আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মিষ্টি

নামের সাথে কামের কিছু মিলতো থাকবোই

আমাদের গ্রাম থেকে পার্শ্ববর্তী বাজারের নাম ঝলমলিয়া। প্রতি সোম এবং বৃহস্পতিবার বাজার বসে। যদিও বাজার বলছি, আসলে হবে হাট। আমাদের গ্রাম থেকে ৩ কিলোমিটার দুরত্ব। খুব ছোটবেলা থেকেই দাদার সাথে হাটে যেতাম।

ছোট বলতে ৪/৫ বছর বয়স থেকেই। হাটে যেতাম বেড়ানোর উদ্দেশ্যে নয়। ছোট্ট একটা উদ্দেশ্য থাকতো। হাটে গেলেই মিষ্টি খেতে পেতাম। হাটে গেলেই দাদার সকল কাজ শেষ হলে শেষ কাজ ছিলো আমাকে মিষ্টি খাওয়ানো।

মন্টু নামে এক মিষ্টিওয়ালার দোকানে চলে যেতাম। দাদা বলতো- মন্টুরে, নাতিরে মিষ্টি খাওয়া। মন্টু ছোট টিনের প্লেটে করে মিষ্টি তুলে দিতে আমি খেতাম। মন্টুর মিষ্টির দোকানটি স্থায়ী নয়। উপরে টিন দেয়া আছে কিন্তু চারিদিকে বেড়া দেয়া নেই।

প্রতি সোম এবং বৃহস্পতি সে হাটে আসতো। মিষ্টি খাওয়া হলে দাদার সাথে একহাড়ি মিষ্টি নিয়ে বাড়ি চলে আসতাম। বাড়িতে এসে আবার নিজের ভাগের মিষ্টি খাওয়া । একবার মন্টুর দোকানের মিষ্টি খেয়ে বাসায় ফিরতে ফিরতেই মুখের মধ্যে ফুলে যেতে শুরু করলো। রাতের মধ্যেই মুখ ফুলে ঢোল হয়ে গেল।

সকালে এতো ফুলে গেলো যে চোখ খুলে তাকাতে পারি না। সম্ভবত মিষ্টি খাবার সময় মৌমাছির হুল জাতীয় কিছু ফুটেছিল। দাদা জান্নাতবাসী হয়েছেন কিন্তু আমার মিষ্টি খাওয়া বেড়েছে। আমাদের সকল আত্নীয় জানেন যে আমি মিষ্টি খেতে ভালবাসি আর তাই যাদের বাসাতেই যাবো, তারা আমাকে মাষ্টি খেতে দেন, আমিও খাই । যেদিন নিজের ফ্রীজ কিনলাম সেদিন থেকে মিষ্টি খাওয়া প্রায় নিয়মতি হয়ে গেলো।

আর গত ২ মাস হলো প্রায় প্রতিদিন মিষ্টি খাচ্ছি । দিনে ২/১ বার মিষ্টি খাওয়া না হলে মনটা কেমন উসখুস করে । গতকাল সিদ্ধান্ত নিলাম আমাদের এলাকার যত মিষ্টির দোকান আছে সব দোকান থেকে সবগুলো আইটেম একবার করে খাবো ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.