furamoon@gmail.com
প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোশকতার অভাবে ঢাকার রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছেন তিনি। যশোরের কৃতি সন্তান বিজ্ঞানী মোস্তফা আলীর আবিষ্কারের সংখ্যা অনেক। তবে গত ৩ ডিসেম্বর ২০০৯ ঢাকা থেকে প্রকাশিত ' জন বিজ্ঞান ' শীর্ষক পত্রিকার সূত্র মতে তাঁর উল্লেখ যোগ্য কয়েকটা আবিষ্কার হলো-
১. ম্যাগনেট চালিত ইঞ্জিন। এ ইঞ্জিনের বৈশিষ্ট্য হলো - ১২ ভোল্টের ব্যাটারি দিয়ে একবার ইঞ্জিন চালু করা হলে আর বিদ্যুৎ বা ফুয়েল লাগে না। ১ ইউনিট বিদ্যুৎ থেকে ১০০০ ইউনিট পর্ঙন্ত বিদ্যুৎ তৈরি করা সম্ভব।
২. দাঁতের ক্ষয়, ক্যান্সার, ডায়েবেটিস, আলসার নিরাময়ের ভেষজ ওষুধ।
৩. গরু রোগমুক্ত রাখা ও দ্রুত বৃদ্ধির ভেষজ ওষুধ।
৪. ইরি ধান ক্ষেতে পাটের ফলন। বছরে ৮ফসল ফলানো সম্ভব।
মোস্তফা আলীর আবিষ্কারের সীকৃতিও আছে অনেক।
মাত্র ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত লেখা পড়া জানা মোস্তফা আলী সরকারী অর্থে সায়েন্স ল্যাবরেটরীতে গবেষণারও সুযোগ পেয়েছেন শুধু নিজের প্রতিভার কারণে। সেখানে গবেষণায় তাঁর দুটি ভেষজ ওষুধ বিজ্ঞান সম্মত প্রমাণিত হয়েছে। যার ফলে ওষুধ দুটি পেটেন্টও করতে পেরেছেন নিজের নামে। কিন্ত উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানের অভাবে ব্যাপকভাবে তৈরি ও বাজারজাত করতে পারছেন না। হামদর্দ , রহিমাআফরোজ, বসুন্ধরা গ্রুপসহ অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠানের কর্তা ব্যক্তিগণ তাঁর আবিষ্কার দেখে চমৎকৃত হয়ে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন বিভিন্ন সময়।
কিন্ত শেষ পর্যন্ত কেউ আর সহায়তা করেনি। সহায় সম্বলহীন মোস্তফা আলী বর্তামানে আশ্বাসপ্রদানকারী বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। কখনো খেয়ে আবার কখনো না খেয়ে। ঘুরছেন পায়ে হেঁটে। আমার সাথ যেদিন প্রথম দেখা হলো সেদিন তিনি টঙ্গী থেকে না খেয়ে হেঁটে এসেছেন মতিঝিল।
ক্ষুধা আর ক্লান্তিতে তখন কাঁপছে তাঁর পঞ্চাশোর্ধ দেহ। আমি প্রশ্ন করেছিলাম, এভাবে তো আপনি মারা যাবেন। তার চেয়ে বাড়ি চলে যান। সেখানে গিয়ে ছেলে মেয়েদের নিয়ে বেঁচে থাকার চেষ্টা করেন। কান্না জরিত কণ্ঠে বল্লেন, আমার স্ত্রী,এক ছেলে ও এক মেয়ে আছে।
কিন্তু কোন অর্থ সম্পদ তো নাই । বাড়িতে গিয়ে কি করব? ছোট বেলা থেকেই আবিষ্কারের নেশায় ঘুরেছি। অন্য কিছুতো করি নাই। এখন ঘুরছি যাতে আমার আবিষ্কার মানুষের কাজে লাগে আর আমিও বাঁচতে পারি। কিন্তু কেউতো এগিয়ে আসছে না।
আমি ক্ষুদ্র মানুষ। আমার পক্ষে বিজ্ঞানী মোস্তফা আলীর জন্য বেশি কিছু করা সম্ভব নয়। তাই আমি তাঁকে ১শ' টাকা দিয়ে বল্লাম, আগে গিয়ে হোটেলে ভাত খান। তার পর বিশ্রাম নিয়ে আসেন আপনার সব কথা শুনব।
আমি আমার সামর্থ অনুযায়ী সহায়তা করলাম।
কিন্তু এতে তাঁর খুব একটা উপকার হয়েছে বলে দাবী করা বোকামী হবে। তবে সত্যিকার অর্থে বিজ্ঞানী মোস্তফা আলীর জন্য কেউ কিছু করতে চাইলে যোগাযোগ করতে পারেন। আপনার সহায়তায় হয়তো বেঁচে যেতে মোস্তফা আলী এবং তাঁর পরিবার। হয়তো আপনার সহায়তায় তাঁর আবিষ্কৃত ক্যান্সার ও ডায়াবেটিকসের ওষুধ বাঁচিয়ে দিতে পারে হাজারো অসুস্থ অসহায় মানুষকে।
বিজ্ঞানী মোস্তফা আলী
০১৭১৬২৫২৩০৬
স্থায়ী ঠিকানা:
রেল গেট তেতুল তলা ৩নং পানির ট্যাংক এর সামনে
ডাক ঘর- চাষড়া, থানা: কোতোয়ালী
জেলা: যশোর
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।