হক কথা কমু.....
লুঙ্গী তুলে খেঁচে দৌড় দিয়ে মোড়ের
ফার্মেসীতে গিয়ে ফিসফাস করে বললাম,
''মামা একটা দেন না প্লিজ''
দোকানদার চারদিক
তাকিয়ে কয়েকটা কনডমের প্যাকেট
সাদা কাগজে মুড়িয়ে দিয়ে ফিসফাস
করে বলল,
'হি হি ভাই, এতো লজ্জার কি আছে?
আপনার হাটুর সমানরাও সকাল-বিকাল দুই
বেলা নিয়া যাইতেছে। '
আমি অস্থির হয়ে বললাম,
'উঁ উঁ উঁ , ভাই এটা না। '
দোকানদার আবার
হাসতে হাসতে একটা ইমকনের
প্যাকেটকাগজে মুড়িয়ে হাতে দিল।
আমি অবাক। ইমকন হলো ঘটনা ঘটার পরের
জন্ম নিয়ন্রন পিল।
দোকানদার
হেসে বলল,
'কইবেন তো কাম আগেই সাইরা ফেলছেন।
নেন আট ঘন্টার মাঝেই খাওয়াবেন।
বাচ্চার বাপের সাধ্য নাই দুনিয়ায়
বাইর হইবো।
আমি অধৈর্য হয়ে বললাম,
'ধুর ভাই, ভুং ভাং নকশা বন্ধ করেন। তিন-
চারটা মেট্রো দেন।
বাথরুমে যাইতে যাইতে তো জান বাহির
হইয়া যাইতেছে। ''
দোকানদার পাংশু মুখে আমার
দিকে তাকিয়ে আছে। তার মুখের
ছবি বলে দিচ্ছে ''বদ পুলা। তোর মাথায়
ঠাডা পড়ুক''।
আমি আপাতত ঠাডার চিন্তা করছি না।
তিনটা মেট্রো নিয়া পাশের
দোকানে ছুটছি। সেখানে জল আছে। জল
দিয়া গলাধঃকরন করব।
যাওয়ার সময় মামাকে আবার ফিসফাস
করে বললাম,
''দেখেন না একটা মাইয়া আমার
দিকে তাকাইয়া আছে। কেমনে তার
সামনে মেট্রোর কথা কই।
বোঝেন তো?
যুবকের মন। খালি আজেবাজে চিন্তা।
প্রথম অংশের সত্যতা আছে।
শুধু ফার্মেসীতে গিয়ে একবার
দাঁড়িয়ে ফিসফাস করে দেখুন কি অবস্থা?
তাও করতে হবে না।
দোকানদারের মুখের দিকে দুই মিনিট
বোকাবোকা ভাব নিয়ে তাকিয়ে থাকুন।
বুঝতে পারবেন।
আমরা কোথায় ছিলাম!!
কোথায় যাচ্ছি!!!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।