চাঁদের দিকে হাত বাড়ালে তার আলো কিছুটা লেগে যায় চিত্তে
সেদিন বিকালে যখন তোর সাথে দেখা
সেই বহু দিন পর... .... ...
খুব একটা বদলে যাসনি তুই
কিছুটা ফ্যাকাশে লাগছিলো যদিও
হয়তো অনেক দিন পর দেখা বলে..
অনেক ঝড়ও যে বয়ে গেছে তোর জীবনে ।
যখন অপলক তাকাচ্ছিলি আমার দিকে
আমি দেখিছি দু’চোখের পাপড়ি ভেদে
ঠিকরে বেরুচ্ছিলো তোর অপূর্ন আকাঙ্খাগুলো।
তোর তৃষ্ণার্ত ঠোটজোড়া থর থর করে কাঁপছিল
বুকটাও উষর জমিনের মতো শ্বাস নিচ্ছিলো টেনে
হাতটা বাড়িয়ে হয়তো ছুঁয়ে দেখতে চেয়েছিলি আমাকে,
কিন্তু পাসনি,
কিছুটা তুলে আবার গুটিয়ে নিলি হাতটা।
তোকে দেখে আমিও পুড়ে যাওয়া মনের ভস্মে
কিছুটা শীতলতা পেলাম।
আকাঙ্খার ছাইতো কবেই ভাসিয়েছি গঙ্গায় !
তবুও আধপোড়া কাঠের ধোয়ার মতো আচ্ছন্ন
করে ফেললাম তোকে।
অনেক কথা বলার ছিল -
গুরুত্বের বিচারে কোনটা আগে বলব, কোনটা পরে ,
শেষে বলে ফেললাম ‘দুপুরে কী খেয়েছিস?’
তোর তো মন খারাপ হলে খাবারকে নিস্তার।
সত্যিটা তোকে বলতে হল-
‘সকালে নাস্তাও নেয়া হয়নি’
আজকাল নাকি এটাই রুটিন!
তুই কেন ভাল ছিলি না?
তোর তো এমন হওয়ার কথা না।
“আগে কিছু খাবি, পরে কথা”- বলতে
তোর চোখ দুটো জ্বলজ্বল করে উঠলো
মুখটা ঘুরিয়ে কষ্ট লুকানোর চেষ্টা করলি না,
চশমাটা ঢাকতে পারেনি তোর সে বেদনাশ্র“
খেতে খেতে বললি ,
‘একটু আশ্রয় দিবি, তোর কাছে এলে? ’
আশ্রয়? আমি!
আবারও বললি,‘এলে ঘরের দরজাটা খুলবি তো?’
কোথায় পাব আমি দরজা?
আমার যে নিজেরি কোন ঘর নেই!
কিন্তু তুই , তুই আশ্রয় খুজবি কেন?
জানি, বিত্ত- বৈভবে তোর কোন আগ্রহ নেই,
হবেও না কোনদিন
তোর সাথে যে বিত্ত সাংঘর্ষিক,
তাই তোকে এতো ভালবেসেছিলাম।
কিন্তু পরাশ্রয়! আমার মতো।
‘তুই পর?’
মন খারাপ করেছিস?
করিস না , কিবা আপন, বল।
যে আপনের কোন নাম-ই নাই!
তুই তো নিজেই একটা বৈভব ছিলি , আছিসও
যা অমূল্য আজও আমার কাছে, সবারও-
বললি , তোর প্রিয় জনেরা তোর কাছে বিত্ত খোঁজে
যা তুই দিতে পারিস না।
কিন্তু ব্যর্থতাও তোকে কষ্ট দেয় অনেক,
প্রিয়জনের ঘৃণা তোকে সংকোচিত করে,
কিন্তু সেই বিত্ত তোর মনটাকে হত্যা করবে বলে-
তুই এসেছিস আমার কাছে
এক বিত্তহীনের কাছে
জীবনের খোঁজে।
জীবন !
আমার কাছে? আমিতো সেই কবেই মরে গেছি....
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।