. ছোটবেলা থেকেই কনডমের সাথে দোস্তি আমার। যখন আমার বয়স প্রায় চার বছর তখনই আমি প্রথম কনডম নিয়ে খেলা করেছি । আজকে আমি কয়েকটা কনডমের!!!! কাহীনি শোনাবো আপনাদের।
ডিসক্লেইমার: ঘটনা কারো সাথে মিলে গেলে আমি কোনো দায়দায়িত্ব নিতে পারবো না।
যতদুর মনে পড়ে রাজা কনডমই ছিল প্রথম কনডম যেটা দিয়ে আমি শুরু করেছিলাম।
আমার বন্ধুরা যখন আমার চোখের সামনে বেলুন (কনডম) ফুলিয়ে নিয়ে বেড়াত তখন আমার বুকটা দুঃখে ক্ষোভে ফেটে চৌচিড় হয়ে যেত। কোনো ব্যাটা আমাকে ওটা ধরতেও দিত না। এমনকি কান্নাকাটি করলেও না। তখন মনে মনে দোয়া করতাম ইয়া আল্লাহ তুমি কি দেখনা, তামার কি চোখ নেই? ওরা আমার সাথে কি অন্যায় টাই না করছে। তুমি ওদের শাস্তি দাও।
তুমি ওদের বেলুনটা ফাটায় দাও
(মনে মনে বলতাম, ফাটিস... ফাটিস... আল্লা করে ফাটিস,,,,,,)
কিন্তু আল্লাহ আমার কথা কোনোদিন শোনে নি
***ছোডুবেলায় আমি সবসময় লাডির উপরে থাকতাম। কেউ যদি কোনোদিন আমার নামে কোনোভাবে একটা অভিযোগ দিয়েছে তাহলে ঐদিন রাতে আমার একখানা এক্সট্রা খানা হইত। মাইরের ভয়ে সহজে কিছু চাইতামও না। বেশি আবদারও ছিল না।
এখন সমস্যা হইল কনডম কেনা নিয়ে!!!! তখন একেকটার দাম ছিল ৫০ পয়সা করে।
৫০ পয়সা কই পাই!!!!!!
একদিন সাহস করে আম্মাকে বলেই ফেললাম "আম্মা টাকা দাও, বেলুন কিনবো" আম্মা তো শুনেই মহাখাপ্পা। প্রথমে তো বলে হারামজাদা বেলুন কিনবি!!!!! বলেই লাডি দিয়া নগদে লাঞ্চ দিয়া দিল। কিন্ত আমিও নাছোড়বান্দা। মার যখন খেয়েছি মার আরো খাবো, কিন্তু দাবি আদায় করেই ছাড়বো। তখন আমার একদফা একদাবি "টাকা দাও, বেলুন কিনমু"।
একটু পর যখন পাশের বাড়ির ছোডোআম্মা আইয়া পড়লো কান্নাকাটি শুইনা, তখন দেখি আম্মা ঠান্ডা হইয়া আইলো এইবার নেগোশিয়েশনের পালা-------
আমার আম্মা কইলো টাকা দিতে পারি এক শর্তে, শর্ত হইলো বেলুনরে সাবান দিয়া ধুইতে হবে নাইলে আমি মারা যাইতে পারি কারন বেলুনের পিচ্ছিল জিনিসটা নাকি বিষ!!!!! আমি তো তৎক্ষনাৎ লাফ দিয়ে উঠলাম। পিচ্ছিল জিনিসটা দিয়া আমার কুনো কাম নাই। দৌড় দিয়ে দোকানদারকে বললাম বেলুন দাও। তারপর বেলুন নিয়ে কি ঘসাঘসি(সাবান দিয়া)
আমার পরিষ্কার মনে আছে আমি টিউবওয়েলে কাপড় কাঁচা সাবান দিয়া কনডম ধুইতেছি
ধোয়া শেষ হলে আবার আম্মাকে দেখাইলাম, আম্মা বিষ গেছে? আম্মার না দেইখাই মাথার উপর নিচ করা দেইখে বুঝলাম কাম হইয়া গেছে!!!
এরপর তো মহানন্দে বাইরে যাইয়া বেলুন ফুলাইয়া ফুডানি দেখাইতে লাগলাম। কিন্তু আমার কপালডা ছিল খারাপ আল্লায় আমার দুয়া কবুল কইরা ফালাইল, আর সেইডা আমারই উপর!!!
একটু পরেই বেলুনডারে ঘাসের উপরে ফালাইয়া দিলাম, হাত থেইকা ফসকাইয়া পইড়া গেল।
আর ফলাফলডা হইল সাথেসাথেই। এত কষ্টে অর্জিত বেলুনডারে ফাডাইলাইলাম
কিন্তু আমিও হাল ছাড়বার পাত্র না। ফাডা বেলুনের অংশগুলা কুড়াইয়া আবার ছোডছোড মেলাগুলা বেলুন বানাইলাম। এইবার আমার দাম বাইড়া গেল সব্বাই আমরে তেল দেয় একখানা বেলুনের টুকরার জন্য। কিন্ত আমি কি আর দেই
এই কর্মটি আমি করেছি বহু বছর ধরেই।
পরে একজন এক্সপার্টও হয়ে গিয়েছিলাম। বড় হয়ে একদিন দেখি স্কুলে খেলা হচ্চে "চাচা আপন জান বাচা" সেই বেলুন দিয়ে।
বিশেষ সতর্কতাঃ ঘাস বেলুনের চিরশত্রু, বিশেষ করে দুর্বা ঘাস
(চলবে) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।