"নেক্সট ভাপা পিঠা ও রোবটিনি"
৩০২৭ সাল। ল্যান্ডির বয়স সবে ১০৩ বছর। হাইটেক ল্যান্ডি সদ্য হাইবারনেট থেকে ওঠা কম বয়সি রোবটিনি।
সাম্প্রতিক কপোট্রন আপগ্রেডের ফলে এখানকার বেশ কয়েকটি রোবটিনি সকাল-সন্ধ্যা এবং শীত-গ্রীষ্মের পার্থক্য খুব ভালো ভাবেই বুঝতে শিখেছে। গত কয়েকশো বছর ধরে এখানে শীত কাল চলছে।
তাদের মহাজাগতিক নিয়ম অনুযায়ী এই শীতকালে কুয়াশা পায়ে লাগিয়ে সকল রোবটিনিকে ভোরের নিয়ন আলোয় ভাপা পিঠা খেতে হবে। এটা অবশ্য তাদের এক ধরনের পরীক্ষার মধ্যে পরে। যদি তারা এই পরীক্ষায় সফলতা দেখাতে পারে তাহলে তাদের কপোট্রন আরও এক ধাপ আপগ্রেড করে কিছু মানবিক গুনাবলি পার্মানেন্ট করে দেয়া হবে।
আজ ভোরে নিয়নের আলোর সাথে সামান্য ফ্র্যান্সিয়াম যুক্ত হাইপারডেডেডিয়াম পেন্টাপ্লোনিয়াম বাষ্প ছাড়া হয়েছে। কিছুক্ষন আগ থেকেই স্কিনের রেড সিগন্যাল জানিয়ে দিচ্ছে XRT-99 রুটে আজ বিশেষ ভাবে মডিফাই করা ভাপা পিঠা তৈরি হবে।
ল্যান্ডি আর দেরি না করে তার S4OT-2 মহাজাগতিক প্রক্সিমান নিয়ে বেড়িয়ে পরল ভাপা পিঠা খাবার উদ্দেশ্যে। মাঝ পথে সে গ্রীন ফিল্ডে নামবে কুয়াশা পায়ে লাগাবার জন্য। কুয়াশা যেন ভালো ভাবে পায়ে লাগে তাই সে MZR-3 প্রযুক্তিতে তৈরি বিশেষ সেন্সর পরে নিয়েছে। এই সেন্সরের কাজ পায়ের সংস্পর্শে আসা যেকোনো কিছুর অনুভূতি সরাসরি মেইন প্রসেসিং ইউনিটে পাঠিয়ে দেয়া। এছাড়া নির্দিষ্ট পরিমান অনুভূতি বিশেষ অংশে সংরক্ষন করা।
যার ফলে গ্রীষ্মকালেও শীতের এই দিনের সমান পরিমান অনুভূতি রিকভারি করা যাবে।
নির্ধারিত সময়ে পৌঁছে ল্যান্ডি তার অনুমোদিত কোড দেখিয়ে ভাপা পিঠা নেয়। তার মতো আরও অনেক রোবটিনি এখানে খেতে এসেছে। অনেক রোবটিনি ভাপা পিঠা চিনতে না পারায় কিছুটা সমস্যায় পরলেও ল্যান্ডি আগে থেকেই ভাপা পিঠা সম্পর্কে ২০০০ বছর পুরনো ডাটা দেখে নিয়েছে।
ল্যান্ডি ভাপা পিঠা খাওয়া শেষে দাঁড়াল।
ইতি মধ্যে ভোরের নিয়ন আলো অনেকটা কেটে এসেছে। এখন সে নির্ধারিত কমান্ড অনুযায়ী তার পরবর্তী কাজ গুলো করবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।