ফাগুনকে আরো মনে পড়ে, মেঘ এলে ফাগুনে। সোনা সে তো খাঁটি সোনা হয়, পুড়ে গেলে আগুনে।
পাগল সমাচার
একদিন রাস্তা দিয়া হাটতেছিলাম। দেখি একটা পাগল একটা খাম্বার (বৈদ্যুতিক খুটি) মাথায় উইঠা বইসা আছে। খাম্বার নিচে অনেক মানুষ দাড়ায়া দাড়ায়া মজা লুটতাছে।
আমিও মজা লুটবার আশায় মানুষের ভিড়ে ঢুইকা পরলাম।
ভিড়ের মধ্যে বিভিন্ন বয়সের মানুষ ছিলো। কয়েকজন দেখলাম পাগলটারে নামানোর চেষ্টা করতেছে। কিন্তু পাগল নামেনা। একজন দেখি কয়, “ওই পাগলা নাম।
নাইলে কারেন্টে শর্ট খাইয়া কাবাব হইয়া যাবি। “ পাগলে হাসে, নামেনা। আরেকজন দেখলাম পাগলরে লোভ দেখায়। কয়, “ নাইমা আয়, তোরে ভাত খাওয়ামু। তুই যা চাবি তাই খাওয়ামু।
নাইমা আয়। “ পাগলের মধ্যে কোনো ভাবান্তর দেখা গেলনা। সে উদাস হইয়া কি যেন ভাবতে লাগলো। একজন মুরুব্বি দুইটা মাইয়া খাড়াইয়া আছে দেইখা কয়, “তোর লজ্জা নাই? নাম, নাইমা লুঙ্গিটা পইরা আবার ওঠ। “ পাগল নির্বিকার।
আরো কতজন যে কতভাবে নামানোর চেষ্টা করলো! কোনো লাভ হইলোনা। পাগলরে নামানো গেলোনা।
হঠাৎ দেখি পাশের পাড়ার আরেকটা পাগল এসে হাজির। সেও মজা দেখতেছে। এই দুইজন আবার দোস্ত লাগে।
আমি কইলাম, “মফিজ, তোর দোস্ত মরবোতো। ওরে নামা। “ মফিজ একসেকেন্ড কি যেনো ভাবলো। তারপর আগাইয়া গেলো। খাম্বার গোড়ায় দাড়ায়া একবার উপরে তাকাইয়া কইলো, “নূরু (পাগলের নাম) নাইমা আয়।
“ নূরু মাথা নাড়ে। নাম্বোনা। এইবার মফিজ পাগলা তার লুঙ্গির খুটা থেইকা একটা জং ধরা ব্লেড বাইর কইরা কয়, “নূরু নাম কইলাম, নাইলে আমি গাছ কাইটা ফালাইলামু কইলাম। “ এই বইলা সে তার জং ধরা ব্লেড দিয়া সিমেন্টের খাম্বা কাটতে শুরু করলো। আর আমরা অবাক হয়ে দেখলাম নূরু পাগলা “গাছ কাটিছনা।
মইরা যামুতো। “ কইয়া খাম্বা থেকে নাইমা গেলো।
সেইদিনই বুঝলাম, পাগলের চিকিৎসা শুধু পাগলেই করতে পারে।
কৌতুকটা কবে কার কাছে শুনছিলাম মনে নাই। তাই নিজের ভাষায় নিজের মনের মত করে চালায়া দিলাম।
ভুল ভ্রান্তির জন্য ক্ষমা চাই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।