http://www.facebook.com/Kobitar.Khata
যখন দেশের আলোচিত খুনী মুনিরকে ফাঁসি দেওয়া হলো, যখন ঘৃন্য খুনি এরশাদ শিকদারকে ফাঁসি দেওয়া হলো তখনও ব্যাপারটা খেয়াল করেছি। ব্যাপারটা হলো মিডিয়াতে ফাঁসির খবরটি যেভাবে প্রচার করা হয় তাতে করে খুনিদের প্রতি মানুষের ঘৃণা প্রকাশ না হয়ে বরং একধরনের সহানুভূতি তৈরি হয়। ঠিক একই ঘটনা বন্ধবন্ধুর খুনিদের ক্ষেত্রেও হলো। একজন খুনী যখন ফাঁসি হয় তখন মিডিয়ার উচিৎ তাদের কে কেন, কোন অপরাধে ফাঁসি দেওয়া হলো তা মানুষকে জানানো। তাদের অপরাধটি মানুষের কাছে এমন ভাবে প্রচার করতে হবে যাতে মানুষ বুঝতে পারে তাদের অপরাধটি জঘন্য ছিল এবং সেই অপরাধের শাস্তি মৃত্যদন্ড।
অথচ আমাদের দেশের মিডিয়াগুলো অপরাধীর অপরাধের ঘটনা যতনা প্রচার করে তার থেকে বেশী প্রচার করে অপরাধীদের সাথে তার আত্মীয় স্বজন কারা দেখা করেছিল, ফাঁসির আগে আপরাধীদের কি ভাবে তওবা পড়ানো হয়েছিল, আসামীদের মন মানসিকতা কেমন ছিল, তারা কি হেসেছিল নাকি কেঁদেছিল, আসামীর পরিবার পরিজনের অনুভূতি কেমন ছিল ইত্যাদি ইত্যাদি। এই কারণগুলোর কারণে এরশাদ শিকদারের মতো খুনির জন্য মানুষের চোখে পানি আসে। এরশাদ শিকদারের প্রিয় কোন গান সুপারহিট হয়, সেই গান গেয়ে কিছু মানুষ পয়সার মালিক হয়। সেই খুনেদের অপরাধের কথা আর মানুষের মনে থাকে না। তাদের কাছে বরং খুনীরা হয়ে উঠে হিরো।
তারা ভাবে না জানি মরার সময় তার কেমন লেগেছিল, তার কি খুব কষ্ট হয়েছিল, তার কিছ বিশেষ কারো কথা মনে পড়েছিল, সে কি কেঁদেছিল ইত্যাদি।
মিডিয়া যে ব্যাপারটা বুঝে না তা না। মিডিয়া এই কাজগুলো খুব সচেতন ভাবে করে। কেন করে? কারণ একটাই, ব্যবসা। আমাদের দেশের মানুষগুলো খুব আবেগ প্রবণ।
সেই আবেগকে কাজে লাগিয়ে দু'পয়সা কামানোই থাকে তাদের টার্গেট। ধিক্কার জানাই মিডিয়ার এই মুনাফালোভী মানসিকতার।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।