রাকিবুল হক ইবন
তোমাকে দেখছি না। একবার তো তোমার আসার
কথা, যখন স্বপ্নরাশি নিজেরই উলঙ্গ ও ঠান্ডা, ধর্মগ্রন্থের
চেয়ে প্রবিত্র পায়ের চাপে ভাঙা। জলোগন্ধ ভরা এই আকাশ
থেকে নেমে, যখন সমুদ্র বেগে ধেয়ে যাবে শীত সন্ধ্যা;
পুরানো প্রাচীন রক্তধারা লীন ও স্বপ্নজুড়ে উদ্ভিদের মৃত
চিৎকার! নদী শুকিয়ে চিল হয়ে গেছে উড়ে, ওড়ে
ডানাঅলা সমস্ত মাটি। আর তোমার চোখের এক মুঠো কান্না,
এবং শোনো অস্থায়ী জলের জাল দিয়ে পুরোটা কাজ করা
পোশাকের আচ্ছাদনে ঢাকা আমার দেশের সুগন্ধ মেয়েরা,
তোমরা যারা তার বিরোধীতা করো! সকাল বেলায় আসো
আর রোজ হাওয়াদের ওপর দাঁড়াও
তোমরা কী জানো না! বহুদূর পথ হেঁটে গেলেও
কোনোদিন আকাশে মাটিতে দেখা না পাওয়া, ও সৌন্দর্যের
সামান্য স্ফূরণ সমান ভূমি আর জ্বলতে দেখবে না।
কোনোখানে;
...আমার মানে আমাদের মৃত্যুময় তীরে
অথচ এখন পর্যন্ত কিনা তাঁর নামকরণও করা হয়
নি! সংশোধিত।
তাই জীবিত ...আমাদের সব মায়া এবং
স্বপ্ন থেকে বাতাসে ও বৃষ্টিতে, সে চেয়েছে সীমানা
ছিঁড়তে! সে চেয়েছে ফল! আমি বলি কী 'সকল
প্রশংসা শুধুমাত্র তার'।
সেই সেই ওহি বহন করা কোল আর সকাল মুছে
বসতে চেষ্টা করো। তোমাদের ভালো করে জানিয়েই দিতে
চাই যে, পাহাড়ের সামনে সন্ধ্যার পর মাদ্রাজে আর
মোরগের লবণমাখা ডাক
নিভলে সে ছিল! আমার সঙ্গে ঐ তিথিগুলোতে।
আর মৃত্যুর চেয়ে দামি দামি দেশে তোমাদের যাতায়াত
তোমরা আসতে চাইলে আসতে পারো। আর আমরা যেতে
চাইলেই- শুধু এটা সেটা বলো! বিশাল জিভ বের করে
মাটির যেই পাশে গজালো যে জ্ঞানদাঁত! এক কোপে
পড়ে যাওয়া মাথা! আমাদের দাঁতে দাঁতে জড়ানো
যে আলোর কষ; আর আমাদের ইন্জিনের শক্তি স্পর্শ করো
ক্রমাগত মাপো,
(...জানি না ঈশ্বরদের মধ্য হতে কোন্ জন তোমাদের তৈরি করেছে)
ও আমার দেশগুলোর জাতির জনকগণ, তোমরা কি সেই,
যাদের খুলি একটু আগেই আমরা আবিস্কার করলাম
পিকিং শহরমধ্য থেকে,
তোমাদের রং-করা আকৃতি বোঝা ভার, তা ছিল
কি ভেড়া ও মনুষ্যযুগলের?
দুঃখিত, আমাদের রাষ্ট্রপতি কিংবা জাতির পিতাগণ!
আমরা এটা দ্যাখার জন্যই শুধু জন্মেছিলাম যে, কী
করে উপসাগরের পারে একটি মৃত ছাগশিশু ভাসছে,
...আর কোমরছাড়া দুই পায়ের দাপাদাপির ভিতর
থেকে বেরিয়ে জোনাকির হাড়ের স্ফূরণে স্ফূরণে
বেড়ে ওঠেছ যে মেয়েরা,
তোমাদেরই নীল ঝুড়িশাড়ি মধ্য থেকে হলুদ আকাশের
দিকে উড়ে গিয়েছিল
...আমার সমস্ত সংগ্রহ করা তিতির!
ওই খোলামেলা দা এর দিকে চুপে মুখ করে আছে
যে চুপচাপ আকাশ, সবুজ পাতার ভিড়ে উড়তে থাকা
এক ঝাঁকবদ্ধ যে হলুদ অতিরিক্ত শালিখ, স্বপ্নের উপত্যকা
গুলো আর হ্যামিলন শহরের কোনও বেহালা বাদক,
আর আমার দীর্ঘভাই! যাকে কখনোই দেখি নি
আর তোমরা! তোমাদের মধ্য থেকে যাকে সবাই অনু
সরণ করছে, আমাদের স্বপ্নের আয়নায় যে সমুদ্রটা
বাঁধা, সেই সেই লেবু ছড়ানো মেয়েগণ আর মমি
মিশ্রিত জনতার দল!
...গভীর সমুদ্রে ময়ূরেরা তর্ক তোলে
...তোমরা কি সত্যিই বেঁচেছিলে।
বৃষ্টিছাড়া
বৃদ্ধি পাওয়া দমবদ্ধ এই তিতকুটে ধোঁয়ায়?
(যাও মাছের ভিতরে আমার শিশু
যাও ভুবনময় মাছ আমার শিশুমধ্যে)
...ঘুরতে থাকা এক পাখার পুরানো চক্কর
আমাদের নাকে মুখে,
এবং নীরবতা মধ্যে আবার সব মনে পড়ে! অন্যদের
ঝড় বহন করা ট্রেনে আমাদের তুলে দিয়ে মেঘদের
গমনপথ ধরে 'এখানকার ঋতুরা বেশ বিশৃঙ্খল'-
এই বলে, চলে যাওয়া সেই তুমি কি আবার আসবে!
এসে পৌছাবে?
পরিভ্রমণ রত তোমার চতুর্দিক সকলের মিহিমুখে ...
...খেজুরের কাঁটা গেঁথে ছিলি তুই! শৈশবের সারা
দেহে,
ভিতরের এক দুলর্ভ আয়নায় দেখি ডুবে যাচ্ছে
পৃথিবী থেকে রক্তাক্ত কাচের সমুদ্রগুলি ও আমাদের মীনের
অবদান! চাঁদের ভরপুর বাতাসে! পশ্চিমের সিংহ
দরজামুখ ঘেষে তখন কে ছিল দাঁড়িয়ে?
'অভিবাদন, তোমাকে স্বদেশী! এই নতুন ঝকঝকে
দেশে। এখানে পাবে পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দরতম
নৈশপথগুলি। চলো, প্রদর্শনীতে গেলে হয়তো ভালো
লাগবে'।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।