আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাংলাদেশের অহংকারঃ আন্তর্জাতিক ইসলামি ব্যাংকিং মডেলঃ আইবিবিএল

সত্য বলেছি, সত্য বলছি এবং আরো সত্য বলেই যাব

কুরানে সুস্পস্ট ভাষায় বলাই আছে, "আমি সুদকে করছি হারাম আর ব্যবসাকে করেছি হালাল" ইসলাম যদি ব্যবসাকে হালাল করে থাকে আর কেউ যদি ইসলামী পদ্ধতিতে ব্যবসা করতে চায় তাহলে তার বিপক্ষে কটু কথা বলাটা একেবারেই অনুচিৎ। যেমনটি করলেন প্রধান্মন্ত্রীর অর্থনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা ড। মশিউর। হয়তো তার করানের এই আয়াত টি জানা ছিলো না। এধরনের নানা আপপ্রচার আর বাধা বিপত্তি সত্তেও ইসলামি ব্যাংক আজ বাংলাদেশে তো বটেই বিদেশেও তার স্থানটি আমাদের জন্য অত্যন্ত মর্যাদার।

তা আর্থিক আর সামাজিক নিরাপত্তার জন্য শেষ্ঠ কেন? ইসলামী ব্যাংক যে অর্থ দেয় আর গ্রহীতা যে অর্থ নেয় তার শতকরা অংশ হিসেবে ব্যাংক আর গ্রহীতা উভয়ে লাভ পায়। অংশিদারিত্তের ভিত্তিতে এখানে ব্যাংক আর গ্রহীতার মধ্যে ব্যবসায়িক লেন্দেন হয়, কিস্তিতে গ্রহীতা ব্যাংকের অংশটুকু ফেরত দিয়ে নিজের মালিকানার অংশ বাড়াতে বাড়াতে এক সময় ব্যাংকের অংশটুকু ফেরত দেয়। ব্যবসায়িক ক্ষেত্র ছাড়া কঞ্জিউমার (বাড়ি, গাড়ি) লোন নিলে সেখানে বাড়ি/গাড়ি ভাড়া অনুসারে গ্রহীতা ব্যংকে টাকা ফেরত দেয়। ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে যদি গ্রহীতা লোক্সানের সম্মুখিন হয় তাহলে ব্যাংক আর গ্রহীতা দুই জনই অংশিদারিত্ত অনুযায়ী ক্ষতির অংশ বহন করবে। যা একটি প্রচলিত ব্যাংক কখোনই করবে না, সেখানে ক্ষতির অংশ বহন করে শুধু গ্রহীতা।

জিনি্সটাকে আরো সহজভাবে বুঝার চেষ্টা করুন কোন রকম সংকির্ণতা ছাড়াই। হ্যা নির্দিষ্ট হারে ফেরত দিতে হচ্ছে কিন্তু তা মাসে মাসে পরিবর্তিত হয় যদি তা ছোট লোন হয় বাজার অনুসারে আর বছর বছর তার হার ওঠানামা করে বাজার অনুসারে যদি তা বড় লোন হয়। চিন্তা করুন বাড়িভাড়ার কথা। তাতো নির্দিষ্টই কিন্তু বাড়ির মালিক ১/২ বছর পর পর বাজার অনুসারে তা বাড়ান/ কমান। এক্লহানে বাড়িওয়ালা হলেন ব্যবসায়ি যিনি তার বাড়ি ভাড়া দেয়ার মাধ্যমে ব্যবসা করছেন।

সুদি ব্যংকেরসাথে ইসলামি ব্যংকের আসল পার্থক্য হল "ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে যদি গ্রহীতা লোক্সানের সম্মুখিন হয় তাহলে ব্যাংক আর গ্রহীতা দুই জনই অংশিদারিত্ত অনুযায়ী ক্ষতির অংশ বহন করবে। যা একটি প্রচলিত ব্যাংক কখোনই করবে না, সেখানে ক্ষতির অংশ বহন করে শুধু গ্রহীতা। " যার ফলে গ্রহীতার ফেরত দেবার অর্থের বাড়তি টুকু হয় 'সুদ' আর ইসলামি ব্যংকের জন্য হয় 'মুনাফা'। এ ব্যাপারটিকে আরো বুঝিয়ে বলা যায় একটা উদাহরণের মাধ্যমে, যদিও তা শুনতে ভালো নাও লাগতে পার। বিয়ের শর্ত পূরণ করে একটা দম্পতির মেলামেশা ইসলাম বৈধ বলেছে, আর না পূরণ করে জীবন যাপন করলে তাকে অবৈধ বলেছে।

