এখানে নীল জল টলমল করে,এখানে নীলের ছায়া পড়ে
গেট 18 এ নেমে যেই না সামনে এগুচ্ছি ,চোখের সামনে বসে আছে সারি বাধা স্ললট মেিিশন। একটু ধাককা খেলাম মনে হয়। কোনো এয়ার পোর্টের লবিতে স্ললট মেশিন এই প্রথম দেখলাম। একটু সামলে উঠার পরে মনে হলো,না ঠিক ই আছে। এটাই এই শহরের পরিচয়।
রাজস্ব আয়ের 43 ভাগ আসে জুয়া থেকে। আর এই আয়ের অধিকাংশ ই ব্যায় হয় শিক্ষাখাতে। সেই লবি ধরে হেটে হেটে বের হয়ে যাই এয়ারপোর্ট। এবার ক্যাব খুজার পালা। শ 'য়ে শ'য়ে ক্যাব একটা পিছনে আরেকটা,পুরো রাস্তা ক্যাবে ক্যাবাকার।
একটা খালি ক্যাব জিগ্যাস করলাম যাবে কি না। না সে এখান থেকে কোন যাত্রি তুলতে পারবে না। এখানে শুধু যাত্রি নামানোর জন্য। উঠতে হলে যেতে হবে নীচ তলায়। কিন্তু আমার মনে হলো আমি নীচ তলায় ই আছি।
তাও চেসটা করে খুজে খুজে গেলাম নীচ তলায়। কিন্তু কি মনে করে ফিরে এলাম আবার। আমার হাতে সারা দিন সময় আছে। আমি এক দিন আগে ই পৌছে গিয়েছি। তাই মনে হলো একটু ঘটনা দেখি।
বিভিন্ন বয়েসী লোক, দলে দলে। আমি ই দল ছাড়া। ঘুরে ঘুরে মনে হলো খুধা পেয়েছে,এবার যাওয়া উচিৎযেখানে এসে দাড়ালাম সে খান থেকে সাটল বাস চলে। 5 ডলার এক ট্রিপ। টিকেট কাটতে ই ওরা হাতে ধরিয়ে দিল কয়ন এর মতো চাকতি।
এগুলো দিয়ে জুয়া খেলে।
সাটল বাস চলছে। যত দূর চোখযায় সব পাহাড়। সেই উচু পাহাড়ের সামনে বাড়ী ঘর গুলো কে মনে হলো পিপিলিকা। এই এলাকায় সর্বোচ্চ শৃঙ 11 হাজার ফুট।
তার পর 8 হাজার 9 শত ফুট। খুব অল্প সময়ের মাঝে ই পৌছে গেলাম আরেক ন গরীতে। আমার কাছে এমটা ই মনে হলো। রাস্তার দুই পাশে সে কি উচু উচু সব দালান দাড়িয়ে আছে। সব আবাসিক হোটেল।
খুব কম সময়ে ই পৌছে গেলাম হোটেল এ যেখানে আমি থাকবো। চেক ইন এর সব কাজ সেরে 23 তালায় উঠে নিজের রুমে। এবার জানলা খুলে যা দেখলাম, চার দিকে পাহাড় ঘেরা এক ন গরী। খুব অবাক হলাম ,কিভাবে গড়ে উঠলো এই ন গর। সব পাথুরে পাহাড়।
কোথাও কোন সবুজ নেই। রুক্ষ শুস্ক সব। শহরের ভিতর যে গাছ গুলো চোখে পড়ে তার সব ই পাম আর খেজুর সাথে কেকটাস। কেমন একটা আগ্রহ অনুভব করলাম সেই পাহাড় ছুয়ে দেখার। না এতো ভাবার সময় নেই।
খুধায় পেট চো চো করছে, খেতে হবে।
ফ্রেস হয়ে ছোট বেগ নিয়ে বের হয়ে গেলাম। নীচে নেমে হোটেল লবি ঘুরে দেখতে লাগলাম। চার পাশে স্ললট মেশিন,মাঝে টেবিল পাতা ডাই রোল খেলার জন্য,তার ফাকে ফাকে কিছু টেবিল বসানো, ওখানে ও তাসের জুয়া হয়। প্রতিটা টেবিলে টেবিল এটেনডেনট আছে।
খুব মার্জিত পোশাকেই। জামায় লাগানো ব্যাজ এ নাম আর তার দেশ বা শহরের নাম লিখা। এটা এক আজব জিনিস। আমি জানি না কেন হোটেল কতৃপক্ষ তা করে।
যেমন ,কাতিউসা,জাপান
বা
জেসমিন, বাংলাদেশ
এখান কার লোকাল হলে তাদের স্টেট এর নাম থাকে সাথে।
পোকার এর জন্য আলাদা করে জায়গা আছে। ওখানে শুধু পোকার খেলা হয়। বিয়ার ফ্রি ওখানে। দাড়িয়ে দাড়িয়ে লোক জন দেখছে। আমি ও দেখলাম বেশ কিছু ক্ষন, বুঝার চেসটা করলাম খেলাটা আসলে কি।
কিন্তু মানুষ একটু কেমন করে তাকায়, একা একটা মেয়ে দাড়িয়ে আছে। এখানে সবাই মোটা মোটি দল বেধে আসে।
পরে দেখেছি সব হোটেল গুলোতে ই একই দৃশ্য। ঢুকতেই কেসিনো,সব এটেন্ডেন্ট এর নেম প্লেট একই ফরমেটে লিখা। সব গুলো ক্যাসিনোর দৃশ্য ও একই রকম।
যাই হোক খুধায় আর টিকতে পারছিলাম না। খুজতে খুজতে পেয়ে গেলাম সাইনবোর্ড" হোটেল সাহারা বাফেট"। ভাবলাম বেশ দাম পড়বে মনে হয়। কিন্তু খুধা বলে কথা। দামের কথা চিন্তা না করে তীর চিহ্ন ধরে ধরে রেস্টুরেন্ট এ চলে গেলাম।
গিয়ে দেখি 11 ডলার এ বাফে এবং সব মিলিয়ে কম করে হলেও 100 আইটেম। রান্না অসাধারন। ডিসিশন নিয়ে নিলাম পরবর্তি 5 দিন এখানে ই খাব।
পেট শান্তি তো দুনিয়া শান্তি। শান্ত পেট নিয়ে বেড়িয়ে পড়লাম,হাতে অনেক সময়।
উদ্দেশ্য শহর ঘুরে দেখা। আমার আর ও অবাক হওয়া বাকী ছিল। রাস্তার ফুটপাথ ধরে হেটে হেটে আমি অবাক হলাম। এটা কি করে সম্ভব!!!!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।