জীবনে স্বপ্ন আর সাধ এখন আর নেই
সব যেন আমি তোমার মাঝে হারাই
কি এক গভীর আচ্ছনে ।
সারাক্ষন চেয়ে থাকি তোমার পথ পানে
চেয়ে চেয়ে দুটি চোখ যেন ঝাপসা হয়ে আসে।
কি এক গভীর মায়াজালে
সারাক্ষন শুধু তোমার কথা ভাবি
সেই ভাবনার ক্লান্তি নেই,আছে শুধু আচ্ছন্নতা।
ভাল আছ এমন প্রত্যাশা করতেই পারি যদি আমার অনুমান বিদ্যা ভুল না হয়। অপ্রত্যাশিত কোন কিছু একদিকে যেমন আনন্দ দেয় অন্য দিকে ভাবিয়েও তোলে।
জানিনা তুমি কি ভাবছ ? তুমি হবে আমার স্বপ্নের ভুবনের বাসিন্দা.........;যত বড় না প্রশ্ন তার চেয়ে বড় বিস্ময় মনে হতে পারে তোমার কাছে । কারন তুমি, তোমরা,অনামিকারা কিছুটা দ্রবীভূত হও পুরোপুরি দ্রবীভূত হওনা;কেননা পুরোপুরি দ্রবীভূত হয়ে গেলে তো অন্য কোথাও দ্রবীভূত হওয়ার সুযোগ থাকবেনা। আর আট দশটা ছেলের মত primary formality নিয়ে মেয়ে দের সাথে ভাব দেখাতে হবে সেটা আমার রুচিতে বাধে,তাই সরাসরি তোমাকে নিয়ে স্বপ্নের ভুবন সাজিয়ে ছিলাম,আর তাতে তুমি কিনা বিস্মিত!জীবনের সহজ নিশ্চিন্ত ঢালু পথে গড়িয়ে নেমে যাওয়াটা আমার স্বভাব বিরুদ্ধ,আর এখানেই আমার ব্যর্থতা। যেখানে তুমি বিস্মিত সেখানে অ-বিস্ময়ের ঝাপি নিয়ে কারবার করা যায় না, কারবার করা যায় না বলেই আমি জানি আমার বন্ধু ভাগ্য শোচনীয় যেখানে তোমার উপাস্বী কাঁধা দুই বিরুধী শিবিরে ভাগ হয়ে গেছে,কেননা তুমি বুঝতে চেষ্টা করনি কেন আমি বদনামী দলের শিরোমনিতে ছিলাম ঐ দিনগুলোতে।
ইচ্ছার বিরুদ্ধে লিখতে হয় ।
কারন প্রতিটা মূহূর্ত যাকে আমি স্মরন করি সে আমাকে কবেই হয়তো ভুলে বসে আছে। আসলে কাছে থাকলে মানুষের চেহারাটা এক দূরে গেলে হয়ে যায় আরেক,আগে বিশ্বাস করতাম না কিন্তু এখন করতে হচ্ছে। আসলে আমি তোমাকে কখনো চিনতে পারবোনা। যে কথা গুলো মুখে বলতে পারিনি তা আজ লিখতে চেষ্টা করছি। কিন্তু এও জানিযে সব লিখতে পারবোনা তবুও মনের একটা সান্ত্বনা মাএ।
তুমি নিজেকে অনেক চালাক ভাবো,সত্যি তুমি চালাক কিন্তু তোমার সব চালাকিই ধরা পড়ে যায়,সেটা তুমি জানোনা। তুমি একটা সময় থেকে আমার সাথে অনেক মিথ্যে বলে এসেছ,কিন্তুু আমি সবই বুঝতাম ,কখনো সঠিক সত্যটা জানতে চাইনি। আর তুমি কি মিথ্যে বলেছ তাও তোমাকে বলতে চাইনি, বলতে চাইনি এজন্য যে তুমি দুঃখ পাবে,আমার সামনে নিজেকে তোমার ছোট মনে হবে,বা তোমার স্বাভাবিক আচরন পাল্টে যাবে। আসলে আমি ইচ্ছে করে কখনো তোমাকে দুঃখ দিতে চাইনি,যদি কখনো তা পেয়েছ তবে তা তোমার নিজের কারনে। কারো কাছেই তোমাকে ছোট হতে দেইনি।
