এতকিছু ... ওই সিনেমার জন্যই...
লাউডগা সাপ অনেকটা সবুজ কচি লতার মত দেখতে। সরু লিকলিকে সবুজ শরীর, যেন লাউগাছের ডগা কিংবা ডাঁটা। এই সাপ খুবই মৃদু বিষযুক্ত যদিও মানুষের জন্য প্রকৃতপক্ষে এই সাপ নির্বিষ। কলুব্রিডি পরিবারের অন্তর্ভুক্ত লাউডগা সাপের ইংরেজি নাম কমন ভাইন স্নেক (common vine snake)। বৈজ্ঞানিক নাম Ahaetulla nasuta ।
লাউডগা সাপের দেহ মসৃণ, লম্বাটে ও নলাকার এবং নাক লম্বা ও সুচালো। প্রাপ্তবয়স্ক সাপের দৈর্ঘ্য প্রায় ২০০ সেমি, লেজের দৈর্ঘ্য দেহের মোট দৈর্ঘ্যের ৩৪%। ৫সেমি হতে পারে। দেহের পৃষ্ঠীয় ভাগ উজ্জ্বল সবুজ রঙের; কখনও কখনও বাদামি-ধূসর রঙের হতে পারে। অঙ্কীয়ভাগ উজ্জ্বল এবং হলুদ বা সাদা রেখার মাধ্যমে দেহের পৃষ্ঠীয়ভাগ থেকে পৃথক থাকে।
দেহের পিছনের অংশে কালো ও সাদা আন্তঃত্বকীয় রেখা থাকে।
দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ভারত, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, ভুটান, লাওস, ব্রুনাই, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, মায়ানমার, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, সিঙ্গাপুর, ফিলিপাইন এবং পূর্ব এশিয়ার চীনে এ প্রজাতিটি দেখা যায়।
লাউডগা সাপের চোখ দেখে মনে হয় বাইরে বেরিয়ে আসছে। এদের দৃষ্টিশক্তি বেশী। চলাচলের সময় তাকালে মনে হয় যেন সম্মোহিত করছে।
এইকারণে এই সাপের সম্মোহনী ক্ষমতা নিয়ে নানারকম গল্প প্রচলিত আছে।
লাউডগা মূলত দিনেই চলাচল করে। এরা সবসময় সজাগ ও সতর্ক থাকে। বেশ ক্ষিপ্র। উপর থেকে শরীর ঝুলিয়ে কপালের রগে কিংবা চোখে কামড় দ্যায়, এরকম লোকধারনার আসলে কোন বাস্তব ধারণা নেই।
আর দশটা সাধারন সাপের মতো ভয় পেলে যেকোন জায়গায় কামড়ে দিতে পারে।
লাউডগা ডিম পাড়ে না, বাচ্চা দেয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।