এইখানে শায়িত আছেন বাংলা ব্লগ ইতিহাসের কলঙ্ক...
নেক্সট টাইম আশরাফুলের মুখের কাছে একটা মাইক্রোফোন চাই, আউট হওয়ার পর ব্যাটটাকে মাটির সাথে আছাড় মেরে কি বলে সেটা জানার ইচ্ছে আমার বহুদিনের!
বাই দ্যা ওয়ে, দোষ একা আশরাফুলের না, পুরো টিমের। বরং ৫৯/৫ তো তাও ভালো, আশরাফুল ঐ কয়টা রানও না করলে আরো খারাপ অবস্থা হতে পারতো বাংলাদেশের। আশরাফুল সংক্রান্ত জিজ্ঞাসাটা এই ম্যাচ দ্বারা প্রভাবিত নয়। এটা বহুদিনের ইচ্ছে আমার।
তবে আজকে তার পাফরমেন্সের ব্যাপারে কিছু যদি বলতেই হয় তবে বলবো - "আশরাফুলের শেষ শটটা দেখে আমার টাইগার উডসের কথা মনে পড়ে গিয়েছিলো।
"
আপডেট:
(২৪ জানুয়ারী, সকাল ১১.০২): ৬৬/৫, ক্রিজে মুশফিক আর সাকিব। মুশফিকের খেলায় গত ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ থেকেই মুগ্ধ। ছেলেটা প্রয়োজনের সময়ে ভালো খেলে, কোন রাশ নাই, শট সিলেকশন ভালো, প্রয়োজনে রিস্কও নিতে পারে। দেখা যাক আজ কি করে। সাকিবের উপর মেজাজ বিলা হয়ে আছে গত ক' ম্যাচ ধরে।
তার খেলা দেখলে মনে হয় আজকে টেস্ট ম্যাচ না, আইপিএল চলতেসে। সিক্সথ গিয়ার ছাড়া আর কিছু যেন সে বোঝেই না। এভাবে চলতে থাকলে তারও আরেক আশরাফুলে পরিণত হতে বেশি টাইম লাগবে না। শট খেলা কমাতে হবে। আশা খুব কম আজ, লোয়ার অর্ডার ফায়ার না করলে আজকে বাংলাদেশের ২০০ও হবে না।
যাই এখন, চুল কাটায় আসি.....২ দিন ধরে গোছল করি না।
(২৪ জানুয়ারী, বেলা ১২.৩৫): লাঞ্চের পরে মুশফিক আর সাকিবের শুরুটা খুব পজিটিভ ছিলো। মুশফিক বেচারার লাকটা খারাপই বলতে হবে। বলটা হঠাৎ লো হওয়ায় এলবিডব্লিউ হয়ে গেলো। আরো এক জনের লাক আজ সকালে খারাপ ছিলো - ইমরুল কায়েস, আম্পায়ারের ভুল ডিসিশনে কট বিহাইন্ড হয়েছে।
এই নিয়ে ৬ উইকেট চলে গেলো। আরেকটা গেলে সাকিব বা মাহমুদুল্লাহ যেই থাকুক ক্রিজে রিস্ক নিতে হবেই, রান বাড়াতে হবে। ২০০ তো মিনিমাম করতেই হবে।
(২৪ জানুয়ারী, দুপুর ৩.৫১): এই মাত্র বাংলাদেশ ২৩৩ এ অলআউট হয়ে গেলো। এ ধরনের স্কোরের জন্য আমাদের একটা শব্দ আছে - 'সম্মানজনক স্কোর'।
২৩৩ এর এর ভেতরে আমি অবশ্য কোন সম্মান খুঁজে পাইনা। সর্বশেষ আউট হলো রুবেল আর উইকেটের অপরপ্রান্তে ৯৬তে অপরাজিত থেকে গেলো মাহমুদুল্লাহ্। অপরাজিত বলছি বটে, কিন্তু আসলে তো পরাজিতই। ৪ রানের জন্য সেঞ্চুরী মিস, তাও সতীর্থ খেলোয়াড় আউট হয়ে যাওয়ায় - দূভার্গ্যই বলতে হবে। লাঞ্চের পর সাকিবও বেশিক্ষণ টিকতে 'পারেনি'।
তবে 'পারেনি' না বলে টিকতে 'চায়নি' বললে বোধোহয় বেশি উপযুক্ত হতো। কি শট খেললো ও এটা? বলটা ছাড়লে তো মনে হয় টেস্টের হিসেবেও ওয়াইড হতো। মুশফিক বাদে মাহমুদুল্লাহ্ আরেকজন যার খেলায় আমি মুগ্ধ। টেইলএন্ডারদের সাথে ও দারুণ ব্যাট করেছে। গত ম্যাচে মুশফিকও ঠিক এটাই করেছিলো দ্বিতীয় ইনিংসে।
মুশফিক আর মাহমুদুল্লাহর ইনিংস দু'টোয় পার্থক্য শুধু ঐ সেঞ্চুরীটার। গত ম্যাচে ধারাভাষ্য দেবার সময় রবি শাস্ত্রী বারবার বলেছিলেন একটা কথা, আর আজ বললেন সুনীল গাভাস্কার। তাদের মতে বাংলাদেশ দলে কর্তাব্যাক্তিদের সিরিয়াসলি ভেবে দেখা উচিৎ মুশফিক আর মাহমুদুল্লাহকে ওপরের দিকে ব্যাট করানোর বিষয়টি। কারন নাম্বার ৭ আর ৮ এ ব্যাট করিয়ে এদেরকে দিয়ে সম্মান বাঁচানোর কাজ হয়তো চলছে। কিন্তু শুভ সূচনার জন্য আরো বেশি দরকার এ ধরনের ব্যাটিং করার।
আমার মতে মুশফিকের অন্ততঃ ওয়ান ডাউনে ব্যাট করার যোগ্যতা আছে। যাই হোক, এখন ইন্ডিয়া নামবে ব্যাটিংয়ে। দেখি আমাদের ব্যাটসম্যানদের 'সম্মানজনক স্কোর' ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের কাছে আদৌ ভাত পায় কিনা। সবই নির্ভর করছে বোলারদের ওপর।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।