ঠিক এখানে যেমন পারিবারিক আর সামাজিক নিরাপত্তা আর স্থায়িত্তের বিধানের জন্য 'বিয়ের' শর্ত দিয়ে বৈধতা দিয়েছে তেমনি ব্যাংকিং ক্ষেত্রে সামাজিক আর আর্থিক নিরাপত্তা আর স্থায়িত্তের জন্য এই শর্তটা দেয়া হয়েছে। কেন আন্তর্জাতিক পর্যায়েও শীর্ষে? আর এই অর্থনৈতিক মন্দার সময়ে সারা বিশ্বে অন্যান্য ব্যাংকগুলো ক্ষতির সম্মুক্ষিন হলেও ইসলামী ব্যাংকগলো ভালো লাভের মুখ দেখেছে। বাংলাদেশেও ইসলামী ব্যাংকগুলোর প্রাধান্য থাকায় মন্দার ক্ষতি থেকে বাংলাদেশ বেচে গেছে। আরো খুলে বলা যায় দেখেন অয়েস্টার্ণ দেশে পারিবারিক স্থায়িত্ত নাই কারণ তারা বিয়ের বদলে লিভ টুগেথারকে বেশি পছন্দ করে, আর এই যে অর্থনোইতিক মন্দা হল কারণ তাদের সুদি ব্যাংকগুলো মানুষকে টাকা দিয়ে তার ক্ষতির কথা চিন্তা করে নাই (আর্থিক নিরাপত্তা ), তাই তাদের ব্যংকের কম্পিউটারে টাকা থাকলেও প্রকৃতভাবে তার কন অস্তিত্ত ছিলোনা। কিন্তু সারা বিশ্বে ইসলামি ব্যাংকগুলো এ ধরণের কন লোক্সানে পড়েনি, হোক তা ইউরোপের বা এশিয়ার ইসলামি ব্যাংক।

্তাছাড়াও বার্ষিক অর্থনৈতিক লাভ আর সরকারকে আয়কর প্রদানের দিক থেকেও ইসলামি ব্যাংকগুলা প্রচলিত ব্যাংক থেকে অনেক এগিয়ে এবং IBBL শীর্ষে বেশ কয়েক বছর ধরে। এটা প্রমাণ করে ইসলামী ব্যাংক গুলা দেশের অর্থনীতির জন্য ভালো। আমাদের গর্বের কারণ আর আমাদের সকলের ইসলামি ব্যাংক নিয়ে গর্ব করা উচিৎ। কারন সারা বিশ্বে ব্যাংকিং বা ইসলামি ব্যাংকিঙ্গের ক্ষেত্রে তা আজ আদর্শ। বিশ্ব বিখ্যাত আন্তর্জাতিক আর্থিক কোম্পানিগুলো এবং বিশ্বের সকল নতুন ব্যাংকগুলো আজ বাংলাদেশের ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড (আইবিবিএল) কে মডেল হিসেবে নিচ্ছে।

তাদের একাডেমিতে প্রতি বছর শত শত দেশি বিদেশি নতুন ব্যংকাররা প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। ইতোমদ্ধ্যে এই ব্যংক্টি আন্তর্জাতিক মানের অনেক এওয়ার্ডে ভুষিত হয়েছে বৈকি এখন আবুল বারাকাতের নিজের ব্যাংক ইসলামি ব্যাংকগুলার সাথে না পেরে উঠলে কি সেগুলা খারাপ হয়ে যাবে? এধরণের মানসিকতা কখণোই দেশের জন্য ভালো কিছু দিতে পারবে না। কবে যে এরা সংকীর্ণ মানসিকতা থেকে বেড়িয়ে এসে দেশের ভালোর জন্য কথা বলতে পারবে??? এখানে ইসলামী ব্যাংকগুলোকে শত্রু ভাবলে যে কেঊ ভুল করবেন আরণ আজকের বাস্তবতায় এর খারাপ চাওয়া অর্থ দেশের আর ইসলামেরি খারাপ চাওয়া। এক কথায় ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড (আইবিবিএল) আজ বাংলাদেশের গর্বের আইকন হয়ে দাড়িয়েছে। দাড়িয়েছে আমদের এক বিরাট পাওয়া।

এটা কেউ স্বীকার করুক আর নাই করুক।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.