জোর হোক শুধু গলার আওয়াজ, গায়ের জোরটা তোলাই থাকুক
খুশবু- ঘারছে মেরি যাতি নেহি, কুছ তো থি - দো রোজ কি মেহমামে (এরকমই হয়তো ছিল লাইটা, ঠিক মনে নাই)
সেরকম কোন অতিথির আগমনে, আশপাশের সবকিছু হঠাৎ রঙ্গিন হয়ে ওঠে, সুরেলা হয়ে ওঠে।
আজীবন শুধুই বাজতে থাকা সেতারটা - তার হাতে পড়ে যেন গেয়ে ওঠে।
আজীবন ঠেকা ধরে রাখা মৃত চামড়ার তবলা - তার হাত লেগে রীতিমত আলাপ জুড়ে দেয়।
সবাই সুর - বাজায়, গায়। আর তাঁর সুর - কাঁদে, হাসে, মান-অভিমান করে, দুরে যায়, কাছে আসে .....
শুনেছি - নজরুল ইসলাম বাংলার সঙ্গীত-অঙ্গনের সেরকম অতিথি ছিলেন।
নজরুলের আকাশবাণীতে আসায়, পুরো আকাশবাণী হঠাৎ বদলে গিয়েছিল। কানে লাগার মতো সুরেলা হয়ে উঠেছিল রাতারাতি। সবাই যেন সুরে ভাবছে, সুরে চলছে, সুরে গাচ্ছে, সুরে বাজাচ্ছে।
তিনি এসে আধুনিক ধারায় প্রচলিত-অপ্রচলিত রাগগুলোর ব্যাবহার শুরু করলেন। নতুন নতুন রাগ তৈরি করলেন।
গায়কি বদলে দিলেন।
প্রতিটি প্রচলিত জনরে তে দুচারটি গান অন্তত যোগ করলেন, অনেকগুলোতে পুরো নতুন মাত্রা যোগ করলেন।
শাস্ত্রীয় সংগীত, ভক্তিগীতি, ইসলামী গান, জাগরণী গান, গজল, শেয়ের, কাওয়ালী, লেটো, কোরাস, শ্রেনীসঙ্গীত, শোকগীতি, শিশুগীত, ঋতুগীত - কোথায় ছিলেন না তিনি।
যাদু দিয়ে রঙ্গিন করে দিলেন আকাশবাণীকে এবং ভবিষ্যতের বাংলা গানকে।
তার মহাপ্রয়াণ দিবস গেল।
দোআ করি - তিনি যেখানেই থাকুন ভাল থাকুন। সুরের ছায়ায়, সুরের মায়ায় থাকুন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।