উন্মাদ খুলির পৃষ্ঠাগুলি
পর্ণকুটিরে
পর্ণকুটিরে সমস্ত অক্ষর উড়তে চাচ্ছে
একের পর এক ঝাউপাতার শব্দের মধ্যে ঢুকে যাচ্ছে
বর্শার ঝাঁক।
সব বৃক্ষ ও পক্ষীকূল অবাধ্য দৃষ্টির ভেতর প্রতিরোধে খুলে ফেলছে
পোষাক, চোখ উপড়ানো তাদের মণিতে ভরে উঠছে শহর।
আমি ধানের গোলাগুলো তুলে রাখছি
যাদুঘরের সিঁড়িতে।
নাগরিক শেয়ালেরা মাথানত, ছুটছে চৌদিকে
আমি রুপার পয়সায় কিনতে চাচ্ছি নির্মুক্ত শস্যধ্বনির দয়িতা স্নেহ
যে এই কোলাহলেও বিধূনিত ওষ্ঠের মহোৎসবে
ফিরিয়ে নিতে পারে বাহু কল্লোল।
ভোরের বসনাঞ্চলে উড়াতে পারে বৃষ্টিসিক্ত ডমরুধ্বনি।
বক্ষউন্মূল রাত সন্তাপে মুছে নিক অশ্শ্রুস্লেট,
বিবাগী দেহের পৃষ্ঠা খুলে অবুঝ কাননে
দেখো, ওইখানে সবুজ পাতায় কোনো দাগ নেই, মুখের সবখানে
বিভূতি চন্দ্র্রদয়, তাকে পালকের সুগন্ধ দাও।
ঋতুবদলের পাঠশালায়
পুনপাঠে যূথভ্রষ্ট রাত্রির দেয়ালে ঝুলে থাক নেশার বৈকল্য
মাছের নীল কাঁটায়
মাছের নীল কাঁটায় উড়ে যাবো
আরো একটু ঘন নীলাকাশ ডুবে যাবে শাদা রেখায়
স্তনের মায়া থেকে শিশু চোখ
দৃষ্টি ঘুরিয়ে উঠে আসবে গ্রীবায়, কাঠ চেরাইয়ের শব্দে
খুলে পড়বে ফরসা দিনের আলিঙ্গন
শুরু হবে জলচিত্রে নৌযাত্রা
আমাদের ঘাড়ের পাশ থেকে সরে যাবে একে একে
সমস্ত সৃজনশীল লিঙ্গের ছায়া, রূপসী হাড়ের চিনচিন
মাথাটা আরো খানিকটা তলিয়ে
যাবে হাটুর ভেতর, বালি আর ছোট ছোট পাথরের
কণাগুলো জিবের ওপোর তুলে আনবে লবণের ঝাঁঝ
অফুরন্ত শুভ্র পাখিদের নির্জনতা
উড়ে উড়ে যাবে রাতের ফাঁদে, আঁশটে গন্ধের নিদ্রিত চোখে
শুধু নীল কাঁটার গুড়োগুলি - এই শহরের
সমস্ত বিড়ালেরা একাগ্রতায়
জড়ো করবে যেইখানে ভাঙা কাচের টুকরোগুলোতে
শুধু ব্যথার সঙগীত বেজে বেজে উড়তে থাকবে
আরো একটু গভীরতার খোঁজে
দিন ঢুকতে থাকবে বিড়ালগুলোর চোখে
মাছেদের জীবনাচরণে লুপ্ত হবে শহরের সমস্ত লোককলা
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।