আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আকাঙ্খার শহর

সযতনে খেয়ালী!

গত কদিন ধরে ব্লগে উপস্থিতির পরিমান প্রায় শূন্যের কোঠায় আমার। ব্যস্ততা ছাড়াও যে জিনিষটা তাড়া করে ফিরেছে এ কদিন তা হলো, "কী হয়েছে ধরতে না পারা"। মোটামুটি সারাক্ষণ দৌড়ের উপর থেকেও খানিক থেমে ঝুপ করে ব্লগে ঢুকে সামনে পড়া কোন একটা লেখা পড়েই আবার দৌড় কন্টিনু্যড... দেশের উত্তেজনাকর পরিস্থিতি গুলোতেও কেমন নিরামিষ একটা ভাব আমার মনে। "চিত্তে সুখ নাই আইজদ্দী" টাইপের কেরোসিন মার্কা অবস্থায় কোলের উপর কম্পুটা তুলে নিয়ে পিডিএফ ভার্সনের "আকাঙ্খার শহর" পড়তে শুরু করলাম। শামা, যাকে ঘিরেই গল্পটা আবৃত হয়েছে, তার চোখ দিয়ে গল্পটার বিভিন্ন প্লটে বিচরণ করছিলাম।

সে যখন সদ্য বিবাহিত বরকে গাড়িতে রেখে রাস্তার সবুজ ঘাঁশের ঢাল বেয়ে নেমে পড়ে বংশাই নদীর পাড় ধরে ছুট লাগালো, মনে হলো যেনো সেই মেঠো পথে তার দৌড়ের আমিও সঙ্গী ছিলাম। একে একে তার সাথেই বেদেদের জলগ্রাম, মাঝনদীতে নৌকায় বসে মোটা চালের ভাত খাওয়ার সময়ে নৌকার ইতস্ততঃ দুলুনি, স্কুল জীবনের বান্ধবী পপি ও তাঁর দরিদ্্র স্বামীর নি:সন্তান সুখের সংসার, ফাহিমের সাথে প্রথম দেখার ক্ষণে মুখের বিরক্তি আর কালো রঙের শাড়ি সামলানোর চেষ্টা, অপ্সরার প্রতি আকুণ্ঠ মাতৃস্নেহ, নিচতলার খালাম্মার একাকীত্বের সময়গুলোতে নিজের খা খা করা বুক নিয়ে সামিল হওয়া, মৌসুমী আপার প্রতি ফাহিমের "অন্যরকম" টানের কথা জানা সত্বেও নিজেকে ফাহিমের সাথে "বিতর্কে" সামিল না করা - সব কিছুতেই যেনো আমার বিচরণ ছিলো, খুব কাছ থেকে উপলব্ধি করতে পারছিলাম যেনো সব কিছুকেই। স্কুল জীবনে সুন্দরী মৌসুমী আপাকে ঘিরে ভালো লাগার ঘোরটা এই বয়সে এসেও টিকে আছে ফাহিমের। কিন্ত যখন পাবনার সেই দিন গুলোর কথা পড়ছিলাম নিজের অজান্তেই মনশ্চক্ষে প্রত্যক্ষ করছিলাম কচি কলাপাতা রঙের শাড়ি পরিহিতা মৌসুমী আপার স্টেজে "বো" হওয়া, গ্রীণরুমের পাশে গোলাপ বাগানে দাড়িয়ে থাকা ফাহিমের মনের ভেতরের জটিল রসায়নটাও যেনো হৃদয়ঙ্গম করতে পারছিলাম, বাড়ি পৌঁছে দেবার সময় রিক্সায় মৌসুমী আপার চুল থেকে আসা সুগন্ধ যেনো ফাহিমের নাক ছাড়িয়ে আমার ইন্দ্্রীয়কেও প্রভাবিত করেছে। সম্পর্কের টানাপোড়েনে ভুগতে থাকা শামা-ফাহিম দম্পতি আবার নতুন করে শুরু করে তাদের পথচলা।

কোন এক সুন্দর রোদ ঝলমলে শীতের সকালে অপ্সরাকে খালাম্মার কাছে রেখে দুজনে বেড়াতে যায় গাড়ো পাহাড়ে। পথে ফাহিম আবিষ্কার করে সম্পূর্ণ নতুন এক শামাকে, এতোগুলো দিন সংসার করেও "এই শামা"-কে দেখার অবকাশ সে পায়নি। গাড়ো পাহারের রাণীর উষ্ণ আতিথেয়তায় তারা মুগ্ধ হয়ে শোনে বিলাতি সৈনিকের সাথে তার প্রেম উপাখ্যান। ফেরার পথে নিজের আকাঙ্খা গুলোর বাস্তব প্রতিফলনে বিভোর শামা নতুন করে শুরু করার ভরসা পায় ফাহিমের চোখে। হাতের মুঠিতে সযতনে সে ধরে থাকে একটি নীল রঙের পাহাড়ী ফুল! গত ক'দিন ধরে আমার সাথে সাথে আকাশেরও যেনো কি হয়েছে, ঝিরঝির করে বৃষ্টি পড়ছে তো পড়ছেই।

"নভেম্বর রেইনের" এমন একটা রাতজাগা ভোর দেখা হলো আজ আমার। অন্ধকার করা গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির ভোর আমাকে থেকে থেকেই নিয়ে যাচ্ছে পেছনে ফেলে আসা কিছু সময়ের "গহীন জঙলে"। কে জানে হয়তো এর পেছনে কলকাঠি নেড়ে চলেছে সদ্যপড়া [link|http://www.box.net/public/37odv1zv8k| "AvKv

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।