আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামাত, জাসদ, জাতীয় পার্টির মধ্যে ক্ষমতার দ্বদ্বের জন্য নানারূপ কৃত্রিম মতান্তর থাকলেও, রাষ্ট্রীয় সম্পদ কুক্ষিগত করার জন্য তাদের রয়েছে শ্রেণী ও চরিত্রগত ঐক্য । আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল হাসান পুরান ঢাকায় একটি ও মীরপুরে আরেকটি বাড়ী থাকা সত্বেও আইনের মানুষ হয়ে একটি সরকারী প্লট পাওয়ার জন্য হলফ করে বলেছেন যে ঢাকায় তিনি ভূমিহীন। এ ধরণের ভূমিহীন আরো আছেন যাদের গুলশানে ৫ তলা বাড়ী রয়েছে, রয়েছে কোটী কোটী টাকার ধন-সম্পদ। এক্ষেত্রে নারী সাংসদরাও পিছিয়ে নেই। প্রথম আলোর লিড নিউজে দেখলাম কমকরে হলেও ১৮জন সাংসদ মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে ঢাকায় বাড়ী থাকা সত্বেও মিথ্যা হলফ নাম দিয়ে বরাদ্ধ পেয়েছেন সরকারী প্লটের।
দুঃখ লেগেছে এসব সাংসদের তালিকায় বর্ষীয়ান সাংসদ ও প্রতিমন্ত্রী রহমত আলীর নাম দেখেও। তিনি শংকরের ৩৩৮ জাফরাবাদে দুটি বাড়ীর মালিক। তিনি বলেছেন প্লটের জন্য কাগজপত্রে চোখবুজে সই করেছেন, কিছু দেখেন নি। তাই ভয় হয় গত একবছরে তিনি না দেখে না বুঝে সরকারী ফাইলেও না জানি কতবার এ কর্ম করে দেশের স্বার্থ বিসর্জন দিয়েছেন। এখন তাকে যদি কেউ রহমত আলীর পরিবর্তে তস্কর আলী বলে, তাহলে কি অন্যায় হবে?
আমি আমার ক্ষুদ্র ক্ষমতা নিয়ে এসব বেআইনী কাজের জন্য ক্ষুব্ধ প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।