লিখলাম না আর ঙ. স্কুল জীবনের জ্ঞাণ বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে ব্যাপক প্রসারতা পেলো।

বন্ধু মহলে "গুরু" উপাধি জুটতে বেশিদিন লাগে নি (এই উপাধী অবশ্য কলেজেই চালু হয়েছিলো। চট্রগ্রাম কলেজের '৯৬ ব্যাচের কেউ থাকলে চেনার কথা আমাকে )। তাদের যাবতীয় মনো-দৈহিক বিষয়ের "কমসালটেন্ট" হলাম আমি। কনডম বিষয়ে স্বভাবতই নানারকম মিথ ছিলো ছেলেদের মধ্যে (অনেক বিবাহিতের মধ্যেও এটা আছে)। এটা ব্যবহার করলে ন্যাচারাল ফিলিংস হয় না, ইত্যাদি ইত্যাদি।

আমার জ্ঞাণগর্ভ লেকচারে তাদের সেইসব ভুল ধারণা বন্যার পানির ন্যায় ভেসে যেত। চ. এইসব ঘটনা বিবাহিত জীবনের পরের (মাঝখানের গ্যাপে কি হইছে সেইটাও ইশারায় কাফি )। আজিমপুর জাজেস কোয়ার্টারে থাকতাম মাঝে মাঝে। পাশেই ছিলো মহিলাদের একটা হোস্টেল। আর তার পাশে ফার্মেসী।

একদিন রিক্সা করে আসছিলাম। দোকানে নামলাম। বললাম ভাই এক প‌্যাকেট সেনসেশন দেন। "আমরা এইসব রাখি না!" (পবিত্র গাভী! মনে হয় পাশের হোস্টেলের কারণে!!)। ধানমন্ডির ১৫ নং এ এক বাসায় ছিলাম বেশ কিছুদিন।

বাসার সামনেই এক ফার্মেসী ওয়ালার সাথে বেশ পরিচয় হয়ে গেল। সে লোক নানান ইন্ডিয়ান, মালয়েশিয়ান, বার্মিজ কনডম আমাকে গছাতে চেষ্টা করতো। নানা কালার ও ফ্লেভার ওয়ালা। ওরে খুশী করতেই সেগুলো কিনতাম মাঝে মাঝে। পরে অবশ্য বাংলাদেশী ব্র্যান্ডগুলোই সেই রকম বানাতে শুরু করলো।

(একটা কথা বলে রাখি, নানা দেশের কনডম আমার দেখা, বাংলাদেশের কনডমের কোয়ালিটি যথেষ্ট ভালো)। নিজেতে যতই বুড়ো ভাবি, চেহারায় মনে হয় এখনও পোলাপাইন ভাব আছে। এইবার দেশে যেয়ে এক দোকানে গেলাম কনডম কিনতে। দোকানী বয়স্ক আংকেল। আমার কথা শুনে মনে হলো ক্ষাণিক শরম পেলেন।

আস্তে ধীরে প‌্যাকেট গুলো আবার বড় কাগজের প‌্যাকেটে ঢুকিয়ে সুন্দর করে স্ট্যাপলার করে দিলেন।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।