আমি একজন অরাজনীতিবিদ
কম্পিউটারকে সহজ করে সাধারণ মানুষের অন্দরে এনেছিলেন জোবস। হ্যাঁ, স্টিভ জোবসই দেখিয়েছিলেন একটা ছোট্ট যন্ত্রে হাজার হাজার গান, ভিডিও ভরা যায় অনায়াসে। আঙুলের ছোঁয়ায় একটা ফোন চালানো যায়, তাও বিশ্বকে দেখিয়েছিলেন তিনি। এই যন্ত্র-ত্রয়ীকে বিশ্ব চেনে আই-ম্যাকবুক, আইপড আইফোন নামে। আর এবার এল ‘আইপ্যাড’।
ফোন আর ল্যাপটপের মাঝের ফাঁক ভরাতে জাদুকরের নবতম সংযোজন। সূত্রঃ আনন্দ বাজার পত্রিকা।
ডিজিটাল দুনিয়ার ‘হ্যারি পটার’ স্টিভ জোবসের নতুন সৃষ্টি, একুশ শতকে অ্যাপলের নতুন বিপ্লব-আইপ্যাড। প্রাযুক্তিক পরিভাষায়, ‘ট্যাবলেট মিডিয়া প্লেয়ার’। আর সব মানুষের ভাষায়? একটা ে টের মতো যন্ত্র আদতে পাতলা একটি টাচস্ক্রিন।
যেটি চালানো যাবে আঙুলের ছোঁয়ায়। ে ট ঘোরালে তার সঙ্গে পুরো ঘুরে যাবে লেখা, ছবি। এত পরিষ্কার ছবি এর আগে কোন কম্পিউটার বা ল্যাপটপের পর্দা দেখাতে পারেনি, দাবি অ্যাপলের কর্ণধার জোবসের। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী জোবস বৃহস্পতিবার সান ফ্রান্সিসকোতে সকলের সামনে প্রথমবার আইপ্যাড তুলে ধরে বলেছেন, “আইপ্যাডে হাজার হাজার বই নিয়ে ঘুরতে পারবেন। পারবেন অসংখ্য ছবি, ভিডিও গান ধরে রাখতে।
বাজি রাখছি, বিপ্লব ঘটাবে আইপ্যাড। ”
স্টিভ জোবস মানেই তো বিপ্লব। যেভাবে ডিজিটাল দুনিয়ায় একের পর এক প্রতিষ্ঠিত সংজ্ঞা ভেঙে চুরমার কারে দেয় জোবসের সৃষ্টি, সেই ধারা এবারেও অক্ষুণœ রয়েছে। বৃহস্পতিবার পরিচয় পাওয়ার পর থেকেই নিমিষে আইপ্যাডের উপর আগ্রহ-উন্মাদনার রাশি রাশি ঢেউ আছড়ে পড়েছে। আগের রেকর্ড অবলীলায় ভেঙেছে।
ডেল, সোনি, এইচপি, কিম্বা ব্ল্যাকবেরি, নোকিয়া, স্যামসুংয়ের দখলদারি খানখান হয়েছে মুহূর্তে।
কেমন এই আইপ্যাড? আধ ইঞ্চি, সাড়ে নয় ইঞ্চি লম্বা এবং সাড়ে সাত ইঞ্চি চওড়া একটি বিনোদন যন্ত্র। ওজন সাতশ গ্রামের কাছাকাছি। অনেকটা বড়সড় আইফোন বা ে টের মতো দেখতে। তথ্যভাণ্ডার বা মেমরি ১৬, ৩২ এবং ৬৪ জিবি।
দাম শুরু ৪৯৯ ডলার থেকে। যন্ত্রপ্রেমীদের ‘স্বপ্নের সওদাগর’ জোবসের ভাষায়, “কম্পিউটারে গেম খেলা, ইন্টারনেট সার্ফ করা, ই-মেল করা, ছবি-ভিডিও দেখার জন্য এর থেকে ভাল আধুনিক যন্ত্র আর নেই। থাকতে পারে না। ” অ্যাপলের ঘরানা অনুযায়ী, বাজারচলতি ল্যাপটপ, নেটটপ, পামটপ সবই অচ্ছুত। তাদের অস্তিত্বকে প্রায় অস্বীকার করে জোবস বলেন, “আপনার কোলে ল্যাপটপ বা নেটটপকে তেমন তাহামরি লাগার কিছু নেই।
ওগুলোর দামটাই যা কম। কিন্তু আইপ্যাড আপনার সঙ্গে থাকা মানে, আপনি অ্যাপলের সঙ্গে। ” অ্যাপল। কামড়-বসানো আপেলের লোগোটাই তো স্টেটাস সিম্বল।
কেন এই মাতামাতি আইপ্যাডকে নিয়ে? আইপ্যাড অ্যাপলের গবেষণাগার থেকে বেরিয়েছে বলেই আস্থা ও প্রত্যাশা, দু-ই আকাশছোঁয়া।
গ্যাজেট-মাতোয়ারা প্রজন্মের কাছে আইপ্যাড তাই আইকন। ফিলিপস কনজিউমার লাইস্টাইলের পূর্বাঞ্চলীয় কর্মকর্তা তুষার দাসের কথায় “অ্যাপল মানেই নতুন প্রজন্মের প্রযুক্তি, বিনোদনের জবরদস্ত মিশেল। আইপ্যাডের প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের সঙ্গে রয়েছে বিনোদনের যাবতীয় উপকরণ। শুধুই কাজের জিনিস নয়। থাকছে বইপড়া, ফিল্ম দেখাও।
কাজের প্রয়োজনে সবসময় ঘুরে বেড়ান যাঁরা, তাঁদের জন্য তো গ্যাজেটটি আদর্শ এবং চমকপ্রদ। ”
চমক দামেও। আগে আইফোনের দামের জন্য তা সর্বসাধারণের কাছে পৌঁছতে পারেনি। আইফোন নিয়েও বাজারে বিস্তর আগ্রহ তৈরি হয়েছিল। তবে অ্যাপলের বিক্রেতাদের মতে, দামের কারণে সেই আগ্রহ ব্যবসায় পরিণত কম হয়েছে।
সংস্থার ব্র্যান্ড স্টোর ‘ইম্যাজিন স্টোর’ থেকে মাসে ২৫ থেকে ৩০টি আইফোন বিক্রি হত। যদিও খোঁজ-খবর নিতে ফোন আসত দিনে পঞ্চাশটা। এ ক্ষেত্রে কিছুটা আশার আলো দেখছেন তাঁরা। ভারতে কত দাম হবে, তা নিয়ে এখনও ঠিক তথ্য না এলেও, আইপ্যাডের দাম ২৫ থেকে ৩০ হাজারের মধ্যে থাকবে বলে ব্যবসায়ীদের আশা। মার্চে আমেরিকার বাজারে আসছে আইপ্যাড।
আরো কিছুদিন পর আসবে এ অঞ্চলে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।