আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যেখানে টিএসসি প্রাণহীন

সত্যের চেয়ে অপ্রিয় আর কিছু নেই

অবসরে বিনোদনে গুরুত্ব থাকলে দেশের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই টিএসসি। ফলে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড মুখ থুবড়ে পড়েছে। কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে টিএসসি থাকলেও তা প্রাণহীন। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির বর্তমান অবস্থা : জাবি: নামেই ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্র জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক চর্চার প্রাণ কেন্দ্র ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) প্রায় অচল। নানা অব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হচ্ছে এ টিএসসি।

ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্র নামে পরিচালিত হলেও তেমন কোন কার্যক্রম টিএসসিকে ঘিরে পরিচালিত হচ্ছে না। দেশের সাংস্কৃতিক চর্চায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। যে সংগঠনগুলো মুক্ত সংস্কৃতিকে ছড়িয়ে দিচ্ছে সবার মাঝে সেগুলোর মধ্যে অনেক সংগঠনই স্থান পায়নি টিএসসিতে। নেই পর্যাপ্ত কোন কক্ষ, নেই কোন সুব্যবস্থাপনা। বিশ্ববিদ্যালয়ে সব মিলিয়ে ৫০টির মত সাংস্কৃতিক সংগঠন থাকলেও হাতে গোনা দুই একটি সংগঠন ছাড়া অধিকাংশ সংগঠনই স্থান পায়নি টিএসসিতে।

ফলে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতি চর্চা। টিএসসিকে ঘিরে যে সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো চালু রয়েছে তা হল জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটার, আবৃত্তি সংগঠন ধ্বনি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং অর্গানাইজেশন, আনন্দন, জলসিড়ি, জাহাঙ্গীরনগর স্টুডেন্টস ফিল্ম সোসাইটি প্রভৃতি। এর মধ্যে মাত্র ৪টি সংগঠনের নিজস্ব কক্ষ পেয়েছে টিএসসিতে। অধিকাংশ সংগঠনই কক্ষ বরাদ্দ না পাওয়ায় খোলা আকাশের নিচে পরিচালিত করছে তাদের সাংস্কৃতিক কার্যক্রম। খুবি: টিএসসি কাজ চলছে শহীদ মিনারে হাঁটিহাঁটি পা পা করে আজ প্রায় ১৯টি বছর অতিক্রম করছে খুবি।

কিন্তু নির্মিত হয়নি ছাত্র-শিক্ষক মিলনকেন্দ্র(টিএসসি)। অবসর সময় কাটান ও সাংস্কৃতিক বিনোদনের জন্য জরুরি টিএসসি। টিএসসি না থাকায় বাধ্য হয়ে ছাত্রদের ক্যাম্পাসের বাইরে আড্ডা দিতে হয়। টিএসসির অবর্তমানে সকল প্রকার সাংস্কৃতিক ও বিনোদনমূলক কর্মকান্ড করতে হয় শহীদ মিনারে। এছাড়া কিছু কিছু প্রোগ্রাম অডিটোরিয়ামেও হয়ে থাকে।

শহীদ মিনারে প্রোগ্রাম পরিচালনার জন্য আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি না থাকায় সবর্দা ছাত্রদের বিপাকে পড়তে হয়। ছাত্ররা বারবার টিএসসি প্রতিষ্ঠার দাবী করে আসছে। কিন্তু শিক্ষকরা প্রতিষ্ঠার আশ্বাস দিলেও আজ পর্যন্ত তা প্রতিষ্ঠিত হয়নি। বাকৃবি: প্রাণহীন টিএসসি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) টিএসসি’র চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। সাংস্কৃতিক সংগঠন থাকলেও তার কার্যক্রম চোখে পড়ার মত নয়।

খেলাধুলা ও বিনোদনের পর্যাপ্ত উপকরণ নেই এখানে। খেলাধুলার জন্য একটি কমন রুম থাকলেও তা বিকাল চারটায় বন্ধ হয়ে যায়। ভাল খাবারের দোকান নেই এ কেন্দ্রটিতে। নামমাত্র একটি ক্যান্টিন থাকলেও রুচিসম্মত খাবার পাওয়া যায় না। এসব নানা কারণেই হয়ত বাকৃবি’র টিএসসিকে প্রাণহীন একটি ভবন মনে করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বা শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থী লিয়া সুলতানা জানান, আমরা টিএসসি’তে গেলে অনেক ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হই। যেমন এ কেন্দ্রটিতে মেয়েদের জন্য আলাদা কোন টয়লেটের ব্যবস্থা নেই, বসারও পর্যাপ্ত জায়গার অভাব রয়েছে। তাছাড়া এখানে একটি সাইবার ক্যাফে থাকলে এ স্থানটি সবসময় জমজমাট থাকতো। চবি: টিএসসি কবে হবে কেউ জানে না চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে টিএসসি কবে হবে তা জানে না শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘদিন থেকে শিক্ষার্থীরা দাবি জানালেও তা পূরণ হয়নি।

ফলে অবসরে বিনোদনের জন্য শহীদ মিনারকেই বেছে নিতে হয়। রাবি: টিএসসি এখন কাগজে-কলমে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি কাগজে-কলমে আছে। ২০০২ সালে টিএসসি ভবনের কাজ শুরু হলে ভবনের ফাটল সৃষ্টির কারণ উল্লেখ করে একতলা ভবন নির্মাণের পর কাজ বন্ধ রয়েছে। ভবনে টিএসটির অফিস কার্যক্রম চললেও কোন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড নেই। সুত্র: ইত্তেফাক


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.