আমার বন্ধুদের কাছে তুমি ছোট হয়ে যাবে ভেবে নিজে তাদের কাছে ছোট হয়েছি তবুও তোমাকে হতে দেয়নি। কেন হতে দেইনি জানো???কারন আমি জানতাম যে, আমি একজনকে ভালোবাসি আর সেই ভালোবাসার মানুষটার স্থান হবে সবার উপরে। ভয় পেয়োনা যে আমি না আবার তোমার কাছে ভালোবাসা দাবী করছি। তুমি নির্ভয়ে থাকতে পারো। আসলে আমি তোমাকে ভালোবাসি এটাই সবচেয়ে বড় সত্য।
হাজারো মানুষ যদি তোমাকে ভালোবাসে তবুও আমার কোন অভিযোগ নেই। সত্য এটাই যে ভালোবাসার বিনিময়ে মানুষ ভালোবাসা পেতে চায় কিন্তুু আমার ভালোবাসার শক্তি এতই দুর্বল সেটা শুধূ দিতে জানে পেতে চায়না। আসলে পেতে চায়না বললে ভুল হবে, পায় না। তবে আমি জানি যে এতটা দুর্বল শক্তি ধর ভালোবাসা আমার মাঝে জন্মাতো না যদি না আমি জন্মাতে দিতাম। আমি পারতাম ভালোবাসার অধিকার নিয়ে কারো সামনে দাড়াতে কিন্তুু কারো মনের বিরুদ্ধে তো আর জোর করা যায় না।
আর এরকম স্বভাবও আমার নেই। তুমি এক সময় বলেছিলে যে আমি যেন কখনো তোমার সাথে মিথ্যে না বলি,কারন মিথ্যে শুনলে মানুষের উপর তোমার ঘৃনা বেড়ে যায়। তোমার কথায় এবং কাজে কোন মিল ছিলনা। তবুও আমি তোমাকে কতোটা বিশ্বাস করতাম , কতটুকু ভালো জানতাম তা আমি আর সৃষ্টিকর্তাই ভালো জানেন। কারন কাউকে বুঝবার বা জানবার ক্ষমতা এখনও তোমার হয়নি।
কথাগুলো লিখতাম না ,আসলে খুব কষ্ট হচ্ছে। কষ্ট হচ্ছে এই ভেবে যে তুমি আমাকে অবিশ্বাস কর। তোমার মুখে শুনি যে তুমি বিশ্বাস কর। কিন্তুু সত্যি এটা যে সেটা শুধু আমাকে আশ্বস্থ করার জন্য। আরও কষ্ট হয় এই ভেবে যে কেউ আমাকে অবিশ্বাস করে।
আমিতো সর্বসত্তা দিয়ে বিশ্বাসের মর্যাদা দিতে চেষ্টা করি,তবুও কেন সবাই আমাকে এমনটা ভাবে। বিশ্বাসের মর্যাদা যদি নাইবা দিতাম তবে আজ পৃথিবীতে তুমি যাকে বেশি ঘৃণা করতে সে হতাম আমি। তুমি নিজেকে নিয়ে খুব বেশি ভাবতে ভালোবাস। নিজেকে নিয়ে ভাবা ভালো কিন্তুু অন্যকে কষ্ট দিয়ে সেটা করা একেবারেই উচিত নয়। আমি এও জানি যে এক সময় তোমার কাছে আমি খুব অপরিচিত একজন হয়ে যাবো।
তখন আমাকে চিনতে তোমার খুব কষ্ট হবে। তখন আমাকে চিনতে গেলে তোমার অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে। তবুও আজতো আমাকে চিনতে পারো,এখনও। আর সামনে যে কি আছে তা কি করে বলবো। আসলে তুমি যা করো তা ঠিকই করো,কারন আমি অনাধিকার চর্চা করি ।
