আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জীবন্ত নামায !!

চলার পথ অনেক, সত্য পথ একটাই

নামায কালেমায়ে তাইয়েবার পয়লা বাস্তব আমলী স্বীকৃতি । কালেমায়ে তাইয়েবার মধ্যে যে দুটো কথা স্বীকার করা হয় তা বাস্তব জীবনে মেনে চলার ট্রেনিংই হলো নামায। কালেমা ও নামাযের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ। ধরুন, এক ব্যক্তি ইসলাম কবুল করে মুসলিম সমাজের সদস্য হয়ে গেল । কালেমায়ে তাইয়েবা উচ্চারণ করে সে তার জীবনে দুদফা পলিসী ঘোষণা করল।

১. আমি জীবনের সর্বক্ষেত্রে একমাত্র আল্লাহর হুকুম মেনে চলব। আল্লাহর হুকুমের বিরোধী কারো হুকুম পালন করব না। ২. রাসূল (স) আল্লাহর হুকুম যে নিয়মে পালন করেছেন, আমি একমাত্র ঐ তরীকায়ই আল্লাহর হুকুম পালন করব। আর কারো কাছ থেকে কোন নিয়ম বা তরীকা গ্রহণ করব না। এ ঘোষণার ফলে সে মুসলিম মিল্লাতের অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেল ।

সে কালেমায়ে তাইয়্যেবা কবুল করে ইসলামের ৫টি বুনিয়াদের (ভিত্তির) প্রথমটি গ্রহণ করার ঘোষণা দিল। এখন বাকী ৪টি ভিত্তি তাকে মেনে চলতে হবে। এর মধ্যে প্রথমে নামায। যদি সকালে ইসলাম গ্রহন করে থাকে তাহলে যোহরের নামাযেই তাকে মসজিদে জামায়াতে শরীক হতে হবে। যা যা পড়তে হয় তা শিখতে কিছু দিন লাগতে পারে।

কিন্তু সে অপেক্ষায় এক ওয়াক্ত নামাযও বাদ দিতে পারবে না। নামাযে যা পড়তে হয় এর যেটুকু শেখা বাকী আছে ঐটুকুর জায়গায় শুধু সুবহানাল্লাহ, সুবহানাল্লাহ পড়তে থাকবে। এভাবে কালেমা কবুলের সাথে সাথেই তার উপর নামায ফরয হয়ে গেল। রমযান মাস আসলে তাকে রোযা রাখতে হবে। তার নিকট যাকাত দেবার নেসাব পরিমাণ মাল থাকলে এক বছর পর যাকাত আদায় করবে।

হজ্জ করার সাধ্য থাকলে হজ্জের মওসুমে হজ্জ আদায় করবে। কিন্তু নামায এমনই এক ইবাদত যা কালেমা কবুলের পর পরবর্তী নামাযের ওয়াকতেই তাকে আদায় করতে হবে। কালেমা কবুলের পরপরই নামাযে শামিল হয়ে সে বাস্তবে স্বীকৃতি দিল যে সে সত্যিই কালেমা কবুল করেছে। কালেমার দুদফা ঘোষণা অনুযায়ী সে নামাযের হুকুম পালন করা শুরু করে দিল। এভাবেই নামায হলো কালেমায়ে তাইয়েবা কবুল করার বাস্তব আমলী স্বীকৃতি।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।