আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রমণী জগতে

আমি একজন পর্যটন কর্মী। বেড়াতে, বেড়ানোর উৎসাহ দিতে এবং বেড়ানোর আয়োজন করতে ভালোবাসি। কিস্তি ৪৩: ক্যাম্পাসে নারী জগতে আমার সমধিক খ্যাতি ছিল। ইহা অস্বীকার করিবার মত ইচ্ছে আমার নেই। তবে ইহাও সঠিক যে আমি কাহারো কোনো অনিষ্ট করি নাই, করিবার ইচ্ছেও করিনি।

এতেই হয়তবা এখনো আমার পুরনো নারী বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ রাখার সুযোগ থাকছে। আছেও বটে। ইহা শুনিয়া অনেকে আশ্বস্ত হইবেন। আশা করি। আমার বন্ধূ আসমাউল হুসনা লাকীর মতে ‌আমার মত ‌'বেক্কল' কে কেন নারীরা পছন্দ করতেন , তাহার কোনো কারণ অনুসন্ধান করিয়া আবিষ্কার করিতে পারি নাই।

কাহারো জানা থাকিলে জানাইবেন। নিজের কীর্তি নিয়া আমি মহা বিরক্ত। ক্যাম্পাসে আমার সবচেয়ে কাছের বন্ধু কে? এর উত্তরে অনেকের নাম বলতে হবে। তবে রিফাত, ফজিলাতুননেসা মুজিব হলে থাকতো। আমি ও শামীম (বর্তমানে রেডিও টুডেতে আছে) দুজনেই প্রায় আড্ডা দিতে তার হলে হাজির হইতাম।

রিফাতও এসএম হল, সাংবাদিক সমিতি এবং বঙ্গবন্ধু হলে আসিত। আমাদের মধ্যকার সম্পর্ক খুবই ভালো ছিল। ক্লাশে আমার বেশ কয়েকজন বন্ধু ছিল। এর মধ্যে তাপসী রাবেয়া, যাকে আমি অতসী বলে ডাকতাম। সানজিদা, যাকে আমি ডাকসু কাফেতে সেকেন্ড ইয়ারের সময় বলেছিলাম , আমাকে যেহেতু তোর এত পছণ্দ তাইলে চল কাঁটাবন কাজি অফিসে গিয়া বিয়া কইরা ফালাই।

ও তো পুরাই বেক্কল হইয়া আমার দিকে তাকাইয়া থাকিল, বুঝিতে পারিল না- বেকুব কে? আমি না ও। আমার ক্লাশের মাহফুজা খানম রিফাত, শিউলীর সাথেও আমার ভালো সম্পর্ক ছিল। আশার কথা ভোলা যাবে না। তবে ও আমাদের যে মেয়ে ক্লাশমেটের সাথে ঘুরতো, তাকে আমার পছন্দ ছিল না। পরে অবশ্য পারভেজের সাথে ওর সম্পর্ক হওয়ায়া অন্য সবার চেয়ে আমি একটু বেশি খুশি হয়েছিলাম, ও অন্তত নটি গার্লের পাল্লা থেকে রক্ষা পেলো।

আমার ক্লাশের অন্য বন্ধুদের মধ্যে পিপি, সাথী, হ্যাপি আরো অনেকের সাথে আমার ভালো সম্পর্ক ছিল। কিন্তু আমাদের শিক্ষাজীবনে বিশেষ কোনো আনন্দ আয়োজন না থাকায় আমরা আরো ঘনিষ্ঠভাবে মিশিবার সুযোগ পাই নাই। তার ওপর আমার মত একজন সম্বাদিকের সাথে আড্ডা মারিবার জন্য যে সময় দেয়া প্রয়োজন, সেটি আমি দিতে পারি নাই বলিয়াও নানান সমস্যা ছিল। কয়েকজন রাজনৈতিক কর্মী আমাকে বেশ পছন্দ করিতেন বলিয়া জানি, কিন্তু তাহারা পদ ও পদবির জন্য তাহাদের দলের নেতাদের মনোরজ্ঞন করিয়াছেন, জানিবার পর তাহাদের সাথে আমি আর সহজ হইতে পারি নাই। শামসুন্নাহার হলের এক নেত্রী আমার প্রায় প্রেমেই পড়ে গেছিলেন।

শেষ পর্যন্ত আল্লাহ রক্ষা আমি বেঁচে গেছি। উনি এখন বিসিএস কর্মকর্তা। বড়ই ভাগ্যবান। আমি নগরের কেরানী। তবে খারাপ না ভালো আছি।

আমার একজন সিনিয়র বন্ধুর না কথা না বললে এটি অপূর্ণ থেকে যাবে, সে হলো বনানী। বনানী মল্লিক। খুবই হাসিখুশী । তবে আমার রুমমেট মাসুদ ভাই বলতেন মাথায় হাল্কা ডিস্টার্ব। বনানী এই লেখা পড়লে আমার মাথা ফাটাবে।

মাসুদ ভাই আরো জানিয়েছেন সাংবাদিক সমিতির সদস্য সাবু ভাই তাকে পছন্দ করতেন, তবে শেষ পর্যন্ত ব্যাটে বলে হয়নি। যাক গে সে কথা। বনানী মানবজমিনে জয়েন করার পর গোপাল দা-র চেশ্বারে সাবু ভাই আমাকে তার সাথে পরিচয় করিয়ে দেন। ওর সাথে আমার ক্যাম্পাসের অনেক আড্ডা, দুষ্টুমি, শেয়ারিং। ভালোই ছিল।

২০০২ সালের দিকে আমার ছোটবোন অসুস্থ হয়ে ঢাকার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি হলে ও দেখতে গেছিল। আমার মায়ের ধারণা ছিল আমি ওকে পছন্দ করি। মা খুব খুশী মনে তার খবর নিয়েছিলেন। পরে অবশ্য মা বুঝতে পারেন উচি যেটা অনুমান করেছেন সেটি ভুল ছিল। নারী বিষয়ক ক্যাম্পাসে যে সব বিশেষজ্ঞের কাছে আমি হার মানি তাদের মধ্যে আমার গুরু আজাদ বস, মাসুদ ভাই ও সাইমুম ভাই।

এসএম হল ও বঙ্গবন্ধু হলের আমাদের বহুত জোছনা ভরা রাত কেটেছে এ সব আড্ডায়। ফোনে অনেকের সাথে পরিচয় কথা বার্তা হতো, সে সব নিয়ে নিজেদের আড্ডাও জমত বেশ। একাই নারীর সাথে আজাদ বস, সাইমুম ভাই ফোনে আলাপ করতেন, ভিন্ন ভিন্ন ভাবে আমি তাদের কাছ থেকে তা জেনেছি। নম্বর মিলিয়ে দেখেছ ঘটনা সত্য। আজাদ বস. সাইমুম ভাই , মাসুদ চৌধুরী এদের নিয়ে একটা আলাদা পর্ব না লিখলে অবিচার করা হবে।

তাই সামনের কোনো এক পর্বে এ নিয়ে বিস্তারিত লিখবো। যারা আমার নারী বিষয়ক গল্প শুনতে চেয়েছিলেন, তাদের জন্য এই পর্বখানা উৎসসর্গ করিলাম, বিশেষ করে তানভী। যে মনে করে আমি রয়ে সয়ে সব বলছি, তার জন্য। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।