তবে মনে হয় এত বেশি করিনা। এত কিছু কেন লিখলাম তার কোন জবাব আমার কাছে নেই। আর আমি আশা করবো তুমিও এ ব্যাপারে আমাকে কিছু জিজ্ঞেস করবেনা। কষ্ট পাবে জানি ,তবে কষ্টটুকু চাপা রাখবে। সুখ পেতে মনের মানুষের কাছে ছুটে যেও তবে সব কিছুই ভুলতে পারবে ।
দুঃখ দেওয়ার জন্য ক্ষমা চাইবোনা। পারলে যতখুশি দুঃখ দিও পরিনামে আমায়। এটা পড়ে আর ভেবোনা, প্লিজ্।
তুমি অবুঝের মত সত্য মিথ্যা যাই বিশ্বাস করোনা কেন তাতে আমার কিচ্ছু যায় আসেনা,কেননা তুমি আমার প্রত্যক্ষ সত্য একথা ভুলিয়ে দেবার জন্য একটিও কারন নেই। কষ্ট যাকে নিষ্ঠুর ভাবে বাধে,যেখানে তুমি ছুরি মারলে ব্যাথ্যা পাও তার জন্য কি একটুও দরদ নেই রক্ত মাংসের বুকে।
তুমি কি জান কত দুসাঃধ্য অপব্যায় করেছি তোমাকে ভুলে থাকবার জন্য,কিন্তুু পারিনি। জানিনা নিজের অজান্তে কখন যে হারিয়ে গেছি কৃষ্ণা অষ্টমীর আধারে, যেখান থেকে আমি আর কোন কালেই মুক্তি পাবনা। যা হোক যেখানে জ্যালাসি পর্বত বহ্নিমান ধূয়া! তাজা ভিসুভিয়াস তোমার মনে বাসা বেধেছে সেখানে খোঁচা মেরে অঞ্জলী বাধঁতে চেয়ে ছিলাম বরং তুমিই আমাকে রক্তাক্ত করেছ। বিশ্বহিত ঐস্বনী তুমি হয়তো কোলাহলমুক্ত আকাশের সন্ধানে গিয়ে সফল হয়েছ কিন্তু কেন একবারও ভাবলেনা রক্তাক্ত আকাশের কথা যার রক্ত কান্না দিনদিন বাড়ছে শুধু, কমছেনা
মধুকরি ভাবনা করোনা কিন্তু যদি ভাবনা করে থাক তবে ভাল লাগছে ,জানি কেন বিদায় নিয়ে পাথেয় দাবী করছি এই বলে তুমি রাগ করবে। আমি জানি একদিন তুমি আসবে যেদিন আমাকে বালিশের মধ্যে মাথা গুজেঁ কাদঁতে হবে।
এই বলে তোমার নামের সাথে আমার নাম গাথাঁ হতে পারত যদি তুমি আমার ভুবনের বন্ধু হতে। নিষ্ঠুর শাস্তি আমার শুরু হয়ে গেছে চৌকিতে তোমার দেখা হলোনা বল্ েমন ভুলানোর কৃএিম স্তব করোনি তুমি,তোমার নিরাস্বত্ব মনের সবচেয়ে বড় দান আমি আজও খুজে পাইনি। যতক্ষন তোমার এবং তোমার বিশ্বাস অসন্ধিগ্ধ সত্যে না পৌছিবে ততক্ষন তুমি ভেবে দেখবে আমি তোমার জন্যে অপেক্ষা করব। তুমি ঈর্ষা করছ কিনা জানিনা তবে তুমি তোমার মনের কথা জানাওনি ,আদৌ কি তা জানাতে আমার কাছে ভাববার বিষয় নয়,কিন্তু তোমার স্তব্ধতা আর গভীর চাহনি থেকে প্রতিক্ষনে আমাকে যা দান করেছ তাকে এই হতভাগা কোন নাম দিতে পারেনি দিয়েছে অলৌকিক। মৌললনা ভালবাসার যদি কোন অসীম সত্য ভূমিকা আছে বলে মনে করা যায় তাহলে আবার আমি সেখানে ফিরব ,তখন আমার মত্,বিশ্বাস সমস্ত কিছু চোখ বুজে সমর্পণ করব তোমার হাতে তুমি তাকে পৌছে দিও.......................
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।