আগামীকাল চট্টগ্রামে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত প্রথম টেস্ট। ১৫ সদস্যের বাংলাদেশ দলে আইসিএল ফেরা ক্রিকেটারদের মধ্যে রয়েছেন একমাত্র শাহরিয়ার নাফিস। এর আগে শেষ হওয়া ত্রিদেশীয় সিরিজে দলে ছিলেন আইসিএল ফেরা আফতাব আহমেদও। কিন্তু ওই সিরিজে তারা দু'জনই ছিলেন উপেক্ষিত। এমনকি ভারতের সাথে নিয়ম রক্ষার শেষ ম্যাচেও তাদেরকে সুযোগ দেয়া হয় নি।
এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, আফতাব ও শাহরিয়ার যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েই দলে জায়গা করে নিয়েছিলেন। প্রিমিয়ার লীগে দারুণ খেলেছিলেন- আফতাব, শাহরিয়ার, অলকরা। ১৮ সদস্যের প্রাথমিক দলে ছিলেন এই তিনজন, আর ১৫ সদস্যের চূড়ান্ত দলে ছিলেন প্রথম দু'জন।
সিরিজে অন্তত একটি ম্যাচ খেলিয়ে ওদেরকে যাচাই করে নেয়া যেত। কিন্তু নির্বাচকরা সেটা করার প্রয়োজন মনে করেন নি।
এটা কি শুধু পারফরম্যান্সের কারণে? নাকি প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে? (আইসিএলে খেলেতে যাওয়ার অপরাধে)। পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ডসহ বিশ্বের অন্য সকল দেশ যদি তাদের সুযোগ দিতে পারে। তাহলে আমাদের সমস্যা কোথায়? আমি বলছি না যে, আইসিএলে খেলতে যাওয়াটা অপরাধ নয়। ওরা আইসিএলে খেলতে যাওয়ায় জাতীয় দলের অনেক সমস্যাও হয়েছে। তারপরেও ওরা আমাদের সম্পদ।
ওদেরকে ক্রিকেটের বাইরে রাখলে আমাদের ক্রিকেটের অনেক ক্ষতি হবে। আমার কথা হল যদি ওদের যোগ্যতা থাকে, তাহলে সুযোগ দিতে আপত্তি কোথায়?
দুই টেস্টের জন্য ঘোষিত বাংলাদেশ দলে রয়েছেন চারজন ওপেনার। এরা হলেন- তামিম ইকবাল, ইমরুল কায়েস, জুনায়েদ সিদ্দিকী ও আইসিএল ফেরা শাহরিয়ার নাফিস। দল থেকে মনে হয় না শাহরিয়ার নাফিসের জায়গা হবে প্রথম একাদশে। কারণ ওয়ানডে দলে ছিল তিন ওপেনার, আর ম্যাচ ছিল চারটি।
এর মধ্যে আবার শেষেরটি ছিল আনুষ্ঠানিকতার ম্যাচ। সেখানেই যেহেতু হয়নি এবার কি হবে?
চার ওপেনারের ব্যাটিং পরিসংখ্যান
তামিম ইকবালঃ ১২ টেস্টে ৬০৮ রান। শেষ পাচ ইনিংসঃ ১৭, ১৪, ১২৮, ৩৭, ১৮।
ইমরুল কায়েসঃ ৬ টেস্টে ১৬১ রান। শেষ পাচ ইনিংসঃ ৫, ৩৩, ২৪, ১৪, ৮।
জুনায়েদ সিদ্দিকীঃ ১২টেস্টে ৫২৬ রান। শেষ পাচ ইনিংসঃ ৪, ২৭, ৭৮, ৭, ৫।
শাহরিয়ার নাফিসঃ ১৫ টেস্টে ৮১০ রান। শেষ পাচ ইনিংসঃ ১২, ২৫, ১৬, ৬৯, ৩১।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।